খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গার উপজেলার আচালং সীমান্ত দিয়ে আরও ১৯ জনকে পুশইন করিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিএসএফ।
সোমবার ভোররাতে তাদেরকে অবৈধভাবে প্রবেশ করানো হয়েছে বলে জানা গেছে। বর্তমানে তাদেরকে বিজিবির হেফাজতে স্থানীয় আচালং ডিপি পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রাখা হয়েছে। এদের মধ্যে ৭ জন পুরুষ ,৭ জন নারী ও ৫ জন শিশু।
অনুপ্রবেশকারীরা জানান, কাজের সন্ধানে তারা ভারতের হরিয়ানা গিয়েছিল। ভারতের হরিয়ানা থেকে বিমান যোগে তাদের আগরতলায় নিয়ে আসা হয়। পরে সেখান থেকে দক্ষিণ ত্রিপুরার করবুক'র সীমান্তবর্তী গুলোমনিপাড়ায় নিয়ে আসে বিএসএফ। আজ ভোর রাতে জোরপূর্বক বাংলাদেশে পুশইন করিয়ে দেয়। তারা বাংলাদেশের কুড়িগ্রাম জেলার বাসিন্দা বলে দাবি করেছে।
তবে এ বিষয়ে বিজিবির পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
অনুপ্রবেশের বিষয়টি নিশ্চিত করে মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মঞ্জুরুল আলম বলেন, অনুপ্রবেশকারীদের দাবি তাদের বাড়ি বাংলাদেশের কুড়িগ্রামে। তবে তাদের দাবি সঠিক কিনা পুলিশের বিশেষ শাখার মাধ্যমে যাচাই করা হচ্ছে। পরিচয় নিশ্চিত হলে তাদের নিজ নিজ এলাকায় পাঠিয়ে দেওয়া হবে। অন্যথায় অনুপ্রবেশের দায়ে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এর আগে চলতি মাসে দুই দফায় ৮৬ জনকে জোড় করে বাংলাদেশে পাঠিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিএসএফ।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: প শইন
এছাড়াও পড়ুন:
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ১৭ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার বিভীষণ সীমান্ত দিয়ে নারী ও শিশুসহ ১৭ জনকে ভারত থেকে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। তাদেরকে বাংলাদেশ ভূ-খণ্ড থেকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
মঙ্গলবার (২৭ মে) ভোরে বিএসএফ সদস্যরা ওই ১৭ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠিয়ে দেয়। তাদের মধ্যে চারজন নারী, চারজন পুরুষ এবং নয়জন শিশু।
এদিন বিকেলেই তাদেরকে গোমস্তাপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ১৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম।
আটককৃতরা হলেন—কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ি উপজেলার কাশিপুর গ্রামের মৃত জেয়ার ব্যাপারীর ছেলে মফিজুল হক (২৬), তার স্ত্রী মোছা. মনজু বেগম (২২), তাদের সন্তান মোছা. মিতু আক্তার (১৩), মো. বেলাল (৪) ও মরিয়ম (২); একই উপজেলার দাশিয়ারছড়া-বালাটরি এলাকার সামসুদ্দিনের ছেলে শাহাজুল ইসলাম (৪২), তার ছেলে মামুন মিয়া (১৮), মো. মাসুদ (১৩) ও রিদয় ইসলাম (৪); নাগেশ্বরীর এগার মাথা এলাকার মৃত বক্তার আলীর স্ত্রী রফিয়া বেগম (৬০) ও তার মেয়ে ববিতা বেগম (৩৪); গোসাইবাড়ি এলাকার অতুল চন্দ্র বর্মণের ছেলে বুলু চন্দ্র বর্মণ (৪০) ও তার স্ত্রী সুনোতি রানী (৩৪), তাদের সন্তান সুশান্ত চন্দ্র বর্মণ (৮), সুমন চন্দ্র বর্মণ (৬), গোপাল চন্দ্র বর্মণ (৪) ও বুলবুলি চন্দ্র বর্মণ (১৬)।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ওই ব্যক্তিরা কুড়িগ্রাম সীমান্ত দিয়ে ভারতে অবৈধভাবে প্রবেশ করেন। সেখানে গিয়ে তারা বিভিন্ন স্থানে কাজ করতেন। চলতি বছরের ১৭ মে ভারতের হারিয়ানা প্রদেশ থেকে তাদেরকে আটক করে স্থানীয় পুলিশ। সেখান থেকে ট্রেনযোগে তাদেরকে হাওড়া জেলায় আনা হয়। পরে ২৪ মে ভারতের ৮৮ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের ইটাভাটা ক্যাম্পের কাছে তাদেরকে হস্তান্তর করা হয়। ইটাভাটা ক্যাম্পের বিএসএফের সদস্যরা মঙ্গলবার ভোরে ভারতের ওপারের চিলারদাড়া এলাকা হয়ে বিভিষণ সীমান্তের লালমাটিয়া এলাকা দিয়ে ওই ১৭ জনকে ঠেলে পাঠায়। পরে তাদেরকে আটক করে বিজিবি।
নওগাঁ ১৬ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ আরিফুর ইসলাম মাসুম জানিয়েছেন, জাতীয় পরিচয়পত্র থাকার সুবাদে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে, তারা সবাই বাংলাদেশি। দীর্ঘদিন আগে কুড়িগ্রাম সীমান্ত দিয়ে ভারতে অবৈধভাবে গিয়ে ইটের ভাটায় কাজ করতেন তারা। আটক ব্যক্তিদের মধ্যে নারী-পুরুষ ও শিশু আছে।
গোমস্তাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রইস উদ্দিন জানিয়েছেন, বিএসএফ সদস্যরা ১৭ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে দিয়েছে। পরে বিজিবি তাদের আটক করে থানায় হস্তান্তর করেছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঢাকা/শিয়াম/রফিক