আড্ডায় তর্ক, বন্ধুকে ছুরিকাঘাতে হত্যা
Published: 30th, May 2025 GMT
আড্ডায় তর্কের জেরে এক বন্ধুর ছুরিকাঘাতে আরেক বন্ধু নিহত হয়েছে। নিহত যুবকের নাম জীবন হোসেন (২৪)। শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ঝিনাইদহ শহরের ব্যাপারী পাড়ায় প্রকাশ্যে এ ঘটনা ঘটে।
জীবন শহরের মোল্লাপাড়ার রজব আলীর ছেলে। তিনি একজন রাজমিস্ত্রি ছিলেন।
স্থানীয়রা জানায়, শহরের ব্যাপারী পাড়া এলাকায় একটি বাসার গলিতে বসে চার বন্ধু আড্ডা দিচ্ছিলেন। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে একজন জীবন হোসেনকে ফোন করে ডেকে আনে। তখন তাদের মধ্যে পূর্বের বিরোধ নিয়ে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে একটি দোকানের সামনে যায় তারা। সেখানে তিন বন্ধু জীবনকে পিছমোড়া করে ধরে আরেক বন্ধু ছুরিকাঘাত করে তাকে। স্থানীয়রা জীবনকে রক্ষা করতে গেলে তারা পালিয়ে যায়। পরে জীবনকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা.
শিল্পি নামের এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, কয়েকজন ছেলে বসে আড্ডা দিচ্ছিল। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি থেকে ধস্তাধস্তি হয়। জীবন একজনকে ফোন দিয়ে তাকে বাঁচাতে অনুরোধ করেন। এসময় তিন-চারজন মিলে জীবনকে ছুরিকাঘাত করে।
নিহতের বড় ভাই রাসেল বলেন, মাঝে মধ্যে ব্যাপারী পাড়ায় বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিত জীবন। হয়তো তাদের মধ্যে কোন বিরোধের জেরেই আমার ভাইকে ওরা হত্যা করেছে। তবে ভাই হত্যার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই আমি।
ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, বন্ধুদের মধ্যে কথা কাটাকাটির জেরে এ ঘটনা ঘটেছে। তবে এর বেশি বিস্তারিত এখনও জানা যায়নি। এ ঘটনায় এখনও কাউকে আটক করা যায়নি।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ছ র ক ঘ ত হত য বন ধ ত ব জ বনক
এছাড়াও পড়ুন:
বয়স একটা সংখ্যা মাত্র,মনের শক্তিতে এখনও অনেক কিছু করা সম্ভব: সাবিনা ইয়াসমীন
এবার তথ্যচিত্রে তুলে আনা হচ্ছে বরেণ্য কণ্ঠশিল্পী সাবিনা ইয়াসমিনের শিল্পী ও ব্যক্তিজীবনের নানা অধ্যায়। শ্রেষ্ঠ কণ্ঠশিল্পী হিসেবে সর্বাধিক ১৪টি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, রাষ্ট্রীয় সম্মাননা স্বাধীনতা পদক, একুশে পদকসহ অসংখ্য পুরস্কার সম্মাননায় ভূষিত এ শিল্পীর তথ্যচিত্র নির্মাণ করছেন শাইখ সিরাজ।
এরই মধ্যে চ্যানেল আই ও সাবিনা ইয়াসমিনের বাসায় তথ্যচিত্রের বেশ কিছু অংশের দৃশ্যধারণ করা হয়েছে। কয়েক দিনের বিরতির পর আজ পুনরায় শুরু হচ্ছে তথ্যচিত্রের বাকি অংশের কাজ। সাবিনা ইয়াসমিন কথায়, সংগীতের দীর্ঘ সফরে নানা অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হয়েছে। গানের সূত্র ধরেই মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে শিল্পী আর ব্যক্তিজীবন। অসংখ্য চড়াই-উতরাই অতিক্রমের মধ্য দিয়ে রচিত হয়েছে সেই সফরনামার অধ্যায়গুলো, যা তুলে আনা হচ্ছে তথ্যচিত্রে।
এদিকে শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে পাশ কাটিয়ে সম্প্রতি কানাডা সফর করে এসেছেন সাবিনা ইয়াসমিন। কানাডার টরন্টোতে আয়োজিত একটি শো’তে পারফর্ম করেছেন তিনি। গানে গানে আর একবার মুগ্ধ করেছেন ভক্ত-অনুরাগীদের। এ নিয়ে সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, ‘যারা বয়স আর অসুস্থার ভয় দেখিয়ে মঞ্চে ছুটে যাওয়া বাধা দেন, তারা হয়তো জানেন না, বয়স আসলে একটা সংখ্যা মাত্র। মনের শক্তিতে এখনও অনেক কিছু করা সম্ভব, যার প্রমাণ আরও একবার মিলেছে কানাডার টরন্টোতে গিয়ে। টরন্টোর শোতে দর্শকের উপচেপড়া ভিড়, প্রতিটি গানে তাদের উচ্ছ্বাস ছিল চোখে পড়ার মতো। এদিন আরও একবার নতুন করে উপলব্ধি হয়েছে, প্রবাসী বাঙালিরা আমাকে কতটা ভালোবাসে, আমার গানের জন্য এখনও তারা কতটা তৃষিত। এ কারণে যেখানে ১৫টি গান গেয়েই শো শেষ করার কথা ছিল, সেখানে বাড়তি আরও কয়েকটি গান গাইতে হয়েছে। দর্শক-শ্রোতাদের ভালোবাসার শক্তিতেই একের পর এক গান গেয়ে গেছি। এই সফর স্মরণীয় হয়ে থাকবে।’
কানাডা সফর শেষে তথ্যচিত্রের শুটিং ছাড়াও সাবিনা ইয়াসমিন অংশ নিয়েছেন বিটিভির ঈদ ম্যাগাজিন ‘আনন্দ মেলা’য়। এ আয়োজনে তাঁর কণ্ঠে আরও একবার শোনা যাবে নতুন সংগীতায়োজনে রেকর্ড করা ‘আমি রজনীগন্ধা ফুলের মতো’ গানটি।