আওয়ামী লীগের দোসর নন, হয়তো সমর্থন করেন, এমন গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিকে দলের সদস্য করতে বাধা নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। আজ শনিবার দুপুরে চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিএনপির উদ্যোগে সদস্য নবায়ন কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি। চট্টগ্রাম নগরের কাজীর দেউড়িতে দলীয় কার্যালয় প্রাঙ্গণে এ অনুষ্ঠান হয়।

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আওয়ামী লীগের চিহ্নিত দোসররা বিএনপির সদস্য হতে পারবেন না। তবে একজন ভালো লোক, আওয়ামী লীগের চিহ্নিত দোসর নন, হয়তো আওয়ামী লীগকে সমর্থন করতে পারেন, আমরা জানি না। তিনি কাকে ভোট দিয়েছেন, তা–ও জানি না। কিন্তু সমাজে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি, কখনো রাজনৈতিকভাবে অস্থিরতা সৃষ্টি করেননি। বিএনপির কার্যক্রমকে প্রতিহত কিংবা বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করেননি। বিএনপির নেতা-কর্মীদের হয়রানি করেননি, পারলে পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করেছেন। তাঁদের সদস্য করতে বাধা নেই। এই জায়গায় খুব সঠিকভাবে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

অনুষ্ঠানে কারা বিএনপির সদস্য হতে পারবেন, কারা পারবেন না—তার বিষয়ে নির্দেশনা দেন বিএনপি নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, কারা বিএনপির নতুন সদস্য হতে যাচ্ছেন? এটার একটি ক্রাইটেরিয়া (মানদণ্ড) আছে। এটার একটি দিকনির্দেশনা আছে। এটা মাথায় রাখতে হবে। সমাজে অগ্রহণযোগ্য ব্যক্তি, চাঁদাবাজ ও দুর্নীতিবাজ হিসেবে পরিচিত, যাঁরা সমাজে অসামাজিক কাজে লিপ্ত, যাঁদের জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্যতা নেই, এসব লোকদের যথাসম্ভব বাইরে রাখার চেষ্টা করবেন।

সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘যাঁরা থাকলে বিএনপির ভোট কমে যাবে, যাঁদের চেহারা দেখলে মানুষ সরে যাবেন, মানুষ আমাদের সম্পর্কে ভুল ধারণা পোষণ করবেন, তাঁদের দূরে রাখার চেষ্টা করবেন।’

এই দুই শ্রেণি বাদ গেলে বাকিদের সদস্য করতে পারবেন বলে অনুষ্ঠানে জানান সাবেক মন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, সবাই মিলে চেষ্টা করতে হবে, সমাজের বৃহত্তর অংশকে সদস্য সংগ্রহ কর্মসূচির আওতায় নিয়ে আসার। কেননা বিএনপি দেশের বৃহত্তম দল। আর সদস্য হতে হবে দিনের আলোয়। অন্ধকারে নয়। এখানে যেভাবে দিনের আলোয় করা হচ্ছে, সেভাবে প্রতিটি থানা, প্রতিটি ইউনিয়নে করতে হবে। এখানে লুকোচুরির কিছু নেই। ফেসবুকে দিতে হবে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দিতে হবে। বিএনপির সদস্য হওয়া গর্বের।

বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমানের সভাপতিত্বে ও সহসাংগঠনিক সম্পাদক মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এবং চট্টগ্রাম নগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহ।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব এনপ র স অন ষ ঠ ন র সদস য প রব ন আওয় ম

এছাড়াও পড়ুন:

সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সব দলের সহযোগিতা চাইলেন সিইসি

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন গ্রহণযোগ্য করতে সব দলের সহযোগিতা চাইলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন।

রবিাবর (১৬ নভেম্বর) জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ধারাবাহিক সংলাপের দ্বিতীয় দিনের সংলাপের শুভেচ্ছা বক্তব্যে তিনি এ সহযোগিতা চান। 

আরো পড়ুন:

দুর্নীতিতে ৩ বার চ্যাম্পিয়ন দলকে জনগণ আর ভোট দেবে না: তাহের

বর্তমানে যে অবস্থা, তাতে নির্বাচনে অসুবিধা নেই: উপদেষ্টা

সিইসি বলেন, “সবার জন লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত নেবে কমিশন।” নির্বাচনি আচরণবিধি মেনে চলার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানান তিনি। 

ভোটারদের কেন্দ্রে আনা ও নিরাপদ নির্বাচনি পরিবেশের জন্য দলগুলোর সহযোগিতা গুরুত্বপূর্ণ বলেও তিনি মন্তব্য করেন। 

ঢাকার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংলাপে  প্রথম পর্বে গণফোরাম, গণফ্রন্ট, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ, ইসলামী ঐক্যজোট, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি) ও বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি—মোট ছয়টি দল অংশ নিয়েছে। 

ইসি জানায়, দুপুর ২টা থেকে দ্বিতীয় পর্বে জাসদ, ন্যাপ, তৃণমূল বিএনপি, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সঙ্গে মতবিনিময় হবে।

আগামীকাল সোমবার (১৭ নভেম্বর) সংলাপের তৃতীয় দিনে জামায়াতে ইসলামীসহ ১২টি দলের সঙ্গে বসবে নির্বাচন কমিশন। সোমবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত লেবার পার্টি, সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি, বিকল্পধারা বাংলাদেশ, কল্যাণ পার্টি ও বাংলাদেশ মুসলিম লীগ (বিএমএল)-এর সঙ্গে বৈঠক হবে।

এছাড়া, সোমবার দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি), বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, খেলাফত মজলিস ও জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) সংলাপে অংশ নেবে।

ইসি সূত্র জানায়, নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক, গ্রহণযোগ্য ও সুষ্ঠু করতে অংশীজনদের মতামত ও সুপারিশ নিতে পুরো নভেম্বরজুড়েই নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ চলবে। গত বৃহস্পতিবার প্রথম দিনে ১২টি দলের সঙ্গে দুই পর্বে মতবিনিময় করে কমিশন।

প্রতি দলের বক্তব্য, দাবি ও পরামর্শ নথিবদ্ধ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ইসির কর্মকর্তারা।

ঢাকা/এএএম/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সব দলের সহযোগিতা চাইলেন সিইসি