ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার কোদালিয়া গ্রাম থেকে চাঁদাবাজির মামলায় অবসরপ্রাপ্ত মেজর গোলাম হায়দারকে গ্রেপ্তার করেছে সেনাবাহিনী ও পুলিশ। সোমবার রাত ২ টায় তার নিজ বাড়ি থেকে যৌথবাহিনীর অভিযানে তিন সহযোগীসহ তাকে আটক করা হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গোলাম হায়দার নিজেকে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর প্রার্থী হিসেবে পরিচয় দিয়ে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করছিলেন। গ্রেপ্তার হওয়া অন্যরা হলেন ফরহাদ হোসেনসহ আরও দুইজন।

নগরকান্দা থানার ওসি আমিরুল ইসলাম জানান, মেজর হায়দার ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, হুমকি-ধমকি এবং সাধারণ মানুষকে হয়রানির একাধিক অভিযোগ রয়েছে। সোমবার বিকালে কোদালিয়া শহীদনগর ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান মো.

রাজু মোল্লা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
 
অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, ইউনিয়ন পরিষদের বিভিন্ন মালামালের ভাগ ও কাবিখা-কাবিটার টাকা দাবি করতেন মেজর হায়দার। রাজু মোল্লা আরও জানান, ২৯ মে গণকবরের পাশে ডেকে নিয়ে হুমকি দেন মেজর হায়দার, পরে তার দোকানে মোটরসাইকেলে এসে লোকজন আবারও হুমকি দেয়।

গ্রেপ্তারের সময় ফরহাদ হোসেন ‘মেজরের বাড়িতে ডাকাত পড়েছে’ বলে মসজিদের মাইক ব্যবহার করে গুজব ছড়ান, যা পরে পুলিশ মাইকিং করে মিথ্যা প্রমাণ করে।

এছাড়া, সম্প্রতি এক নারী নেত্রীর বোনকে ইভটিজিং নিয়ে উত্তেজনার সময় মেজর হায়দার সেনাবাহিনীর কর্মকর্তার সঙ্গে অশোভন আচরণ করেন। সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি।

স্থানীয়রা জানান, মেজর হায়দার SS07 নামের একটি বাহিনী গঠন করে মোটরসাইকেল বহর নিয়ে এলাকায় চলাফেরা করতেন এবং এনসিপির নাম ব্যবহার করে রাজনৈতিক প্রভাব খাটাতেন। এমনকি এনসিপির ব্যানারে একাধিক জনসংযোগ কার্যক্রমেও অংশগ্রহণ করেন।

তবে এনসিপির ফরিদপুর জেলা সংগঠক মো. বায়োজিদ হোসেন জানান, “তিনি আমাদের দলের কেউ নন, শুধু প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করেছেন।” একইভাবে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারাও তাকে তাদের সঙ্গে সম্পৃক্ততা অস্বীকার করেছেন এবং তাকে “বাটপার প্রকৃতির” বলে অভিহিত করেছেন।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: এনস প

এছাড়াও পড়ুন:

নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচনে জোহরান মামদানির প্রতি সমর্থন জানালেন গভর্নর ক্যাথি হোকৌ

নিউইয়র্কের গভর্নর ক্যাথি হোকৌ গতকাল রোববার নিউইয়র্ক নগরের ডেমোক্রেটিকদলীয় মেয়রপ্রার্থী জোহরান মামদানিকে সমর্থন করেছেন। তাঁদের মধ্যে মতবিরোধ থাকা সত্ত্বেও হোকৌ তাঁকে ‘নিউইয়র্ক নগরকে সাশ্রয়ী করার বিষয়ে মনোযোগী একজন নেতা’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

দ্য নিউইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত এক লেখায় হোকৌ জোহরানের প্রতি এ সমর্থন জানান। ফলে গণতান্ত্রিক সমাজতন্ত্রী ৩৩ বছর বয়সী জোহরানের অবস্থান আরও শক্তিশালী হলো। তিনি রাজ্যের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় ডেমোক্র্যাট ও ক্ষমতাধর ব্যক্তি। এই সমর্থন হাউস মাইনরিটি লিডার হেকিম জেফরিস, সিনেট মাইনরিটি লিডার চাক শুমারের মতো অন্য শীর্ষস্থানীয় ডেমোক্র্যাটদের ওপর নতুন করে চাপ সৃষ্টি করেছে। তাঁরা এখনো জোহরানকে সমর্থন জানাননি। জেফরিস ও শুমার দুজনেই ব্রুকলিনের বাসিন্দা।

গভর্নর হোকৌর এ সমর্থন দুই মাসের বেশি সময় ধরে দুজনের মধ্যে বজায় রাখা সতর্ক দূরত্বের অবসান ঘটাল। গত জুনে ডেমোক্রেটিক প্রাইমারিতে (দলীয় বাছাইপর্বে) জোহরান সাবেক গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমোকে হারিয়ে সবাইকে চমকে দেন। হোকৌ প্রথমে জোহরানকে সমর্থন জানাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন।

হোকৌ লিখেছেন, ‘কয়েক মাস ধরে আমি তাঁর সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা করেছি। আমাদের মধ্যে মতবিরোধ ছিল। কিন্তু আমাদের আলোচনায় আমি এমন একজন নেতাকে দেখেছি, যিনি আমার মতোই এমন একটি নিউইয়র্ক গড়তে চান, যেখানে শিশুরা তাদের এলাকায় নিরাপদে বেড়ে উঠতে পারবে এবং প্রতিটি পরিবারের জন্য সুযোগ হাতের নাগালে থাকবে। আমি এমন একজন নেতাকে দেখেছি, যিনি নিউইয়র্ক নগরকে সাশ্রয়ী করার দিকে মনোনিবেশ করেছেন। তাঁর এ লক্ষ্যকে আমি আন্তরিকভাবে সমর্থন করি।’

জোহরানের নির্বাচনী প্রচারের মূল ভিত্তি ছিল জীবনযাত্রার ব্যয় কমানো এবং প্রগতিশীল বিভিন্ন এজেন্ডা, যেমন বিনা মূল্যে সিটি বাস, সরকারি গ্রোসারি এবং শহরের সবচেয়ে ধনী বাসিন্দাদের ওপর কর আরোপ।

জোহরান মামদানি

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচনে জোহরান মামদানির প্রতি সমর্থন জানালেন গভর্নর ক্যাথি হোকৌ