সিলেট সীমান্ত দিয়ে ২ দিনের ব্যবধানে আবার ৬৬ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। আজ বুধবার সকালে জেলার তিনটি স্থান থেকে তাঁদের আটক করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

এ নিয়ে গত ১৪ দিনে সিলেটের সীমান্ত এলাকা দিয়ে অন্তত ১৩৫ জনকে ঠেলে পাঠানো হয়েছে।

বিজিবি সূত্র জানায়, জৈন্তাপুরের মোকামপুঞ্জি সীমান্ত এলাকায় আজ ভোরে অভিযান চালান ৪৮ বিজিবির শ্রীপুর বিওপি সদস্যরা। এ সময় ভারত থেকে ঠেলে পাঠানো ৩২ জনকে আটক করা হয়। তাঁদের মধ্যে ১৩ শিশু, ৭ জন পুরুষ ও ১২ জন নারী ছিলেন। এ ছাড়া একই উপজেলার মিনাটিলা এলাকায় অভিযান চালান বিজিবির মিনাটিলা বিওপির সদস্যরা। এ সময় ভারত থেকে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করা ২০ জনকে আটক করা হয়, তাঁদের মধ্যে ৭ শিশু, ৬ জন পুরুষ ও ৭ জন নারী আছেন।

এদিকে বিজিবির জকিগঞ্জ ব্যাটালিয়ন ১৯ বিজিবি আজ সকালে জৈন্তাপুরের কদমখাল এলাকায় অভিযান চালিয়ে ঠেলে পাঠানো ১৪ জনকে আটক করে। তাঁদের মধ্যে ৪ শিশু, ৫ জন পুরুষ ও ৫ জন নারী রয়েছেন।

আরও পড়ুনসিলেট ও মৌলভীবাজার সীমান্ত দিয়ে ১৫৩ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ২৫ মে ২০২৫

আটক ব্যক্তিদের অস্থায়ীভাবে একটি আশ্রয়কেন্দ্রে রাখা হয়েছে। এ সম্পর্কে সিলেট ব্যাটালিয়ন ৪৮ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ নাজমুল হক বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, তাঁরা বিভিন্ন সময় অবৈধভাবে ভারতে কাজের সন্ধানে গিয়েছিলেন। এসব ব্যক্তিদের মধ্যে কুড়িগ্রাম, বাগেরহাট ও যশোরের বাসিন্দা আছেন। তাঁরা মূলত ভারতের রাজস্থানে কাজ করতেন। ৩ মে থেকে সেখানকার পুলিশ তাঁদের আটক করতে শুরু করে। তখন জানানো হয়েছিল ৩০ মের মধ্যে ভারত ত্যাগ না করলে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ কারণে অনেকে স্বেচ্ছায় পুলিশের কাছে যান। পরে তাঁদের বিভিন্নভাবে সিলেটের সীমান্ত এলাকা দিয়ে ঠেলে পাঠানো হয়েছে। আটক ব্যক্তিদের নাম-ঠিকানা যাচাই–বাছাই করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানান তিনি।

এর আগে ২৫ মে কানাইঘাট সীমান্ত দিয়ে ৩২ জন, একই সীমান্ত দিয়ে ২৪ মে ২১ জন ও ১৪ মে সিলেটের জকিগঞ্জের ভারত সীমান্তবর্তী আটগ্রাম থেকে ১৬ জনকে আটক করেছিল বিজিবি। আটক ব্যক্তিদের সবাই বাংলাদেশের নাগরিক বলে জানিয়েছে বিজিবি।

আরও পড়ুনসিলেট সীমান্তে আরও ২১ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে বিএসএফ২৪ মে ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

সুন্দরবনের ভারতীয় অংশের বিএসএফের হাতে আটক ১৯ বাংলাদেশি মৎস্যজীবী

অবৈধভাবে ভারতীয় জলসীমায় প্রবেশের অভিযোগে ১৯ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে গ্রেপ্তার করেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ।

বিএসএফ সূত্রে জানানো হয়েছে, সুন্দরবনের ভারতীয় অংশের উত্তাল নদীতে দীর্ঘক্ষণ ধাওয়া করে তাদের আটক করা হয়।  ধৃত মৎসজীবীরা বাংলাদেশের বরিশাল বিভাগের ভোলা জেলার পুরালিয়া গ্রামের বাসিন্দা। মাছ ধরার ট্রলার ও জালসহ তাদেরকে আটক করা হয়। 

আরো পড়ুন:

কলকাতায় সম্মিলিত সেনা সম্মেলন উদ্বোধন নরেন্দ্র মোদির

অবৈধ অভিবাসীদের প্রতি নরম হওয়ার দিন শেষ: ট্রাম্প

বিএসএফ জানায়, রবিবার সীমান্তের সুন্দরবন অংশে রুটিন টহল দেয়ার সময় গোসাবা রেঞ্জের বাঘমারি জঙ্গল এলাকায় বাংলাদেশি অবৈধ ট্রলারের উপস্থিতি নজরে আসে বিএসএফ জওয়ানদের। বিএসএফ জওয়ানদের পেট্রোল বোট ট্রলারটির কাছে যাওয়ার চেষ্টা করতেই ট্রলারটি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। দ্রুততার সঙ্গে ট্রলারের পিছু ধাওয়া করা হয়। দীর্ঘক্ষণ ধাওয়া করে পরবর্তীতে পাকড়াও করা হয় বাংলাদেশি ট্রলারটিকে। অবৈধ অনুপ্রবেশ এর অভিযোগে আটক করা হয় এতে থাকা ১৯ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে। বাজেয়াপ্ত করা হয় ট্রলারটি।

বিএসএফ আরো জানায়, আটকের পর দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্তরা অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগের বিপরীতে কোনো যুক্তিসঙ্গত কারণ দেখাতে পারেনি। ফলে জিজ্ঞাসাবাদের পরে তাদের স্থানীয় সুন্দরবন কোস্টাল থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। আজ সোমবার তাদের আলিপুর আদালতে তোলা হবে।

ঢাকা/সুচরিতা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সাতক্ষীরা সীমান্তে ১৫ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর করল বিএসএফ
  • সাতক্ষীরা সীমান্তে ১৫ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর
  • সুন্দরবনের ভারতীয় অংশের বিএসএফের হাতে আটক ১৯ বাংলাদেশি মৎস্যজীবী