দূর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হতাহত ১৫টি পরিবারের মাঝে ৬৭ লাখ টাকার চেক প্রদান
Published: 22nd, May 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জ জেলায় সড়ক দূর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত আহত/নিহত ১৫টি পরিবারের অনূকুলে মঞ্জুরিকৃত অর্থের চেক প্রদান করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২২ মে) বিকেলে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ চেক প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
জেলা প্রশাসন ও বিআরটিএ এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক মোঃ জাহিদুল ইসলাম মিঞা।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, একটি দূর্ঘটনা একটি পরিবারের সারা জীবনের কান্না। যে দূর্ঘটনার শিকার হয়েছে সে তো চলে গেছে কিন্তু যে পরিবারটি সেই মানুষটিকে হারালো তার কষ্ট আমরা বুঝতে পারবোনা। আমরা চাই কেউ যেন এমন দূর্ঘটনার শিকার না হয়।
এজন্য আমাদেরকে আরো বেশী সতর্ক হতে হবে। যারা যারা এমন দূর্ঘটনার শিকার হয়েছেন তাদের উচিত অন্য সকলকে সচেতন করে তোলা। পরিবারে যারা কর্তা ব্যক্তি রয়েছেন তাদের কাজ হচ্ছে রাস্তায় চলাচলের ব্যাপারে পরিবারের প্রতিটি সদস্যকে সচেতন করে তোলা এবং পরিবহন চালনার ক্ষেত্রে অবশ্যই ড্রাইভিং লাইসেন্স করে নেওয়া।
তিনি আরও বলেন, আমরা সবাই যখন বসে থাকি, আড্ডা দেই, গল্প করি তখন কোন তাড়া থাকেনা। যখনই আমরা কোন কাজের উদ্দেশ্যে বের হই তখনই তাড়াহুড়ো শুরু হয়ে যায়। এমনকি রাস্তা পার হওয়ার সময়ও আমরা ঠিক মত না দেখেই পার হতে থাকি। আমাদেরকে সাবধান হতে হবে, যাতে করে তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে যেন আমাদের পরিবারে দুঃখের ছায়া নেমে না আসে।
বক্তব্য শেষে জেলা ১৫টি পরিবারের মাঝে ৬৭ লক্ষ টাকার চেক প্রদান করেন। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আলমগীর হোসেন, সহকারী পুলিশ সুপার ইব্রাহিম সহ প্রমুখ।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: সড়ক দ র ঘটন ন র য়ণগঞ জ পর ব র র দ র ঘটন
এছাড়াও পড়ুন:
মরিশাসের কাছে চাগোস হস্তান্তর প্রক্রিয়া স্থগিত
মরিশাসের কাছে ভারত মহাসাগরে অবস্থিত চাগোস দ্বীপপুঞ্জ হস্তান্তর প্রক্রিয়া সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। উচ্চ আদালতের নির্দেশে তা করা হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে যুক্তরাজ্য ও মরিশাস সরকারের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি শেষ মুহূর্তে সাময়িকভাবে স্থগিত হয়ে গেল।
বিবিসি জানিয়েছে, দুই চাগোসীয় নারীর করা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল বৃহস্পতিবার ভোররাতে বিচারপতি গুজ এই আদেশ দেন। ফলে চুক্তিটি স্বাক্ষরের আগেই স্থগিত করা হয়েছে। কথা ছিল, চুক্তিটির আওতায় যুক্তরাজ্য চাগোস দ্বীপপুঞ্জ মরিশাসের হাতে তুলে দেবে। আর এই দ্বীপপুঞ্জের বৃহত্তম দ্বীপ দিয়েগো গার্সিয়ায় অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের যৌথ সামরিক ঘাঁটি আরও ৯৯ বছরের জন্য ব্যবহার চালিয়ে যেতে পারবে। বৃহস্পতিবার এই চুক্তি স্বাক্ষরের ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের অংশ নেওয়ার কথা ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত তা আর হয়নি।
এর আগে এই চুক্তিটি নিয়ে চাগোস দ্বীপপুঞ্জের বাসিন্দাদের একটি অংশ থেকে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া এসেছিল। বার্নাডেট ডুগাস ও বার্ট্রিস পম্প নামে চাগোসের দু’জন নারী তাদের জন্মভূমি দিয়েগো গার্সিয়ায় গিয়ে বসবাস করতে চেয়ে সম্ভাব্য চুক্তিটির বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। তবে প্রস্তাবিত চুক্তি তো বটেই, বর্তমান ব্যবস্থায়ও গার্সিয়া দ্বীপে চাগোসবাসীর ফেরার অনুমতি নেই।
মামলা করা দুই নারীর আইনজীবী মাইকেল পোলাক বলেন, চাগোসবাসীর সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে পরামর্শ না করেই সরকার তাদের জন্মভূমি দিয়ে দেওয়ার যে উদ্যোগ নিচ্ছে, তা চাগোসবাসীর প্রতি অতীতের নিষ্ঠুর আচরণেরই ধারাবাহিকতা।
চুক্তি নিয়ে চাগোসবাসীর হতাশা ও ক্ষোভ বৃহস্পতিবার আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে যখন ব্রিটিশ পররাষ্ট্র সচিব ডেভিড ল্যামি ও মন্ত্রী স্টিফেন ডোটি চাগোসীয় প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকের পর ‘চাগোসিয়ান ভয়েস’ সংগঠনের সদস্য জেমি সাইমন বলেন, এই চুক্তিতে আমাদের জন্য ভালো কিছু নেই। আমি আতঙ্কিত ও ক্ষুব্ধ।
চাগোস দ্বীপপুঞ্জ ১৯৬৫ সালে মরিশাস থেকে আলাদা করা হয়েছিল। সেই সময় ব্রিটিশ উপনিবেশের অধীনে ছিল মরিশাস। সেই সময় মাত্র ৩০ লাখ পাউন্ডে দ্বীপগুলো কিনে নিয়েছিল ব্রিটেন। তবে মরিশাসের দাবি, স্বাধীনতা অর্জনের জন্য চাপে পড়ে তারা এসব দ্বীপকে আইনবিরোধীভাবে হারাতে হয়েছিল। এর পর ১৯৭১ সালে একটি অভিবাসন আদেশের মাধ্যমে চাগোসবাসী নিজেদের জন্মভূমিতে ফেরত আসা নিষিদ্ধ করা হয়।
এদিকে জাতিসংঘের আদালত ও সাধারণ পরিষদ সম্প্রতি চাগোস দ্বীপপুঞ্জ নিয়ে মরিশাসের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। ২০২২ সালে যুক্তরাজ্যের তৎকালীন কনজারভেটিভ সরকার চুক্তি নিয়ে আলোচনা শুরু করলেও তা চূড়ান্ত করতে পারেনি। লেবার সরকার ক্ষমতায় আসার পর আলোচনা আবারও এগোতে শুরু করে।