জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তন আয়োজনের দাবি জানিয়েছেন নোয়াখালী সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (২৮ মে) ভয়েস অফ ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্টস এর পক্ষ থেকে নোয়াখালী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক জাকির হোসেনের মাধ্যমে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দেন তারা।

স্মারকলিপিতে তারা দুই দফা দাবি জানান। দাবিগুলো হলো- ২০২৫সালের মধ্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় সমাবর্তন এবং ধারাবাহিকতা বজায় রেখে প্রতি ২ বছর অন্তর সমাবর্তন আয়োজন করতে হবে; ঢাকায় কেন্দ্রীয়ভাবে সমাবর্তন আয়োজনের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ সহজ করতে বিভাগীয়/জেলা পর্যায়ে সমাবর্তন আয়োজনের উদ্যেগ গ্রহণ করতে হবে।

আরো পড়ুন:

অটোপাসের দাবিতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের ওপর হামলাচেষ্টা

অটোপাশের দাবিতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

শিক্ষার্থীরা বলেন, ১৯৯২ সালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকে গত ২০১৭ সালে প্রথমবার সমাবর্তন আয়োজন করা হয়। তাও বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীদের মধ্যে মাত্র ৪ হাজার ৯৩২ জন সুযোগ পান। ভয়েস অফ ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্টস এর পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে নোয়াখালী সরকারি মহিলা কলেজসহ বিভিন্ন কলেজে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।

তারা বলেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সমাবর্তন আয়োজন করা হলেও আমাদের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৭ সালের পর আর আয়োজন করা হয়নি। আমরাও চাই আমাদের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার মানের পাশাপাশি সবদিক দিয়ে এগিয়ে যাক।

ঢাকা/সুমাইয়া/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ঋণ নেওয়ার আগে যে ১০টি বিষয় অবশ্যই জানা উচিত

নানা কারণে আপনার ঋণ নেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। অনেক সময় মানুষ ব্যক্তিগত ঋণ, গৃহঋণ নেয়। আবার গাড়ি কেনার জন্যও অনেকে ঋণ নেন। ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমেও ঋণ নেওয়া হয়।

কিন্তু অনেকেই ঋণের সঙ্গে সম্পৃক্ত কিছু মৌলিক শব্দ সম্পর্কে জানেন না। ব্যাংকের কর্মকর্তারা যখন এসব শব্দ বলেন, তখন অনেক কিছুই বোঝেন না ঋণ নিতে ইচ্ছুক গ্রাহকেরা। ফলে নিয়মকানুন না জেনেই ঋণ নেন। এতে নানা অপ্রত্যাশিত ঝামেলা তৈরি হয়। তাই ঋণ নেওয়ার আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বোঝা খুব দরকার।

১. আসল টাকা (প্রিন্সিপাল)

আপনি যে পরিমাণ টাকা ঋণ নিচ্ছেন, সেটিই আসল। এর ওপরই সুদ ধরা হয়। কিস্তি পরিশোধের সঙ্গে আসল ধীরে ধীরে কমতে থাকে।

২. সুদের হার (ইন্টারেস্ট রেট)

ঋণ নেওয়ার আগে সবচেয়ে ভাবতে হয় সুদের হার নিয়ে। সুদের হার বেশি হলে খরচ বেড়ে যায়। ঋণের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সুদের হার। এটি স্থিরও হতে পারে, আবার বাজারদরের ওপর নির্ভর করে বাড়তে-কমতেও পারে।

৩. মাসিক কিস্তি (ইএমআই)

ঋণের সুদ ও আসল পরিশোধ বাবদ প্রতি মাসে যে নির্দিষ্ট টাকা আপনাকে দিতে হবে। সেটি হলো ইএমআই বা ঋণের কিস্তি।

৪. ঋণের মেয়াদ

কত বছরের মধ্যে ঋণ শোধ করতে হবে, সেটিই হলো ঋণের মেয়াদ। মেয়াদ বেশি হলে কিস্তি ছোট হয়। কিন্তু মোট সুদের টাকা বেড়ে যায়। ছোট মেয়াদে কিস্তি বড় হয়। কিন্তু মোট সুদের টাকা কমে।

৫. অ্যানুয়াল পারসেন্টেজ রেট (এপিআর)

শুধু সুদ ও আসল নয়, বরং ঋণের সব খরচ (যেমন ফি, চার্জ) মিলিয়ে আসল ব্যয় কত হবে, তার হিসাব হলো অ্যানুয়াল পারসেন্টেজ রেট (এপিআর)। এটিই প্রকৃত খরচ বোঝায়।

৬. আগাম পরিশোধ (প্রিপেমেন্ট)

ঋণের বোঝা কমাতে অনেকে ঋণের সুদ ও আসলের টাকা আগেই শোধ করে দিতে চান। এতে সুদের খরচ কমে যায়।

৭. প্রসেসিং ফি

আপনি ঋণের জন্য কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে আবেদন করলেন। কিন্তু ঋণ আবেদন মঞ্জুর থেকে শুরু করে ছাড় কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কিছু মাশুল দিতে হয়। এটিই প্রসেসিং ফি। এটি কখনো ঋণের টাকা থেকে কেটে নেওয়া হয়, আবার কখনো আলাদা দিতে হয়।

৮. স্থগিতকাল (মোরাটোরিয়াম)

বিশেষ পরিস্থিতিতে কিছুদিনের জন্য কিস্তি বন্ধ রাখার সুযোগকেই বলে স্থগিতকাল। তবে এই সময়েও সুদ জমতে থাকে। অনেক সময় ঋণ পরিশোধের জন্য বিশেষ কিস্তি ভাগও করে দেওয়া হয়।

৯. জামানত (কোলেটারাল)

ঋণের নিরাপত্তা হিসেবে আপনার সম্পদ (যেমন বাড়ি, সোনা, জমি) ব্যাংকে বন্ধক রাখা হয়। কিস্তি না দিলে ব্যাংক ওই সম্পদ বিক্রি করে টাকা তুলে নেয়।

১০. লোন-টু-ভ্যালু রেশিও

আপনি যত টাকা ঋণ নিচ্ছেন আর জামানতের মূল্য কত—এই অনুপাতকে বলে লোন টু ভ্যালু রেশিও (এলটিভি)। এর অনুপাত যত কম হয়, ব্যাংকের ঝুঁকি তত কম।

সম্পর্কিত নিবন্ধ