প্রতিবেদন নিয়ে হাইকোর্টের আদেশে নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের সন্তোষ
Published: 26th, May 2025 GMT
নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনের কিছু সুপারিশ নিয়ে করা রিট হাইকোর্ট পর্যবেক্ষণসহ সরাসরি খারিজ করে দেওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছে কমিশন। আজ সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রধান শিরীন পারভিন হক এ কথা জানিয়েছেন।
শিরীন পারভিন হক বলেন, ‘আমরা কমিশনের সব সদস্য নারীর অধিকার নিশ্চিতকরণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং সব অংশীজনের সঙ্গে যুক্তিনিষ্ঠ ও গঠনমূলক আলোচনা ও সমালোচনাকে স্বাগত জানাই। আমরা আদালতের সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট।’ তিনি বলেন, ‘আমরা একটি ন্যায় ও সমতাভিত্তিক সমাজের দিকে একত্রে কাজ করার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট অংশীজনের প্রতি আহ্বান জানাই, যাতে আমাদের সুপারিশগুলো নিয়ে অর্থবহ আলোচনা করা হয়।’
প্রসঙ্গত, আজ বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনের কিছু সুপারিশ নিয়ে করা রিট পর্যবেক্ষণসহ সরাসরি খারিজ করে দেন। পূর্ণাঙ্গ আদেশ পেলে পর্যবেক্ষণ সম্পর্কে জানা যাবে বলে জানিয়েছেন রিট আবেদনকারী আইনজীবী।
এর আগে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রওশন আলী আবেদনকারী হয়ে ৪ মে রিটটি দায়ের করেন। আদালতে রিটের পক্ষে তিনি নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক শুনানি করেন, সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আখতার হোসেন মো.
আদেশের পর আইনজীবী রওশন আলী প্রথম আলোকে বলেন, পর্যবেক্ষণসহ রিটটি সরাসরি খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। পূর্ণাঙ্গ আদেশ পেলে পর্যবেক্ষণ সম্পর্কে জানা যাবে।
রিট আবেদনকারীর ভাষ্য, নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনটি সম্প্রতি বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশিত ও আলোচিত হয়েছে। প্রতিবেদনের বিভিন্ন সুপারিশ ইসলামি শরিয়তের বিধান ও জনগণের ধর্মীয় অনুভূতির পরিপন্থী এবং দেশের সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও জাতীয়ভাবে স্পর্শকাতর। তাই এ বিষয়ে রিট করা হয়।
আরও পড়ুননারীর জন্য ৩০০ সংরক্ষিত আসন, বিয়ে-তালাক, উত্তরাধিকারে সমান অধিকার দেওয়ার সুপারিশ ১৯ এপ্রিল ২০২৫উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আইনজ ব
এছাড়াও পড়ুন:
ভারতে পাচারের শিকার ৩৬ কিশোর-কিশোরী দেশে ফিরেছে
ভারতে পাচারের শিকার দুই শিশুসহ ৩৬ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী বিভিন্ন মেয়াদে সাজাভোগের পর দেশে ফিরেছে। মঙ্গলবার (২৭ মে) সন্ধ্যায় ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ পাচার হওয়া বাংলাদেশিদের বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
ফেরত আসারা যশোর, রাজশাহী, খুলনা, নোয়াখালী, কুড়িগ্রাম, নাটোর, সাতক্ষীরা, নড়াইল, কক্সবাজার, ঢাকা, নেত্রকোণা, রংপুর, মাদারীপুর, নরসিংদী, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, লক্ষীপুর ও চট্টগ্রাম জেলার বাসিন্দা।
আইনি সহায়তা দিতে রাইটস যশোর, জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার, মহিলা আইনজীবী সমিতি ও জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার, শিশু সুরক্ষা সংস্থা এই ৩৬ বাংলাদেশিকে গ্রহণ করেছে।
দেশের বিভিন্ন সীমান্তপথে তারা অবৈধভাবে ভারতে গিয়ে সে দেশের পুলিশের হাতে আটক হয়েছিল।
জাস্টিজ অ্যান্ড কেয়ারের যশোর শাখার সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার আব্দুল মুহিত জানান, ভালো কাজের প্রলোভনে দেশের বিভিন্ন সীমান্তপথে দালালের মাধ্যমে তারা ভারতে কলকাতার বিভিন্ন এলাকায় যায়। সেখানে বিভিন্ন বাসাবাড়ি বা অন্যান্য কাজ করার সময় পুলিশ তাদের আটক করে। অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে পুলিশ তাদের জেলে পাঠায়। পরে আইনি সহায়তা দিতে ভারতীয় একাধিক মানবাধিকার সংস্থা তাদের আদালত থেকে ছাড়িয়ে হেফাজতে নেয়।
তিনি আরো জানান, বিভিন্ন মেয়াদে সাজাভোগের পর দুই দেশের সরকারের সহযোগিতায় বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে তারা দেশে ফেরার সুযোগ পায়। ফেরত আসা বাংলাদেশিরা যদি পাচারকারীদের শনাক্ত করে আইনি সহায়তা চায়, তাহলে দেওয়া হবে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের উপ-পরিদর্শক শাহাদাত হোসেন বলেন, “ভারত ফেরত শিশুসহ ৩৬ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরীকে আমরা গ্রহণ করেছি। কার্যক্রম শেষে বেনাপোল পোর্ট থানায় তাদের সোপর্দ করা হয়েছে।”
তিনি বলেন, “সেখান থেকে এনজিও সংস্থা জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার, রাইটস যশোর, মহিলা আইনজীবী সমিতি ও শিশু সুরক্ষা সংস্থা তাদের গ্রহণ করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করবে।”
ঢাকা/রিটন/মাসুদ