দ্বিতীয় দফায় দলছুট বন্যহাতির চিকিৎসা দিয়েছে বন বিভাগ ও প্রাণিসম্পদ বিভাগ। গতকাল রোববার দুপুরে নালিতাবাড়ী উপজেলার গারো পাহাড়ের বুরুঙ্গা কালাপানি এলাকায় গহিন জঙ্গলে হাতিটির চিকিৎসা দেওয়া হয়। 
১ মে হাতিটির পায়ের ক্ষতস্থানে অস্ত্রোপচার করা হয়। এরপর ক্ষত প্রায় ৮০ শতাংশ সেরে উঠেছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
বন বিভাগ জানায়, একটি বন্যহাতি এক পায়ে কয়েকটি গভীর ক্ষত নিয়ে কাটাবাড়ী পাহাড়ে খুঁড়িয়ে চলছিল। বিষয়টি স্থানীয়দের নজরে এলে তারা বন বিভাগকে জানায়। খবর পেয়ে ময়মনসিংহ বন বিভাগের মধুটিলা রেঞ্জ এবং বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ শেরপুরের তত্ত্বাবধানে ১ মে প্রথম দফায় হাতিটির চিকিৎসার উদ্যোগ নেওয়া হয়। গাজীপুর সাফারি পার্কের ভেটেরিনারি দল ও স্থানীয় প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের চিকিৎসকরা যৌথভাবে হাতিটির চিকিৎসা দেন। পরে হাতিটি পাহাড়ের গহিনে ফিরে যায়। রোববার দ্বিতীয় দফায় খোঁজ নিয়ে হাতির অবস্থান নিশ্চিত করে পুনরায় চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। চিকিৎসা শেষে বনে ফিরে গেছে হাতিটি।
রোববার হাতিটির চিকিৎসায় অংশ নেন গাজীপুর সাফারি পার্কের ভেটেরিনারি সার্জন ডা.

মোস্তাফিজুর রহমান, নালিতাবাড়ী প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের ভেটেরিনারি সার্জন ডা. সাকিব হোসেন সাগর, বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা শাহীন কবির, বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা সুমন সরকার, মধুটিলা রেঞ্জ কর্মকর্তা দেওয়ান আলী প্রমুখ।
মধুটিলা ইকোপার্কের রেঞ্জ কর্মকর্তা দেওয়ান আলী জানান, ১০-১২ বছর বয়সী হাতিটির সামনের ডান পায়ে বল্লমের আঘাতের গভীর ক্ষত ছিল। এ কারণেই হাতিটি দলছুট হয়ে পড়েছিল এবং খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে জঙ্গলের ভেতরে একাই চলাফেরা করছিল। বন বিভাগের পক্ষ থেকে হাতিটির ওপর নজরদারির পাশাপাশি চিকিৎসাসেবা অব্যাহত থাকবে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: কর মকর ত বন ব ভ গ

এছাড়াও পড়ুন:

জামায়াত আমিরের হার্টে ৩ ব্লক, বাইপাস সার্জারির সিদ্ধান্ত

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের হৃদযন্ত্রে তিনটি বড় ব্লক ধরা পড়েছে। চিকিৎসকদের পরামর্শে তার বাইপাস সার্জারি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এখন তিনি ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) সকালে ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম জানান, চিকিৎসক দলের প্রধান কার্ডিওলজিস্ট ডা. মমিনুজ্জামানের তত্ত্বাবধানে গতকাল বিকেলে ৪টায় তাঁর এনজিওগ্রাম করা হয়। পরীক্ষায় দেখা যায়, হৃদযন্ত্রে রয়েছে তিনটি বড় ব্লক। বাইপাস সার্জারিই সর্বোত্তম চিকিৎসা হিসেবে বিবেচনা করছেন চিকিৎসকরা।
এর আগে ১৯ জুলাই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জামায়াতের জাতীয় সমাবেশে বক্তৃতা দেওয়ার সময় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন ডা. শফিকুর রহমান। প্রথমবার পড়ে যাওয়ার পর উঠে দাঁড়িয়ে আবার বক্তব্য শুরু করলেও দ্বিতীয়বার পড়ে গেলে আর দাঁড়াতে পারেননি। পরে তাকে দ্রুত ইবনে সিনা হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেদিন গুরুতর কিছু ধরা না পড়ায় তিনি বাসায় ফিরে যান।

নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার অংশ হিসেবে ৩০ জুলাই সকালে তাকে ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপরই ধরা পড়ে হার্টের তিনটি ব্লক।

জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জুবায়ের জানান, চিকিৎসকরা আরো কিছু পরীক্ষা করছেন। সেগুলোর ফলাফলের ওপর ভিত্তি করেই বাইপাস সার্জারির সময় নির্ধারণ করা হবে।

ডা. শফিকুর রহমানের পিএস মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম আরো জানান, বর্তমানে তাঁর শারীরিক অবস্থা মোটামুটি স্থিতিশীল। সার্জারির প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে, তবে এখনো নির্দিষ্ট তারিখ চূড়ান্ত হয়নি।

ঢাকা/কেএন/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জামায়াত আমিরের হার্টে ৩ ব্লক, বাইপাস সার্জারির সিদ্ধান্ত