ক্রীড়াঙ্গনে ৮৪২ কোটি টাকা বাজেট বেড়েছে, একজন সাকিব কিংবা সিদ্দিকুর কি বেরিয়ে আসবে
Published: 3rd, June 2025 GMT
২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের জন্য বরাদ্দ বেড়েছে—এই খবর ক্রীড়াপ্রেমীদের মনে আশার সঞ্চার করবে। গতকাল সোমবার অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের প্রস্তাবিত বাজেটে মন্ত্রণালয়টির জন্য ২ হাজার ৪২৩ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে, যা গত বছরের সংশোধিত বাজেটের চেয়ে ৮৪২ কোটি টাকা বেশি।
মিনি স্টেডিয়াম, বিকেএসপি, ইনডোর স্টেডিয়াম, প্রশিক্ষণ–সুবিধার আধুনিকায়ন, আইটি প্রশিক্ষণ, ফ্রিল্যান্সিং কর্মসূচি, এমনকি কক্সবাজারের নারীদের জন্য ‘লিভিং নো ওয়ান বিহাইন্ড’ প্রকল্প—সবই আছে।
কিন্তু প্রশ্ন হলো, এই বাজেট কি ক্রীড়াঙ্গনে প্রাণ ফিরিয়ে আনবে? ক্রীড়াঙ্গনের স্বপ্ন বাড়াবে?
আরও পড়ুনসিঙ্গাপুরে বাংলাদেশের ১৩ পদক জয়০১ জুন ২০২৫বছর বছর বাজেট বাড়ে, প্রকল্প বাড়ে। অথচ মাঠে দেখা যায়, যে মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ প্রকল্প এক দশক আগে শুরু হয়েছিল, তার দ্বিতীয় পর্ব এখনো চলছে। কত উপজেলায় এখনো খোলা মাঠই নেই, সেখানে স্টেডিয়াম তো স্বপ্নের মতো ব্যাপার। বিকেএসপিতে আধুনিকতার ছোঁয়া লাগার কথা ছিল বহু আগে, অথচ সেখানে বহু কোচ অস্থায়ী চুক্তিতে, অনেক খেলোয়াড়ও সুযোগ না পেয়ে হারিয়ে যায়।
বাজেটের বেশির ভাগ অর্থই চলে যায় অবকাঠামো আর সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতায়। আমরা বহু বছর ধরে সরকারকে বলে আসছি ভারোত্তোলনের নতুন সরঞ্জাম লাগবে, কিন্তু সেটা আমরা আর পাই না। খেলার সরঞ্জামের জন্যই যদি যুদ্ধ করতে হয়, তাহলে আর খেলার উন্নয়ন কীভাবে হবে, স্বপ্ন বাড়বে কীভাবে? তাতে বাজেট বেড়েই–বা কী লাভ আমাদের?ভারোত্তোলন ফেডারেশনের এক কর্মকর্তাযুব উন্নয়নের জন্য ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণের যে প্রতিশ্রুতি, তা কি আসলেই পৌঁছাবে প্রত্যন্ত অঞ্চলের বেকার তরুণদের হাতে? নাকি থাকবে রাজধানীর সীমিত পরিসরে প্রজেক্ট অফিসের ফাইলে?
সাকিবের মতো আরেকজন ক্রিকেটার এখনো তৈরি করতে পারেনি বাংলাদেশ.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
কাক খেলছে ফুটবল
উয়েফা নেশনস লিগ টুর্নামেন্টের উত্তেজনায় কাঁপছে ইউরোপ। ফুটবলের এই মহাদেশীয় আয়োজন ঘিরে ক্রিকেটের দেশ ভারতেও উত্তেজনা একেবারে কম নয়। তবে বর্তমানে ভারতের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম কাঁপাচ্ছে অন্য এক ফুটবল খেলোয়াড়।
এ ফুটবলার কোনো মানুষ নয়; বরং একটি কাক। কী, শুনে অবাক হচ্ছেন? অবাক করা ঘটনাই বটে। সম্প্রতি ভারতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে এক বালকের সঙ্গে একটি কাককে ফুটবল খেলতে দেখা যাচ্ছে—ভিডিওটি দক্ষিণ গোয়ার।
ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, কাক তার ঠোঁট দিয়ে বল ছেলেটির দিকে ঠেলে দিচ্ছে আর ছেলেটি বল ধরে আলতোভাবে সেটি আবার কাকের দিকে ফেরত পাঠাচ্ছে। দুজনই এভাবে একে অপরের দিকে বল ঠেলে দিয়ে খেলা চালিয়ে যাচ্ছে।
ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করার পর সেটি রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়। হাজার হাজার মানুষ সেটি দেখেন এবং মন্তব্য করেন।
কাকটি বল ঠেলে দেওয়ার সময় যেভাবে নিখুঁত গতি ও ভারসাম্য বজায় রাখছে, তা দেখে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীরা বিস্মিত ও আনন্দিত।
মন্তব্যের ঘরে একজন লিখেছেন, ‘ভাই, তুমি যেভাবে বল পাস করছ, তা ভারতের জাতীয় দলের বেশির ভাগ খেলোয়াড়ের চেয়ে ভালো।’
আরেকজন মজা করে লিখেছেন, ‘রোববার কি তোমাকে পাওয়া যাবে? সেদিন আমাদের একটি ম্যাচ আছে, একজন ভালো স্ট্রাইকার দরকার, যিনি মাথা দিয়ে ভালো খেলতে পারেন।’
তৃতীয় আরেকজন লিখেছেন, ‘ক্রোনালদিনহো, ক্রোনেস্তা, ক্রোদিনি, ক্রোদোস্কি, ক্রোমুলার’।
ফুটবল আর পাখির যোগাযোগ অবশ্য নতুন কিছু নয়। ২০১০ সালের ফিফা বিশ্বকাপ ফুটবলের সময় নকআউট পর্বের ম্যাচগুলোর বিজয়ী সঠিকভাবে ভবিষ্যদ্বাণী করে আন্তর্জাতিক জনপ্রিয়তা পেয়েছিল সিঙ্গাপুরের টিয়া পাখি, যার নাম ‘মানি’।
একজন প্রবীণ ভাগ্যবক্তার পোষা টিয়া ‘মানি’ সম্ভাব্য বিজয়ী দলের জাতীয় পতাকা লাগানো দুটি কার্ডের মধ্যে একটি তুলে নিয়ে ম্যাচের ফলাফল ভবিষ্যদ্বাণী করত।