রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে একটি উপ–কমিটি গঠন করা হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমদকে কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে। আগামী তিন দিনের মধ্যে এই কমিটি তাদের সুপারিশ জমা দেবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, গতকাল মঙ্গলবার ‘রমনা পার্কের ন্যায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের উন্নয়ন ও নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে সুপারিশ প্রণয়ন’–সংক্রান্ত কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়। ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনের কনফারেন্স কক্ষে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শাকিলা জেরিনের সভাপতিত্বে এ সভা হয়।

সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদসহ ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি), ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, রমনা কালীমন্দির কর্তৃপক্ষ ও বাংলা একাডেমির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে জানানো হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অনুরোধে ইতিমধ্যে সোহ্‌রাওয়ার্দী উদ্যানে অভিযান চালিয়ে ভাসমান মানুষ ও ভ্রাম্যমাণ দোকান উচ্ছেদ করা হয়েছে। প্রতিদিনই মাদকবিরোধী অভিযান চলছে। এ ছাড়া ২৪টি সিসিটিভি স্থাপন করা হয়েছে। পর্যাপ্ত আলোর জন্য ৮৫টি বাতি লাগানো হয়েছে। শিগগিরই মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও পুলিশের দুটি ক্যাম্প স্থাপনের কাজ শুরু হবে। এ ছাড়া উদ্যানে দায়িত্বরত আনসারের সদস্য বাড়িয়ে ৪০ জন করা হয়েছে।

আরও পড়ুনসোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছুরিকাঘাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নিহত১৩ মে ২০২৫

উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এলাকায় দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এ এফ রহমান হল শাখা ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক শাহরিয়ার আলম নিহত হন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী ছিলেন। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিচারের দাবিতে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ হচ্ছে।

আরও পড়ুনশাহরিয়ার ও তাঁর দুই বন্ধুর ওপর হামলা চালায় ১০–১২ জনের একটি দল১৪ মে ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

মায়ের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিল কিশোরী, সাপের কামড়ে মৃত্যু

চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় সাপের কামড়ে এক কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের সরেঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরিবারের সদস্যরা জানান, রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় ওই কিশোরীকে একটি বিষধর সাপ ছোবল দেয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর মৃত্যু হয় তার।

নিহত কিশোরীর নাম নাঈমা আকতার (১৩)। সে আনোয়ারার রায়পুর ইউনিয়নের সরেঙ্গা গ্রামের বক্সি মিয়াজিবাড়ির মোহাম্মদ হাসানের মেয়ে। স্থানীয় একটি মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ছিল সে।

পরিবারের সদস্যরা জানান, রাতে খাওয়াদাওয়া সেরে মা ও ছোট বোনের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিল নাঈমা। রাত তিনটার দিকে সাপের ছোবলে তার ঘুম ভাঙে। বিষয়টি পরিবারের সদস্যদের জানালে তাকে উদ্ধার করে রাতেই আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। তবে ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক নাঈমাকে মৃত ঘোষণা করেন। জানতে চাইলে নাঈমার চাচা কফিল উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন বলেন, ‘সাপে কামড় দিয়েছে জানার পর আমরা নাঈমাকে হাসপাতালে নিয়েছিলাম। কিন্তু তাকে বাঁচানো যায়নি।’

আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চিকিৎসক মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, সাপে কামড় দেওয়া এক কিশোরীকে হাসপাতালে আনা হয়ছিল। তবে হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ