চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার নির্মাণাধীন দেয়াল ও ফটকধসে পাঁচ নির্মাণশ্রমিক আহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার রাতে নগরের ফয়’স লেক এলাকায় অবস্থিত চিড়িয়াখানায় এ ঘটনা ঘটে। আহত শ্রমিকেরা হলেন মো. আরমান (৩০), মো. হৃদয় (২০), মো. রাকিব (১৯), মো. সোহেল (২৬) ও রনি হালাদার (২৭)। তাঁদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, রাত সাড়ে ১১টার দিকে চিড়িয়াখানার ফটকের ছাদ ঢালাইয়ের কাজ চলছিল। এ সময় হঠাৎ ফটকের ছাদ ও দেয়াল ধসে পড়ে। এতে পাঁচ শ্রমিক আহত হন। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস আহত শ্রমিকদের উদ্ধার করে।

ফায়ার সার্ভিসের আগ্রাবাদ স্টেশনের জ্যেষ্ঠ স্টেশন কর্মকর্তা খলিলুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, আজ শনিবার ভোর পাঁচটা পর্যন্ত উদ্ধারকাজ চালানো হয়। আহত শ্রমিকদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দেয়াল ও ফটকের ছাদ ধসে পড়ায় প্রাথমিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১০ লাখ টাকা।

এদিকে বিষয়টি জানতে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার কিউরেটর শাহদাত হোসেনকে একাধিকবার ফোন করা হয়। তবে তিনি ফোন রিসিভ না করায় এ বিষয়ে তাঁর বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ফটক র

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ