বন্দরে মাদক ব্যবসা বাধা দেওয়ার জের ধরে সন্ত্রাসী হামলায় স্বামী-স্ত্রীসহ ৩ জন আহত হয়েছে।  ওই সময় হামলাকারিরা  বাড়ি ঘর ভাংচুর চালিয়ে ২০ হাজার টাকা ক্ষতিসাধন করে নগদ ৭০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়।

সন্ত্রাসী হামলায় আহতরা হলো মাসুম (৪৫) ও তার স্ত্রী হেনা বেগম (৩২) ও ভাগ্নে রাজু (২৮)। স্থানীয় এলাকাবাসী আহতদের জখম অবস্থায় উদ্ধার করে বন্দর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করেছে। 

এ ব্যাপারে আহত রাজমিস্ত্রী মাসুম বাদী হয়ে গত শনিবার  (১৭মে) দুপুরে হামলাকারি মাদক ব্যবসায়ী সাগর, শরিফ, সেলিম ও শফিকুলসহ ৬ জনের নাম উল্লেখ্য করে বন্দর থানায় এ অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। এর আগে গত শুক্রবার (১৬ মে) বিকেল ৫টায় বন্দর উপজেলার কামতাল মালিভিটা এলাকায় এ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনাটি ঘটে।

অভিযোগের বাদী রাজমিস্ত্রী মাসুম মিয়া জানায়, বন্দর উপজেলার কামতাল মালিভিটা এলাকার শামসুল হক মিয়ার ৩ ছেলে সাগর, শরিফ ও সেলিম মিয়া দীর্ঘদিন ধরে উক্ত এলাকায়  অবাধে মাদক ব্যবসা চালিয়ে আসছে। এ ঘটনায় আমি ও আমার পরিবার উল্লেখিত মাদক ব্যবসায়ীদের বাড়ি সামনে মাদক ব্যবসা না করার জন্য বাধা নিষেধ করি। 

এ ঘটনার জের ধরে গত শুক্রবার বিকেল ৫টা উল্লেখিত মাদক ব্যবসায়ী ৩ ভাইসহ একই এলাকার মৃত সিরাজুল মিয়ার ছেলে শফিকুল, সেলিম মিয়ার স্ত্রী রেখা (৩০) ও শফিকুল মিয়ার স্ত্রী সোনিয়া আমাকে ও আমার পরিবারকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে। 

আমি সকল বিবাদীদের গালাগালি করতে নিষেধ করলে মাদক ব্যবসায়ী সাগর, শরিফ সেলিম ও শফিকুল আমার বসত ঘরে অনাধিকার ভাবে প্রবেশ করে বাড়িঘর ভাংচুর করে নগদ ৭০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। ওই সময় হামলা কারিদের  বাধা দিতে গিয়ে আমি ও আমার স্ত্রী ও ভাগ্নে রক্তাক্ত জখম হই। 
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

সিরিয়ার পর নিজেদের কেন টার্গেট মনে করছে তুরস্ক

মধ্যপ্রাচ্যে আঞ্চলিক ভূরাজনীতিতে এক উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের মধ্যে ইসরায়েল সম্প্রতি সিরিয়ার দামেস্ক ও সুওয়াইদার গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালিয়েছে। ইসরায়েল দাবি করেছে যে সুওয়াইদায় দ্রুজ মিলিশিয়া ও সুন্নি বেদুইন উপজাতিদের মধ্যে তীব্র সংঘর্ষের পরিপ্রেক্ষিতে দ্রুজদের রক্ষা করতে এই হামলাগুলো চালানো জরুরি ছিল।

বিশ্লেষকদের মতে, সিরিয়ায় ইসরায়েলের হামলার ফলে নতুন করে যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে, তাতে তুরস্ককে একটি নাজুক পরিস্থিতিতে ফেলে দিয়েছে। আঙ্কারা এখন সিরিয়ার পরিবর্তিত পরিস্থিতির ওপর তাদের কৌশলগত অবস্থান পুনরায় মূল্যায়ন করছে। সীমান্ত নিরাপত্তা, সন্ত্রাস দমন ও সিরিয়ার রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা নিয়ে উদ্বেগের মধ্যে তুর্কি রাজনীতিবিদেরা নজিরবিহীন চাপের মধ্যে রয়েছেন।

দ্য নিউ আরবকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তুর্কি নিরাপত্তা বিশ্লেষক এরসান এরগুর ব্যাখ্যা করেছেন যে সিরিয়ার আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষা করা এখন তুরস্কের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য ভিত্তিস্বরূপ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি বলেন, ‘আঙ্কারা এখন আর সিরিয়ার ইস্যুকে কেবল একটি বৈদেশিক নীতির বিষয় হিসেবে দেখে না, বরং এটিকে অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতার বিষয় হিসেবে দেখে।’ তিনি আঞ্চলিক বিভাজন থেকে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়া এবং আবার তুরস্কে শরণার্থীর ঢল নামতে পারে—এমন আশঙ্কার কথাও উল্লেখ করেন।

এরগুর বলেন, তুরস্কের কৌশলটি তার ‘সন্ত্রাসমুক্ত তুরস্ক’ প্রকল্পের ওপর ভিত্তি করে তৈরি। তুরস্কের এ প্রকল্পটি আঞ্চলিক স্থিতিশীলতাকে দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার সঙ্গে যুক্ত করে। তুরস্কের ভূরাজনৈতিক অবস্থান, আঞ্চলিক বাণিজ্য ও নিরাপত্তা নেটওয়ার্কগুলো সঙ্গে গভীর যুক্ততার কারণে আঙ্কারা সিরিয়াকে স্থিতিশীল করতে চায়। এটি শুধু তার সীমান্ত রক্ষা করার জন্য নয়, বরং তার আশপাশে ব্যর্থ রাষ্ট্রগুলোর উত্থান রোধ করার জন্যও।

ইসরায়েলি হামলার পর সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে সেনাবাহিনী ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সদর দপ্তরের কাছে ধোঁয়ার কুণ্ডলী দেখা যায়। ১৬ জুলাই ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ