৩২ বছর পর নির্মিত হচ্ছে ‘খলনায়ক’ সিনেমার সিক্যুয়েল
Published: 26th, May 2025 GMT
সুভাষ ঘাই নির্মিত বলিউডের আলোচিত সিনেমা ‘খলনায়ক’। সিনেমাটির কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেন সঞ্জয় দত্ত, মাধুরী দীক্ষিত, জ্যাকি শ্রফ। ১৯৯৩ সালের ৬ আগস্ট মুক্তি পায় সিনেমাটি। তারপর কেটে গেছে প্রায় ৩২ বছর। দীর্ঘ তিন দশক পর নির্মিত হচ্ছে সিনেমাটির সিক্যুয়েল। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার।
এ বিষয়ে কথা বলতে পরিচালক সুভাষ ঘাইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে সংবাদমাধ্যমটি। সিক্যুয়েল নির্মাণের তথ্য নিশ্চিত করে সুভাষ ঘাই বলেন, “হ্যাঁ, চিত্রনাট্যের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। সিনেমাটির অভিনয়শিল্পী ও টেকনিশিয়ানদের খুব দ্রুত চূড়ান্ত করা হবে।”
‘খলনায়ক’ সিনেমার পূর্বের শিল্পীরা সিক্যুয়েলে অভিনয় করবেন কি না তা নিশ্চিত করেননি সুভাষ ঘাই।
আরো পড়ুন:
সঞ্জয়ের বাড়িতে শর্ট ড্রেস পরে যাওয়ার অনুমতি নেই: আমিশা
ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করে জয়ী তারা
অন্য একটি প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ‘খলনায়ক’ সিনেমার প্রধান চরিত্র রূপায়নকারী সঞ্জয় দত্ত, মাধুরী দীক্ষিত, জ্যাকি শ্রফের মতো তারকারা সিক্যুয়েলে অভিনয় করবেন না। তবে তাদের ক্যামিও চরিত্রে দেখা যেতে পারে। আর মূল চরিত্রগুলোর জন্য নতুন তারকাদের বেছে নেবেন নির্মাতারা।
নব্বই দশকের সুপারহিট ‘খলনায়ক’ সিনেমায় আরো অভিনয় করেন— অনুপম খের, রাখি গুলজার, রম্যা কৃষ্ণান, নীনা গুপ্তা প্রমুখ।
‘খলনায়ক’ সিনেমা মুক্তির পর সেই বছরের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আয়কারী চলচ্চিত্র ছিল। নব্বই দশকের চতুর্থ সর্বোচ্চ আয়কারী হিন্দি চলচ্চিত্রও এটি। শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রসহ দশটি বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করে। সেরা নারী প্লেব্যাক শিল্পী ও সেরা নৃত্যপরিচালকের পুরস্কারও জিতে নেয় সিনেমাটি।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র চর ত র
এছাড়াও পড়ুন:
বিহারের ভোটার তালিকা নিয়ে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট: ‘মৃত’ নন জীবিত এমন ১৫ জনকে হাজির করলে ব্যবস্থা
বিহারে খসড়া ভোটার তালিকায় ‘মৃত’ চিহ্নিত ১৫ জন জীবিতকে হাজির করাতে পারলে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট ব্যবস্থা নেবেন। বিহারের ভোটার তালিকার নিবিড় সংশোধন (এসআইআর) প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে মামলাকারীদের আইনজীবীদের এ আশ্বাস দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট।
সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতি সূর্য কান্ত ও জয়মাল্য বাগচী এ আশ্বাস দিয়ে বলেছেন, নির্বাচন কমিশন (ইসি) সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করছে। কিন্তু তার অর্থ এই নয় যে তাদের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। গণহারে ভোটার বাদ দেওয়া দেওয়া হলে তাঁরা অবশ্যই পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।
আবেদনকারীদের উদ্দেশে দুই বিচারপতি বলেছেন, প্রক্রিয়ায় অনিয়ম বা ত্রুটি পাওয়া গেলে অবশ্যই তাঁরা ব্যবস্থা নেবেন।
মামলাকারীদের আবেদন মেনে সুপ্রিম কোর্ট অবশ্য খসড়া ভোটার তালিকা পেশ করার ওপর স্থগিতাদেশ দেননি। তবে ইসিকে তাঁরা বলেছেন, তাদের কাজ গণহারে ভোটার বাদ দেওয়া নয়। তাদের দেখা উচিত যাতে গণহারে ভোটারদের তালিকাভুক্ত করা যায়।
এসআইআর–প্রক্রিয়া অনুযায়ী ভোটার তালিকা সংশোধনের পর খসড়া তালিকা প্রকাশ করা হবে ১ আগস্ট। সে লক্ষ্যেই ইসি এগিয়ে চলেছে। ইসি সূত্রে খবর, নিবিড় সংশোধনপ্রক্রিয়ার পর প্রাথমিকভাবে দেখা যাচ্ছে ৬৫ লাখেরও বেশি নাম খসড়া তালিকা থেকে বাদ যাচ্ছে। তাঁদের মধ্যে অন্তত ২২ জন ‘মৃত’, ৩৬ লাখ ‘নিখোঁজ’। এ ছাড়া বেশ কয়েক লাখ ভোটারের নাম বিভিন্ন এলাকার তালিকায় রয়েছে। অর্থাৎ একই ভোটার অন্তত দুই জায়গায় নথিভুক্ত। আগের তালিকা অনুযায়ী বিহারে মোট ভোটারের সংখ্যা ৭ কোটি ৮৯ লাখ। ইসির দাবি, এই তালিকায় বহু ভোটার ভুয়া। তাদের বাদ দিতেই এই নিবিড় সংশোধন।
যে প্রক্রিয়ায় এই খসড়া তালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে, মামলাকারীদের আপত্তি তা নিয়েই। তাঁদের অভিযোগ, ইসি যেভাবে নাগরিকত্বের যাচাই করছে, সে জন্য যেসব নথি পেশ করতে বলা হচ্ছে, তা বহু ক্ষেত্রে সম্ভবপর নয়। তেমন করা তাদের কাজও নয়। সেই কাজ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের। তাঁদের অভিযোগ, এভাবে বহু দরিদ্র ও প্রান্তিক মানুষের ভোটাধিকার ইসি কেড়ে নিচ্ছে।
গত সোমবার ও মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার শুনানি হয়। মঙ্গলবারের শুনানিতে মামলাকারীদের আইনজীবী কপিল সিব্বাল ও প্রশান্ত ভূষণকে আশ্বস্ত করে বিচারপতিরা বলেন, কমিশনের ত্রুটি–বিচ্যুতি দেখলে তাঁরা অবশ্যই ব্যবস্থা নেবেন। ভোটার প্রমাণে আধার কার্ড ও ভোটার কার্ডকে নথি হিসেবে গ্রাহ্য করার সুপারিশ বিচারপতিরা জোরের সঙ্গে করেছেন। এই দুই নথি জাল করা সহজ বলে ইসির দাবি নস্যাৎ করে বিচারপতিরা বলেছেন, যে ১১টি নথির ওপর নির্ভর করে তারা সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, সেগুলোর প্রতিটিই জাল করা সম্ভব। কপিল সিব্বাল ও প্রশান্ত ভূষণকে বিচারপতিরা বলেন, খসড়া ভোটার তালিকায় ‘মৃত’ অথচ আসলে জীবিত, এমন ১৫ জনকে আপনারা হাজির করুন। আমরা ব্যবস্থা নেব।
আগামী ১২ ও ১৩ আগস্ট এই মামলার পরবর্তী শুনানি। তার আগে ৮ আগস্টের মধ্যে মামলাকারীদের বক্তব্য লিখিতভাবে আদালতে পেশ করতে হবে।