নিম্নচাপের প্রভাবে বৈরী আবহাওয়ায় ঢাকা-বরিশাল নৌপথে লঞ্চ চলাচল বন্ধ
Published: 29th, May 2025 GMT
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে বৈরী আবহাওয়ার কারণে বরিশালের অভ্যন্তরীণ নৌপথে লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করার পর ঢাকা-বরিশাল নৌপথেও লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের উপপরিচালক এবং বরিশাল নদীবন্দরের কর্মকর্তা মোহাম্মদ সেলিম রেজা বিকেলে প্রথম আলোকে বলেন, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপে বৈরী আবহাওয়ায় নৌবন্দরে দুই নম্বর সতর্কসংকেত জারি করায় বরিশালের অভ্যন্তরীণ ১০টি রুটের লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। বিকেলে ঢাকা-বরিশাল নৌপথের লঞ্চ চলাচলও বন্ধ রাখার নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ আদেশ বলবৎ থাকবে।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটি বৃহস্পতিবার দুপুরে পটুয়াখালীর কলাপাড়ার ওপর দিয়ে স্থলভাগ অতিক্রম করতে শুরু করেছে। এর প্রভাবে বরিশালসহ দক্ষিণ উপকূলে ব্যাপক বৃষ্টিপাত হচ্ছে। নিম্নচাপের কারণে বরিশালসহ দক্ষিণের পায়রা, বিষখালী, বলেশ্বর, কীর্তনখোলা, তেঁতুলিয়াসহ প্রধান নদ-নদীতে প্রবল জলোচ্ছ্বাস হয়। কোনো কোনো নদীর জোয়ার বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এতে নিম্নাঞ্চল ও চরগুলো নিমজ্জিত হয়ে বাসিন্দারা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।
বরিশাল আবহাওয়া কার্যালয় বলছে, গতকাল বেলা তিনটা থেকে আজ বেলা তিনটা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় বরিশালে ৭০ দশমিক ৯০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। নিম্নচাপের কারণে দেশের নদীবন্দরে দুই নম্বর এবং সমুদ্রবন্দরে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত বহাল রাখা হয়েছে।
এদিকে নিম্নচাপের প্রভাবে প্রবল বর্ষণে বরিশাল নগরের স্বাভাবিক জনজীবন বিঘ্নিত হয়েছে। সকাল থেকেই নগরে রাস্তাঘাট ছিল প্রায় ফাঁকা। যান চলাচল ছিল সীমিত। এতে ভোগান্তিতে পড়েন শ্রমজীবী মানুষ। বেশির ভাগ স্কুল-কলেজে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ছিল খুবই কম।
আবহাওয়া কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: বর শ ল ন
এছাড়াও পড়ুন:
বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিজ্ঞানে গবেষণা পুরস্কার এবং লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ডের আবেদন করুন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ ‘রাজ্জাক শামসুন নাহার গবেষণা পুরস্কার’ ও ‘রাজ্জাক শামসুন নাহার লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড ইন ফিজিক্স’ প্রদানের জন্য দেশের পদার্থবিজ্ঞানী ও গবেষকদের কাছ থেকে আবেদনপত্র আহ্বান করা হয়েছে।
কোন সালের জন্য পুরস্কার —ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে প্রতিষ্ঠিত ট্রাস্ট ফান্ড থেকে ২০১৭, ২০১৮, ২০১৯, ২০২০ ও ২০২১ সালের গবেষণা কাজের জন্য এই অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হবে।
পুরস্কার মল্যমান কত —১. পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে মৌলিক গবেষণার জন্য পুরস্কার পাওয়া গবেষককে রাজ্জাক শামসুন নাহার গবেষণা পুরস্কার হিসেবে নগদ ২০ হাজার টাকা প্রদান করা হবে।
২. পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে আজীবন অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে একজন বিজ্ঞানী বা গবেষককে নগদ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের রাজ্জাক শামসুন নাহার লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হবে।
আবেদনের শেষ তারিখ —আগ্রহী প্রার্থীদের আগামী ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫ সালের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) বরাবর আবেদনপত্র জমা দিতে হবে।
আবেদনের সঙ্গে জমা দিতে—আবেদনকারীদের যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে তিন কপি আবেদনপত্র, তিন প্রস্থ জীবনবৃত্তান্ত, তিন প্রস্থ গবেষণাকর্ম এবং তিন কপি ছবি আবেদনপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হবে।
দরকারি তথ্য—১. জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর মাসের মধ্যে প্রকাশিত গবেষণাকর্ম পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হবে।
২. যৌথ গবেষণা কাজের ক্ষেত্রে গবেষণা পুরস্কারের অর্থ সমান হারে বণ্টন করা হবে। এ ক্ষেত্রে সহযোগী গবেষক বা গবেষকের অনুমতি নিয়ে আবেদন করতে হবে।
৩. আবেদনকারী যে বছরের জন্য আবেদন করবেন পাবলিকেশন ওই বছরের হতে হবে।
৪. একই পাবলিকেশন দিয়ে পরবর্তী বছরের জন্য আবেদন করা যাবে না।
৫. কোন কারণে একজন প্রার্থী পুরস্কারের জন্য আবেদন করলে প্রার্থিতার স্বল্পতা বিবেচনা করে তাঁর আবেদন বিবেচনা করা হবে।
৬. পরীক্ষক তাঁর গবেষণা কাজের পুরস্কারের জন্য সুপারিশ না করলে তাঁকে পুরস্কারের বিষয়ে বিবেচনা করা হবে না।
৭. পদার্থবিজ্ঞানে রাজ্জাক শামসুন নাহার গবেষণা পুরস্কার একবার প্রাপ্ত গবেষকও পরবর্তী সময়ে আবেদন করতে পারবেন।
৮. নতুন গবেষককে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
৯. যদি মানসম্মত গবেষণা কাজ না পাওয়া যায়, সে ক্ষেত্রে পূর্বের পুরস্কার পাওয়া গবেষকের নতুন গবেষণা কাজের পুরস্কারের জন্য পরীক্ষকের সুপারিশের ভিত্তিতে বিবেচনা করা হবে।
# আবেদন জমা দেওয়ার ঠিকানা: প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।