দাবি আদায়ে কর্মবিরতিতে প্রাথমিকের শিক্ষকরা
Published: 26th, May 2025 GMT
সহকারী শিক্ষক পদকে এন্ট্রি পদ ধরে ১১তম গ্রেডে বেতন নির্ধারণসহ তিন দাবিতে পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি পালন করছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।
সোমবার (২৬ মে) সকাল থেকে তারা এ কর্মসূচি পালন করছেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষক নেতারা।
সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদের ডাকে তিন দফা দাবি আদায়ে কর্মবিরতি কর্মসূচির অংশ হিসেবে অর্ধদিবস কর্মবিরতি রবিবার (২৫ মে) শেষ হয়। এরপর আজ থেকে পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক ও বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ শামছুদ্দীন মাসুদ বলেন, “দাবি পূরণ না হওয়ায় আমরা পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি পালন করছি।”
এর আগে তিন দফা দাবিতে ৫ মে থেকে ১৫ পর্যন্ত ১ ঘণ্টা, ১৬ মে থেকে ২০ মে পর্যন্ত ২ ঘণ্টা, ২১ মে থেকে ২৫ মে পর্যন্ত অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করেছেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা।
শিক্ষকদের তিন দাবি হলো- কনসালটেশন কমিটির সুপারিশের যৌক্তিক সংস্কার করে সহকারী শিক্ষক পদকে এন্ট্রি পদ ধরে ১১তম গ্রেডে বেতন নির্ধারণ, ১০ বছর ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্তির জটিলতা নিরসন এবং প্রধান শিক্ষক পদে শতভাগ পদোন্নতিসহ দ্রুত পদোন্নতি প্রদান।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের তথ্য মতে, দেশে ৬৫ হাজার ৬২০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পৌনে ৪ লাখেরও বেশি সহকারী শিক্ষক কর্মরত। এখন সহকারী শিক্ষকরা ১৩তম গ্রেডে ও প্রধান শিক্ষকরা ১১তম গ্রেডে বেতন পাচ্ছেন।
অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর গত অক্টোবরে প্রাথমিক ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা সংস্কারে পরামর্শক কমিটি গঠন করা হয়। এর আহ্বায়ক করা হয় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের এমিরেটাস অধ্যাপক মনজুর আহমেদকে। কমিটিতে একজন সদস্য সচিব এবং ৭ জন সদস্য ছিলেন। গত ১০ ফেব্রুয়ারি কমিটি সুপারিশ প্রতিবেদন জমা দেয়।
কমিটির পক্ষ থেকে, সহকারী শিক্ষক পদ বিলুপ্ত করে এন্ট্রি লেভেলের শিক্ষক পদে ১২তম গ্রেডে বেতন দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। প্রধান শিক্ষকদের বেতন ১০ম গ্রেডে দেওয়া এবং পদোন্নতির মাধ্যমে প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে।
এরপর গত ২৪ এপ্রিল ১১তম গ্রেডে বেতন পাওয়া প্রধান শিক্ষকদের বেতন ১০ম গ্রেডে ও ১৩তম গ্রেডের শিক্ষকদের বেতন ১২তম গ্রেডে উন্নিত করার উদ্যোগ নেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
ঢাকা/হাসান/ইভা
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ১১তম গ র ড শ ক ষকদ র শ ক ষকর সরক র সহক র
এছাড়াও পড়ুন:
কুষ্টিয়ার যে বাড়ি থেকে সুব্রত বাইন আটক হয়েছে
গ্রেপ্তারের জন্য ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারি করা শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইনকে কুষ্টিয়ার কালিশংকরপুর থেকে গ্রেপ্তার করেছে সেনাবাহিনী।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, মঙ্গলবার (২৭ মে) ভোরে তিনতলা ভবনে অভিযান চালিয়ে নিচতলা থেকে দুজনকে নিয়ে যায় সেনা সদস্যরা। তাদের একজন সুব্রত বাইন। দেড় মাস আগে তারা এই বাসা ভাড়া নিয়েছিলেন।
সকালে কুষ্টিয়া পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কালিশংকরপুরে সোনার বাংলা মসজিদ সড়কে গিয়ে দেখা যায়, মীর মহিউদ্দিনের মালিকানাধীন তিনতলা ভবনের সামনে এলাকাবাসীর ভিড়। কোনো একটা বিষয় নিয়ে কানাঘুষা করছেন তারা। সাংবাদিকদের দেখে অনেকে স্থান ত্যাগ করেন। যারা দাঁড়িয়ে ছিলেন, তারাও কথা বলতে রাজি হয়নি।
আরো পড়ুন:
ছাত্রী হেনস্থার প্রতিবাদ করায় ঢাবির ২ শিক্ষার্থীকে মারধর
কেএনএফের ইউনিফর্ম উদ্ধার, গার্মেন্টস মালিকসহ ৩ জন গ্রেপ্তার
সুব্রত বাইন
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, দেড় মাস আগে মৃত মীর মহিউদ্দিনের বাড়ির নিচতলা ভাড়া নেন। তাদের বাড়ি ভাড়া নিতে সহযোগিতা করেন স্থানীয় প্রবাসফেরৎ হেলাল নামে এক যুবক। বাড়ির নিচতলা ভাড়া নেয়ার পর থেকে দরজা-জানালা খুলতে দেখেননি স্থানীয়রা। দোতলায় ছাত্রাবাস। ভোরে বাড়িটির তালা ভাঙার শব্দ পেয়ে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। এরপর দেখতে পান সেনা সদস্যরা বাড়িটি ঘিরে অভিযান চালাচ্ছেন। এর কিছুক্ষণ পর দুজনকে গ্রেপ্তার করে গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে জানতে পারেন, এই বাড়িতেই ভাড়া থাকতেন শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ও তার সহযোগীরা। এরপর থেকে আতঙ্কে দিন কাটছে এলাকাবাসী।
দুপুরে কুষ্টিয়া জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফয়সাল মাহমুদ, কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশাররফ হোসেনসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিটের কর্মকর্তা ও সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন৷ এ সময় তারা ওই ভবনের ভাড়াটিয়া ও আশপাশের বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন।
সকালে ওই ভবন পুলিশের কর্মকর্তারা পরিদর্শন করেন
এ বিষয়ে পুলিশের কর্মকর্তারা বলেন, ‘‘আজ আমাদের অভিযান ছিল না। হয়ত অন্য কোনো বাহিনী অভিযান করেছে। বিভিন্ন জায়গা থেকে শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইনসহ তার সহযোগীকে আটকের বিষয়টি শুনেছি। তবে এখনো পর্যন্ত আমরা নিশ্চিত হতে পারিনি, কে বা কারা কাকে আটক করেছে। তবে খবর শুনে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এখনই নিশ্চিত করে কোনো কিছু বলতে পারছি না। তবে বিষয়টি জানার চেষ্টা করছি।’’
২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকারের আমলে সুব্রত বাইনকে ধরিয়ে দিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পুরস্কার ঘোষণা করে। পুরস্কার ঘোষিত ২৩ শীর্ষ সন্ত্রাসীর একজন ছিলেন সুব্রত বাইন।
ঢাকা/কাঞ্চন/বকুল