সহায়তা তহবিলের আকার বাড়ানোসহ বিএমবিএর ৯ দাবি
Published: 27th, May 2025 GMT
পুঁজিবাজারের উন্নয়নে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরীর কাছে ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী সহায়তা তহবিলের আকার ৩ হাজার কোটি টাকায় উন্নীতকরণসহ ৯ দাবি পেশ করেছে বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স এসোসিয়েশন (বিএমবিএ)।
মঙ্গলবার (২৭ মে) রাজধানীর আগাঁরগাওয়ে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরীর আমন্ত্রণে আলোচনায় বিএমবিএর পক্ষ থেকে এসব দাবি পেশ করা হয়।
বিএমবিএ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
আরো পড়ুন:
৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণে ব্যর্থ কোম্পানিতে বসবে স্বতন্ত্র পরিচালক
বিও ফি ১৫০ টাকা করা সিদ্ধান্ত বিএসইসির
বিএমবিএর দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে-
১.
২. আইপিও রুলস যুক্তিসঙ্গত পরিবর্তনের মাধ্যমে আর্ন্তজাতিক মানে উন্নীতকরণ;
৩. পুঁজিবাজারে দীর্ঘদিন ধরে চলমান নেগেটিভ ইক্যুইটি সমস্যার সমাধানে সরকারি নীতিগত সহায়তা;
৪. তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত কোম্পানির মধ্যে করহারের ব্যবধান বৃদ্ধি করা;
৫. মার্চেন্ট ব্যাংকের করহার যৌক্তিক পর্যায়ে নির্ধারণ;
৬. লভ্যাংশের উপর দ্বৈত কর প্রত্যাহার ও চূড়ান্ত কর নির্ধারণে অগ্রিম কর্তনকৃত কর সমন্বয়ের সুযোগ রাখা;
৭. বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষায় মার্জিন ঋণ ব্যবস্থার পরিবর্তন আনা;
৮. সরকারি/বহুজাতিক ভালো কোম্পানীসমূহকে তালিকাভুক্তিকরণে নীতিগত সহায়তা;
৯. ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী সহায়তা তহবিলের আকার ৩০০০ (তিন হাজার) কোটি টাকায় উন্নীতকরণ ও ঋণ পরিশোধের সময় ২০৩২ সাল পর্যন্ত বৃদ্ধিকরণ।
ড. আনিছুজ্জামান চৌধুরী বলেন, পুঁজিবাজার অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি। পুঁজিবাজার এর উন্নয়নে সরকার অত্যন্ত আন্তরিক। প্রধান উপদেষ্টার গৃহীত গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক উদ্যোগগুলোর মধ্যে পুঁজিবাজার উন্নয়ন একটি অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত খাত। শক্তিশালী পুঁজিবাজার গড়ে তোলার ক্ষেত্রে মার্চেন্ট ব্যাংকের ভূমিকা গুরুত্বর্পূণ।
তিনি বলেন, সরকার মার্চেন্ট ব্যাংকের চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলায় প্রাসঙ্গিক নীতিগত সহায়তা প্রদানে ইতিবাচক।
পুঁজিবাজার উন্নয়নের লক্ষ্যে বিএমবিএর উত্থাপিত প্রস্তাবগুলো বিবেচনার জন্য গ্রহণ করে সার্বিকভাবে বাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়ার বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করে সবার সহযোগিতা কামনা করেন ড. আনিছুজ্জামান।
ঢাকা/এনটি/রাসেল
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
চাকসুতে আদিবাসীবিষয়ক পদের দাবি ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী সংগঠনগুলোর
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (চাকসু) গঠনতন্ত্রে আদিবাসী বা সংখ্যালঘুবিষয়ক পদ সৃষ্টির দাবি জানানো হয়েছে।
সোমবার (২৬ মে) দুপুর ১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকসু ভবনের সামনে চাকসুর গঠনতন্ত্র সংস্কার নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানায় চবির বিভিন্ন ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী ছাত্র সংগঠনগুলো।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের (পিসিপি) চবি শাখার সভাপতি রোনাল চাকমা বলেন, “আমরা চাকসুর গঠনতন্ত্রে আদিবাসী বা সংখ্যালঘু জাতিসত্তাবিষয়ক সম্পাদক পদ সৃষ্টির দাবি জানাচ্ছি। চবিতে সাত শতাধিক বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত রয়েছে। বহু ভাষা, জাতি, ধর্মে ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যপূর্ণ ক্যাম্পাস দেশে আর কোথাও নেই। পিছিয়ে পড়া এবং সংখ্যালঘু জাতিগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের অধিকার সুনিশ্চিতকরণ, ভাষা ও সংস্কৃতি চর্চা, গবেষণা নিশ্চিতকরণে এই সম্পাদক পিছিয়ে পড়া জাতিগোষ্ঠী থেকে নির্বাচিত হবে।”
আরো পড়ুন:
ছাত্রদলে নতুন কমিটির গুঞ্জন
ছাত্রীর সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক: নোবিপ্রবির সেই শিক্ষককে চাকরিচ্যুত
তিনি বলেন, “রেসিজম, বুলিং প্রতিরোধসহ বিশ্ববিদ্যালয়ে শান্তি ও সম্প্রীতির পরিবেশ বজায় রাখতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ ও সমন্বয় করবে। এছাড়াও বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর বৈচিত্র্যপূর্ণ সংস্কৃতি এ দেশের সম্পদ, তা শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের কাছে তুলে ধরবে। ৭৩-এর অধ্যাদেশ অনুযায়ী, সিনেটে যে পাঁচজন ছাত্র প্রতিনিধি থাকবে, তার মধ্যে পিছিয়ে পড়া জাতিগোষ্ঠীর এই সম্পাদক প্রতিনিধি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত থাকবে।”
সংবাদ সম্মেলনে চাকসুর গঠনতন্ত্রে এছাড়া আরো চারটি পদ অন্তর্ভুক্তির দাবি জানানো হয়। সেগুলো হলো, পরিবহন ও আবাসন বিষয়ক সম্পাদক, নারী বিষয়ক সম্পাদক, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক এবং হল ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ভিপি অথবা জিএস যেকোনো একটি গুরুত্বপূর্ণ পদে তাদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে হবে।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, ত্রিপুরা স্টুডেন্টস ফোরামের সভাপতি রিন রঙ্গন ত্রিপুরা, বাংলাদেশ মারমা স্টুডেন্টস কাউন্সিলের সাংগঠনিক সম্পাদক সাথোয়হিসং মারমা, বিএমএসসি সাংস্কৃতিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক সিংয়ইপ্রু মারমা এবং ওঁরাও জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধি পিযুষ টপ্য।
ঢাকা/মিজান/মেহেদী