বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের রায় ও নির্বাচন কমিশনের (ইসি) গেজেটের কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে করা লিভ টু আপিল শুনানির জন্য আগামীকাল বুধবার নির্ধারণ করা হয়েছে। আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. রেজাউল হক আজ মঙ্গলবার এই দিন নির্ধারণ করেন। আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে এ শুনানি হবে।

এর আগে ইশরাককে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ঘোষণা করে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের রায় এবং ইসির গেজেটের কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে করা রিট সরাসরি খারিজ করে ২২ মে আদেশ দেন হাইকোর্ট। সেদিনই পূর্ণাঙ্গ আদেশ প্রকাশিত হয়। ওই আদেশের বিরুদ্ধে মেয়র ঘোষণা ও গেজেটের কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে গতকাল সোমবার লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করেন রিট আবেদনকারী। এটি লিভ টু আপিলটি আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতের আজকের কার্যতালিকায় ১২৫ নম্বর ক্রমিকে ওঠে।

আদালতে লিভ টু আপিলকারীর পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মোহাম্মদ হোসেন। ইশরাকের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন।

পরে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মোহাম্মদ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের রায় এবং ইসির গেজেটের কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে করা লিভ টু আপিলটি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য আগামীকাল নির্ধারণ করা হয়েছে।

আজ সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে দেখা যায়, প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে ‘মো.

মামুনুর রশিদ বনাম বাংলাদেশ সরকার ও অন্যান্য’ শিরোনামে আপিল বিভাগের আগামীকালের কার্যতালিকায় লিভ টু আপিলটি ১৪ নম্বর ক্রমিকে রয়েছে।

২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন হয়। আওয়ামী লীগের (বর্তমানে কার্যক্রম নিষিদ্ধ) প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপস মেয়র নির্বাচিত হন। একই বছরের ২ ফেব্রুয়ারি ভোটের ফলাফলের গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। শপথ নিয়ে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন তাপস।

নির্বাচনে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ফলাফল বাতিল চেয়ে ২০২০ সালের ৩ মার্চ মামলা করেন ইশরাক।

গত বছরের ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। একই বছরের ১৯ আগস্ট ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনসহ সিটি করপোরেশনের মেয়রদের অপসারণ করা হয়। এর মধ্যে ইশরাকের করা নির্বাচনী মামলায় চলতি বছরের ২৭ মার্চ রায় দেন ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল। রায়ে তাপসকে নির্বাচিত ঘোষণা বাতিল করা হয়। ইশরাককে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ঘোষণা করা হয়। আদালতের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে ইশরাককে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ঘোষণা করে গত ২৭ এপ্রিল গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আপ ল ব ভ গ র ইশর ক বছর র

এছাড়াও পড়ুন:

কমোডিটি এক্সচেঞ্জ চালুর শেষ ধাপ পেরোল সিএসই

দেশের প্রথম কমোডিটি এক্সচেঞ্জ চালুর শেষ ধাপ পার হলো চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ বা সিএসই। আজ মঙ্গলবার সংস্থাটির কমোডিটি এক্সচেঞ্জ চালুসংক্রান্ত বিধিবিধান অনুমোদন করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বিএসইসি বলছে, বিধিবিধান অনুমোদনের ফলে এখন সিএসই কমোডিটি এক্সচেঞ্জ চালু করতে পারবে।

বিএসইসির আজ মঙ্গলবারের কমিশন সভায় কমোডিটি এক্সচেঞ্জ বিধিমালা অনুমোদনের এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। সভা শেষে বিএসইসির এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়। বিএসইসি জানিয়েছে, বিধিবিধান অনুমোদনের ফলে দেশের পুঁজিবাজারে কমোডিটি ডেরিভেটিভ পণ্য লেনদেন শুরু হবে বলে আশা করা যায়, যা পুঁজিবাজারে বৈচিত্র্য আনতে সহায়তা করবে। কমোডিটি মার্কেট চালুর মাধ্যমে দেশের পুঁজিবাজার ডেরিভেটিভ পণ্যের যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছে, যা বাজারের জন্য অনন্য মাইলফলক হবে।

এর আগে ২০২০ সালের মার্চে দেশের প্রথম কমোডিটি এক্সচেঞ্জ হিসেবে বিএসইসির কাছ থেকে নিবন্ধন সনদ পেয়েছিল সিএসই। বিএসইসির তৎকালীন চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলাম আনুষ্ঠানিকভাবে সিএসইকে ওই সনদ তুলে দেন। দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জের মধ্যে কমোডিটি এক্সচেঞ্জ চালুর প্রথম উদ্যোগ নেয় সিএসই। সে অনুযায়ী ২০২১ সালের অক্টোবরে সিএসইকে কমোডিটি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠার বিষয়ে শর্ত সাপেক্ষে প্রাথমিক সম্মতি জ্ঞাপন করে বিএসইসি। প্রাথমিক সম্মতি পাওয়ার প্রায় আড়াই বছর পর কমোডিটি এক্সচেঞ্জের সনদ পায় সিএসই। আর সেই সনদ পাওয়ার প্রায় এক বছরের মাথায় এসে কমোডিটি এক্সচেঞ্জ পরিচালনা–সংক্রান্ত বিধিবিধান অনুমোদন করেছে বিএসইসি।

কমোডিটি এক্সচেঞ্জ হচ্ছে এমন একটি ব্যবস্থা, যেখানে বিভিন্ন ধরনের পণ্য কেনাবেচার সুযোগ থাকবে। তবে সেসব পণ্য সরাসরি নয়, কাগুজে বা ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে কেনাবেচা হবে। আর মূল পণ্যটি থাকবে কোনো গুদামে বা মাঠে। সেখান থেকে একটি নির্দিষ্ট সময় পর এটির চূড়ান্ত নিষ্পত্তি বা হস্তান্তর হবে।

বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো কমোডিটি এক্সচেঞ্জ চালু করতে সিএসইর সঙ্গে পরামর্শক হিসেবে কাজ করেছে ভারতের মাল্টি কমোডিটি এক্সচেঞ্জ (এমসিএক্স)। সিএসই সূত্রে জানা যায়, নতুন কমোডিটি এক্সচেঞ্জ চালু করতে সব মিলিয়ে প্রায় ৩০০ কোটি টাকার মতো বিনিয়োগ করবে সংস্থাটি। সিএসইর সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে কমোডিটি এক্সচেঞ্জের কার্যক্রম পরিচালিত হবে।

দেশে কমোডিটি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠার জন্য ২০০৭ সালে সরকারের পক্ষ থেকে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের উদ্যোগ নেওয়া হয়। তবে পরবর্তী সময়ে সরকারের এ উদ্যোগ গতি হারায়। ২০১৭ সালের আগস্টে কমোডিটি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠার আগ্রহ প্রকাশ করে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগে চিঠি দেয় সিএসই। মন্ত্রণালয় থেকে পরে তা বিএসইসিতে পাঠানো হয়। আর ২০২০ সালে বিএসইসির নেতৃত্ব বদলের পর কমোডিটি এক্সচেঞ্জ চালুর বিষয়ে আবারও কার্যক্রম শুরু হয়, যা এখন কার্যকর হলো।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কমোডিটি এক্সচেঞ্জ চালুর শেষ ধাপ পেরোল সিএসই
  • সালাউদ্দিন কাদের-দেলাওয়ার হোসাইন এভাবেই ফিরে আসতে পারতেন: সারজিস 
  • ‘নির্দোষ প্রমাণ হওয়ায় খালাস পেয়েছেন আজহারুল ইসলাম’ 
  • মৃত্যুদণ্ডাদেশ থেকে খালাস পেলেন জামায়াত নেতা আজহারুল
  • জামায়াত নেতা আজহারের আপিলের রায় আজ 
  • জামায়াত নেতা আজহারের মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে আপিলের রায় হতে পারে আগামীকাল
  • ইশরাককে মেয়র ঘোষণার গেজেটের কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে লিভ টু আপিল
  • মানি লন্ডারিং মামলায় সেই পাপিয়ার চার বছরের কারাদণ্ড
  • পাপিয়ার ৪ বছরের কারাদণ্ড