ত্রাণ নিতে আসা ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৫
Published: 24th, May 2025 GMT
ত্রাণ নিতে আসা ফিলিস্তিনিদের ওপর গুলি চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। শনিবার ইসরায়েলি হামলায় অন্তত পাঁচ জন নিহত ও ৫০ জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে আল-জাজিরা।
সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, শনিবার দক্ষিণ গাজায় একটি ট্রাকের সামনে ত্রাণ নেওয়ার জন্য লোকজন জড়ো হচ্ছিল। এসময় তাদের লক্ষ্য করে হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। এ ঘটনায় অন্তত পাঁচ জন নিহত ও ৫০ জন আহত হয়েছে।
ইসরায়েল ১১ সপ্তাহ ধরে গাজা অবরোধ করে রেখেছে। আন্তর্জাতিক চাপের মুখে চলতি সপ্তাহে সীমিত পরিসরে গাজায় ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ করতে দিচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। এই সামান্য ত্রাণ তাঁবু ও অন্যান্য অস্থায়ী বাসস্থানে আশ্রয় নেওয়া লোকদের জন্য যথেষ্ট নয় বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো।
শুক্রবার ডাকাতদের ঠেকাতে ত্রাণ ট্রাক পাহারা দেওয়ায় নিয়োজিত ব্যক্তিদের ওপর হামলা চালিয়েছিল ইসরায়েল। ওই ঘটনায় কমপক্ষে ছয়জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’