মাসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়গুলো কিশোর-কিশোরীদের জানাতে স্কুলগুলোয় কর্মসূচি নিচ্ছে ওজিএসবি: ডা. ফারহানা দেওয়ান
Published: 28th, May 2025 GMT
আজ ২৮ মে, বিশ্ব মাসিক স্বাস্থ্যবিধি দিবস। এ উপলক্ষে প্রথম আলোর প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত হয় বিশেষ গোলটেবিল বৈঠক। এতে অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণির অংশীজনরা। যেখানে আলোচনার বিষয় ছিল ‘সংক্রমণমুক্ত ও নিরাপদ পিরিয়ড নারীর অধিকার’।
প্রথম আলোর সহকারী সম্পাদক ফিরোজ চৌধুরীর সঞ্চালনায় এ বৈঠকে আলোচনা করেন ‘অবস্টেট্রিক্যাল অ্যান্ড গাইনোকোলজিক্যাল সোসাইটি অব বাংলাদেশের (ওজিএসবি)’ প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ডা.
স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার বিষয়ে ডা. ফারহানা দেওয়ান বলেন, ‘আমি তিনটি বিষয় নিয়ে কথা বলব। প্রথমত, মাসিকের সময়ে মেয়েরা কী ধরনের স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করেন। দ্বিতীয়ত, স্যানাটারি ন্যাপকিন ব্যবহারের গুরুত্ব। তৃতীয়ত, অপরিষ্কার ন্যাপকিন ব্যবহারে মেয়েদের কী ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি রয়েছে।’
চিকিৎসক জীবনের অভিজ্ঞতার কথা জানাতে গিয়ে ডা. ফারহানা দেওয়ান বলেন, ‘আমাদের কাছে রোগী এলে আমরা স্বাভাবিকভাবেই মাসিক–সংক্রান্ত বিষয়গুলো জিজ্ঞাসা করি। কী ধরনের ন্যাপকিন তারা ব্যবহার করছেন এবং এতে কোনো সমস্যা হচ্ছে কি না, সে বিষয়েও জিজ্ঞাসা করে থাকি। এ ক্ষেত্রে অনেকেই কাপড় ব্যবহারের কথা বলে থাকেন। এটি নারীর স্বাস্থ্য সুরক্ষার ক্ষেত্রে এখনো একটি বড় সমস্যা। এ ক্ষেত্রে প্রশ্ন আসে যে এ কাপড়টি তারা পুনর্বার ব্যবহার করছেন কি না, করলে কীভাবে তা পরিষ্কার করছেন। অনেক নারীই দীর্ঘক্ষণ ধরে একই ন্যাপকিন ব্যবহার করেন, যা মাসিক স্বাস্হ্য সুরক্ষায় ঝুঁকি তৈরি করছে।’
অধ্যাপক ডা. ফারহানা দেওয়ানউৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স ব স থ য স রক ষ ব যবহ র কর ফ রহ ন
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’