সিরাজগঞ্জে তরুণীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। মামলায় হাসান ইমাম রাসেলকে প্রধান আসামি ও তার সহযোগী সোহাগসহ চারজনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। হাসান ইমাম রাসেল সদর উপজেলার বাগবাটি ইউপি সদস্য ও ওয়ার্ড বিএনপি নেতা রফিকুল ইসলামের ছেলে। 

এদিকে মামলার আসামিদের মধ্যে হাসান ইমাম রাসেলকে ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে সোহাগসহ বাকি তিনজন পলাতক রয়েছে।

সিরাজগঞ্জ কোর্ট ইন্সপেক্টর আব্দুল হাই জানান, ধর্ষণের ঘটনায় অপরাধ স্বীকার করে রোববার আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে হাসান ইমাম রাসেল। গতকাল বিকেলে সিরাজগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (২) আদালতের বিচারক রাসেল মাহমুদ তার জবানবন্দি গ্রহণ করেন। এর আগে স্থানীয়দের সহায়তায় রোববার ভোরে নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো.

আহসানুজ্জামান বলেন, ‘তিন মাস আগে মোবাইলে প্রেমের ফাঁদে ফেলে সদর উপজেলার সয়দাবাদ ইউনিয়নের বাঐতারা গ্রামের ২০ বছর বয়সী তরুণীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলে হাসান ইমাম। শুক্রবার বিকেলে নানা ছলে তরুণীকে ডেকে আনে এবং হরিনা বাগবাটি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশের এক বাড়িতে নিয়ে হাসান ও সোহাগ নামে দুই যুবক তাকে ধর্ষণ করে। আশপাশের লোকজন বিষয়টি টের পেলে ওই তরুণীকে রেখে পালিয়ে যায় হাসান ও সোহাগ।’

পুলিশ কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘শনিবার সন্ধ্যায় ওই তরুণী থানায় এসে অভিযুক্ত দুই যুবক এবং সহযোগিতার অভিযোগে ওই বাড়ির দুইজন মিলে মোট চারজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। পরদিন রোববার ভোরে নিজ বাড়ি থেকে মামলার প্রধান আসামি হাসান ইমামকে গ্রেপ্তার করা হয়। আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ার পর তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক। সোহাগসহ বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।’

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স র জগঞ জ তর ণ ক

এছাড়াও পড়ুন:

সিলেটে সহপাঠীর সঙ্গে বেড়াতে যাওয়া স্কুলছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ

সিলেটের জকিগঞ্জে সহপাঠীর সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে দশম শ্রেণির এক ছাত্রী (১৬) দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা প্রথমে দুই শিক্ষার্থীর ছবি ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে মেয়েটিকে ধর্ষণ করেন বলে এ ঘটনায় করা মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।

গত শনিবার সকালে উপজেলার বারহাল ইউনিয়নের পরিত্যক্ত একটি ইটভাটায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কিশোরী আজ বুধবার সকালে জকিগঞ্জ থানায় মামলা করেছে।

মামলায় আসামি হিসেবে পাঁচজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তাঁরা হলেন উপজেলার বারহাল ইউনিয়নের নিদনপুর গ্রামের ইমরান আহমদ (২৩), খিলগ্রামের তানজিদ আহমদ (১৮), মাইজগ্রামের শাকের আহমদ (২৪), একই গ্রামের শাকিল আহমদ (২১) ও মনতৈল গ্রামের মুমিন আহমদ (২০)।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রী ২৬ জুলাই সকালে বারহাল ইউনিয়নের একটি পরিত্যক্ত ইটভাটায় এক সহপাঠীকে নিয়ে বেড়াতে যায়। সেখানে অভিযুক্ত পাঁচ তরুণ গোপনে তাঁদের ছবি ধারণ করেন। পরে ছবিগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে স্কুলছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ করেন। পরে দুজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এ সময় অভিযুক্ত তরুণেরা দুই শিক্ষার্থীকে বিষয়টি কাউকে জানানো হলে তাঁদের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হবে বলে ভয় দেখান।

এদিকে ঘটনার তিন দিন পর বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। অন্যদিকে এলাকার একটি পক্ষ বিষয়টি সালিস বৈঠকে মীমাংসার চেষ্টা করছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে। তবে গতকাল মঙ্গলবার রাতে জকিগঞ্জ থানা-পুলিশ ওই স্কুলছাত্রীকে তার বাড়ি থেকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান–স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠায়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, অভিযোগ দিতে বিলম্ব ও বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পড়ায় অভিযুক্ত তরুণেরা গা ঢাকা দিয়েছেন। এ ছাড়া জকিগঞ্জ ভারত সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ায় অভিযুক্ত তরুণেরা অবৈধ পথে সীমান্ত পাড়ি দিতে পারেন বলেও শঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্থানীয় লোকজন।

জকিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল রাতে খবর পেয়ে পুলিশ ভুক্তভোগীকে তার বাড়ি থেকে উদ্ধার করে। আজ সকালে মামলা হওয়ার পর থেকে আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সিলেটে সহপাঠীর সঙ্গে বেড়াতে যাওয়া স্কুলছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ