ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রধান কার্যালয় নগর ভবনের সব ফটকে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন ইশরাক হোসেনের সমর্থকেরা। এতে নগর ভবন থেকে সেবা সংক্রান্ত সব কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে।

আজ শনিবার সকাল নয়টার দিকে নগর ভবনে প্রবেশের সব ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

ইশরাক হোসেনকে মেয়র পদে না বসানোর  প্রতিবাদে 'ঢাকাবাসী' ব্যানারে বিক্ষোভে অংশ নেওয়া তাঁর সমর্থক ও অনুসারীরা এই পদক্ষেপ নিয়েছেন।

বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে ইশরাক হোসেনের সমর্থকেরা স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও তাঁর সচিব রেজাউল মাকছুদ জাহেদীকে নগর ভবনে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন। পাশাপাশি তাঁদের যেখানে পাওয়া যাবে সেখানে প্রতিহত করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন।  

করপোরেশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা কার্যত অঘোষিত ছুটি পালন করছেন। তাঁদের কেউ নগর ভবনে ঢুকতে পারছেন না। নগর ভবনে স্থানীয় সরকার বিভাগেরও অফিস রয়েছে। এখানেই  স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া অফিস করেন। তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার কারণে এই অফিসেরও সব কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে।

তবে বিক্ষোভে অংশ নেওয়া একাধিক ব্যক্তি প্রথম আলোকে বলেন, কর্মসূচি পালনের দ্বিতীয় দিনে গত বৃহস্পতিবারও নগর ভবনের সব ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। ওই দিন থেকেই কার্যত নগর ভবন থেকে সেবা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।

নগর ভবনের সামনে ইশরাক হোসেনের সমর্থকদের বিক্ষোভ.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: নগর ভবন র স ইশর ক হ স ন

এছাড়াও পড়ুন:

সাভারে বাগ্‌বিতণ্ডার জেরে বেসরকারি ৭১ টিভির ক্যামেরাপারসনকে মারধর

ঢাকার সাভারে বাগ্‌বিতণ্ডার জেরে বেসরকারি ৭১ টিভির ক্যামেরাপারসন মো. উজ্জ্বল হোসেনকে (৪২) মারধর করেছেন একদল যুবক। আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সাভারের উত্তর চাপাইন এলাকার মসজিদের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

আহত উজ্জ্বল হোসেনের বাড়ি সাভারের লালটেক এলাকায়। তাঁকে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এ ঘটনায় তিনি সাভার মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

আহত উজ্জ্বল হোসেন জানান, উত্তর চাপাইন এলাকায় তাঁর বাসার অদূরে একটি পুকুরপাড়ে নিয়মিত মাদক সেবন করেন চাপাইন ও লালটেক এলাকার ১০ থেকে ২০ জন যুবক। তিনি বিভিন্ন সময় সেখানে মাদক সেবন করতে নিষেধ করেন। গতকাল শুক্রবার বিকেলে মোটরসাইকেলে আসা দুই যুবককে থামিয়ে কোথায় গিয়েছিল জানতে চাইলে তাঁরা তাঁর সঙ্গে বাগ্‌বিতণ্ডায় জড়ান। এরপর তিনি একটু দূরে লালটেক মসজিদ-সংলগ্ন এলাকায় যান। তখন ওই দুই যুবক আরও ৮ থেকে ১০ জনকে সঙ্গে নিয়ে মসজিদের সামনে যান। সেখানে তাঁর সঙ্গে ওই যুবকদের পরিচিত স্থানীয় ওহাব হাজি (৬০) ও তাঁর ছেলে মো. সাদ্দামের (৩০) বাগ্‌বিতণ্ডা হয়।

উজ্জ্বল অভিযোগ করেন, আজ বেলা ১১টার দিকে তিনি বাসা থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে বের হন। লালটেক কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে পৌঁছালে সাদ্দাম তাঁর পথরোধ করেন। তাঁর (সাদ্দাম) বাবার সঙ্গে খারাপ ব্যবহারের অভিযোগ তুলে তাঁকে বাঁশ দিয়ে পেটান। এ সময় সাদ্দামের দুই ভাই অতনু (২৫) ও হৃদয় (২০) ও তাঁর বাবা ওহাব হাজী (৬০) ঘটনাস্থলে এসে তাঁকে কিল-ঘুষি দেন। পরে স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।

জানতে চাইলে ওহাব হাজি তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ জুয়েল মিঞা প্রথম আলোকে বলেন, এ ঘটনায় তাঁরা একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ