নারায়ণগঞ্জ জেলায় সড়ক দূর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত আহত/নিহত ১৫টি পরিবারের অনূকুলে মঞ্জুরিকৃত অর্থের চেক প্রদান করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২২ মে) বিকেলে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ চেক প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

জেলা প্রশাসন ও বিআরটিএ এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক মোঃ জাহিদুল ইসলাম মিঞা। 

প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, একটি দূর্ঘটনা একটি পরিবারের সারা জীবনের কান্না। যে দূর্ঘটনার শিকার হয়েছে সে তো চলে গেছে কিন্তু যে পরিবারটি সেই মানুষটিকে হারালো তার কষ্ট আমরা বুঝতে পারবোনা। আমরা চাই কেউ যেন এমন দূর্ঘটনার শিকার না হয়।

এজন্য আমাদেরকে আরো বেশী সতর্ক হতে হবে। যারা যারা এমন দূর্ঘটনার শিকার হয়েছেন তাদের উচিত অন্য সকলকে সচেতন করে তোলা। পরিবারে যারা কর্তা ব্যক্তি রয়েছেন তাদের কাজ হচ্ছে রাস্তায় চলাচলের ব্যাপারে পরিবারের প্রতিটি সদস্যকে সচেতন করে তোলা এবং পরিবহন চালনার ক্ষেত্রে অবশ্যই ড্রাইভিং লাইসেন্স করে নেওয়া। 

তিনি আরও বলেন, আমরা সবাই যখন বসে থাকি, আড্ডা দেই, গল্প করি তখন কোন তাড়া থাকেনা। যখনই আমরা কোন কাজের উদ্দেশ্যে বের হই তখনই তাড়াহুড়ো শুরু হয়ে যায়। এমনকি রাস্তা পার হওয়ার সময়ও আমরা ঠিক মত না দেখেই পার হতে থাকি। আমাদেরকে সাবধান হতে হবে, যাতে করে তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে যেন আমাদের পরিবারে দুঃখের ছায়া নেমে না আসে।

বক্তব্য শেষে জেলা  ১৫টি পরিবারের মাঝে ৬৭ লক্ষ টাকার চেক প্রদান করেন। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আলমগীর হোসেন, সহকারী পুলিশ সুপার ইব্রাহিম সহ প্রমুখ।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: সড়ক দ র ঘটন ন র য়ণগঞ জ পর ব র র দ র ঘটন

এছাড়াও পড়ুন:

পুণ্যস্নান মধ্য দিয়ে কুয়াকাটায় শেষ হলো রাস উৎসব, মেলা চলবে ৫ দিন

বঙ্গোপসাগরে পুণ্যস্নান ও পূজার মধ্য দিয়ে পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় শেষ হয়েছে রাস উৎসব। বুধবার (৫ নভেম্বর) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে সমুদ্রে নেমে স্নান সম্পন্ন করেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। সৈকত সংলগ্ন শ্রী শ্রী রাধাকৃষ্ণ তীর্থযাত্রী সেবাশ্রমে ১৭ জোড়া যুগল প্রতিমা দর্শন করেন তারা। 

এর আগে, মোমবাতি, আগরবাতি, ফুল, ফল, দুর্বা, হরতকি, ডাব, কলা, তেল ও সিঁদুর সমুদ্রের জলে অর্পণ করেন তারা। লক্ষাধিক নারী-পুরুষের উপস্থিতি এবং উলুধ্বনি ও মন্ত্রপাঠে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো সৈকত এলাকা। অনেকে প্রায়শ্চিত্ত ও পূর্ব পুরুষদের আত্মার শান্তি কামনায় পিন্ডদানের পাশাপাশি মাথা ন্যাড়া করেন। মতুয়া সম্প্রদায়ের নারী-পুরুষরা সৈকতে স্নানের আগে ঢাকা-ঢোলের তালে হরিনাম জপে মাতোয়ারা হয়ে ওঠেন।

আরো পড়ুন:

বাউফলে খেলার মাঠে মেলা বন্ধের দাবিতে সড়কে বিক্ষোভ

লালন মেলায় ৭৮ মোবাইল ফোন চুরি

রাসপূজা আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হলেও এ উৎসব উপলক্ষে কলাপাড়ার মদনমোহন সেবাশ্রম মন্দিরে পাঁচ দিনব্যাপী চলবে মেলা। 

রাস উৎসবে অংশ নিকে আসা পুণ্যার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে তৎপর ছিল পুলিশ, নৌ-পুলিশ, ট্যুরিস্ট পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। 

পিরোজপুরের নাজিরপুর থেকে আসা পুণ্যার্থী মুক্তা রানী বলেন, “প্রতিবছরের মতো এবারো আমরা রাস পূজা উপলক্ষে কুয়াকাটায় এসেছি। রাতভর ধর্মীয় সঙ্গীতানুষ্ঠান উপভোগ  করেছি। সকালে পুণ্যের আশায় স্নান করেছি এবং কৃষ্ণের কাছে মনোবাসনা ব্যক্ত করেছি।” 

ঢাকার কাকরাইল এলাকা থেকে আসা অর্চনা রানী বলেন, “জাগতিক পাপ মোচনের আশায় স্নান করেছি। পৃথিবীর সব জীবের জন্য শান্তি কামনা করেছি। এখানে হাজার হাজার মানুষ এসেছেন। সবাই খুব ভোরে স্নান করেছেন। এর আগে, মন্দিরসহ পুরো সৈকত এলাকায় সব ধর্মীয় অনুষ্ঠান উপভোগ করেছি।”

কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান বলেন, “মাঠে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা মোতায়ন ছিলেন। সবার সহযোগিতায় কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই শান্তিপূর্ণভাবে রাস উৎসব সম্পন্ন হয়েছে।” 

ঢাকা/ইমরান/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ