সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে জাতীয় সংগীত নিয়ে কটাক্ষের প্রতিবাদ জানালো উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী। শনিবার বিকেলে রাজধানীর তোপখানা রোডে উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এ সময় বগুড়ায় উদীচীর কর্মসূচিতে মৌলবাদী হামলার প্রতিবাদ জানানো হয়। বক্তারা জাতীয় সংগীতসহ মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার চেতনার বিরুদ্ধে সব ধরনের ষড়যন্ত্র রুখে দেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। 

তারা বলেন, ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর থেকে মৌলবাদী গোষ্ঠী পরিকল্পিতভাবে জাতীয় সংগীত, জাতীয় পতাকাসহ দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ববিরোধী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছে। এই অপশক্তিকে রুখে না দিলে গণঅভ্যুত্থানের অর্জন বিনষ্ট হবে।

সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় কর্মসূচি। এতে অংশ নেন উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ও খেলাঘরের শিল্পীরা। এরপর উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সহসভাপতি মাহমুদ সেলিমের সভাপতিত্বে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য দেন উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দে, কেন্দ্রীয় খেলাঘর আসরের সাধারণ সম্পাদক প্রণয় সাহা, চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন এবং সাবেক যুব নেতা গোলাম রাব্বি খান। 

সভাপতির বক্তব্যে মাহমুদ সেলিম বলেন, জাতীয় পতাকা, জাতীয় সংগীত কারও দানে পাওয়া নয়। ত্রিশ লাখ শহীদের রক্ত আর দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে এগুলো অর্জন করা হয়েছে। স্বার্থান্বেষী ও ধর্মান্ধ গোষ্ঠী জাতীয় সংগীত, জাতীয় পতাকা পরিবর্তন করা থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধের মূল সুরকে নস্যাৎ করার চক্রান্তে লিপ্ত। এ সময় বগুড়ায় উদীচীর জেলা কার্যালয়ে হামলার বিচার ও শাস্তি দাবি করেন বক্তারা। আবারও জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে শেষ হয় কর্মসূচি।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: উদ চ শ ল প গ ষ ঠ

এছাড়াও পড়ুন:

গণঅভ্যুত্থানে হত্যায় বিএনপি নেতাকর্মীদের আসামি করার প্রতিবাদে বিক

রাজধানীর মিরপুর থানায় দায়ের করা জুলাই গণঅভ্যুত্থানে হত্যা মামলায় শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীদের নাম অন্তর্ভুক্ত করার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে উপজেলা বিএনপি এবং সহযোগী ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

বুধবার (১ অক্টোবর) বিকেল ৫টায় উপজেলার কোদালপুর বাজার থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে বাজার প্রদক্ষিণ করে কোদালপুর উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে এক ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

আরো পড়ুন:

জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবিতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে বিক্ষোভ

খাগড়াছড়িতে ১৪৪ ধারা বহাল, ২ মহাসড়কে অবরোধ শিথিল

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, গত ২০ সেপ্টেম্বর ঢাকার মিরপুর থানায় ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে প্রধান আসামি করে গণঅভ্যুত্থানে নিহতের ঘটনায় হত্যা মামলা করা হয়। মামলায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি ষড়যন্ত্রমূলকভাবে গোসাইরহাট উপজেলা বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীর নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। অবিলম্বে মামলা থেকে নিরপরাধ বিএনপি নেতাকর্মীদের নাম প্রত্যাহারের দাবি জানান তারা।

গোসাইরহাট উপজেলা বিএনপির সদস্য তারেক আজিজ মোবারক ঢালী বলেন, ‘‘যেসব বিএনপি নেতাকর্মীর নাম মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, তারা সকলে বিগত দিনে স্বৈরাচারি হাসিনাবিরোধী আন্দোলনে আমার সঙ্গে কাজ করেছেন। তাদের ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। আমরা চাই অবিলম্বে তাদের অব্যাহতি দেওয়া হোক।’’ 

কোদালপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি সাইফুল ইসলাম সালু মৃধা বলেন, ‘‘বিগত দিনে বিএনপি করার কারণে আমরা মামলা খেয়েছি, জেল খেটেছি, হামলার শিকার হয়েছি। এখন আবার আমাদের নাম একই মামলায় জড়ানো হয়েছে। এটি ঘৃণিত ষড়যন্ত্র, এর সঙ্গে জড়িতদের বিচার চাই।’’ 

ভুক্তভোগী উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সুমন মৃধা বলেন, ‘‘আমি বিগত দিনে ফ্যাসিস্ট হাসিনার বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রামে সক্রিয় ছিলাম। এমনকি, জুলাই আন্দোলনেও অংশ নিয়েছি। কিন্তু দুঃখের বিষয়, গত ২০ সেপ্টেম্বর আমার নাম মিরপুর থানার মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়।’’ 

তিনি এর তীব্র নিন্দা এবং সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে মামলা থেকে তার নাম প্রত্যাহারের দাবি জানান। 
 

ঢাকা/আকাশ/বকুল 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গণঅভ্যুত্থানে হত্যায় বিএনপি নেতাকর্মীদের আসামি করার প্রতিবাদে বিক
  • গ্রামীণ ব্যাংক ও রাষ্ট্র চালানো এক জিনিস না: ফরহাদ মজহার
  • জুলাই গণঅভ্যুত্থান সাংস্কৃতিক ভিন্নতাকে শক্তিতে রূপান্তর করেছে: সংস্কৃতি উপদেষ্টা