মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষ্যে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের গবেষক ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি এবং সিদ্ধিরগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদ্য সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক প্রকৌশলী সামসুল আলমের উদ্যোগে ৪০ দিন ব্যাপী খতমে কোরআন তিলওয়াতের আয়োজন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩ জুন) দুপুর থেকে সিদ্ধিরগঞ্জের দারুল কলাম মাদ্রাসায় এ কোরআন তিলাওয়াত শুরু হয়। যা ৪০ দিন ব্যাপী চলবে।

এ মহতি উদ্যোগ সম্পর্কে প্রকৌশলী সামসুল আলম বলেন, বাংলাদেশের মানচিত্রের উপর বহুদলীয় গনতান্ত্রিক রাজনীতির জনক ছিলেন জিয়াউর রহমান। বাল্যকালে বাবার মুখে যখন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের দেশ প্রেমের গল্প শোনতাম তখন থেকেই শহীদ জিয়ার আদর্শে অনুপ্রানিত হই এবং বিএনপির রাজনীতির যুক্ত হয়ে জনসেবায় নিজেকে উৎসর্গ করার প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হই।

শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বাংলাদেশটাকে নিজের সংসারের মত গড়েছিলেন। দেশের প্রত্যেক নাগরিককে তিনি পরিবারের সদস্যদের মতই ভালবাসতেন। এ দেশকে শিল্প-বাণিজ্য, অর্থনীতি, শিক্ষা ও সভ্যতায় সমৃদ্ধর অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখতেন এবং সেই পরিকল্পনায় তিনি কাজ করতেন। যার কারণে তাকে হত্যার মাধ্যমে বাংলাদেশের সামগ্রিক অগ্রগতি বন্ধ করে দেশকে নেতৃত্ব শুন্য করে রাষ্ট্রটাকে স্বৈরাচারের কারাগারে রূপান্তর করা হয়।

এসময় তিনি বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক নির্ভীক, নির্মোহ ও দেশপ্রেমিক রাষ্ট্রনায়ক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের রূহের মাগফেরাত কামনায় ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমানের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনায় ৪০ দিন ব্যাপী পবিত্র কোরআন খতমের আয়োজন করেছি।

আমি দেশবাসীর কাছে বিনীত অনুরোধ করব, সকল মুসলিম ভাই-বোনেরা প্রতিদিন তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করবেন। হিন্দু, খ্রিষ্টান, বৌদ্ধ ও অন্যান্য ধর্মের ভাই-বোনেরা নিজেদের মত করে প্রার্থনা করবেন।

কারণ তারেক রহমান কর্তৃক উপস্থাপিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা এবং তার বক্তৃতায় কৃষক, শ্রমিক, দিনমজুর থেকে শুরু করে সামগ্রিক ভাবে ১৮ কোটি বাঙালীর মনের কথাগুলো প্রতিধ্বনিত হয়। তার রাজনৈতিক দর্শন, প্রজ্ঞা, চিন্তা, চেতনায়, মনে-প্রানে ও অস্থিমজ্জায় নেলসন মেন্ডেলা, মাহাথির মোহাম্মদ এবং মার্টিন লুথার এর মত বিশ^সেরা রাষ্ট্রনায়কদের প্রতিবিম্ব দেখতে পাই।

এসময় তিনি আরো বলেন, বর্তমান বাংলাদেশের একমাত্র কান্ডারী তারেক রহমান যার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে স্বৈরাচারের কারাগার থেকে বাঙালি জাতি মুক্তি পেয়েছে এবং তার নেতৃত্বেই এদেশে প্রকৃত গনতন্ত্র ও জনগনের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে। যাদের রক্তের স্রোতের বিনিময়ে স্বাধীনতার পুন:জন্ম হয়েছে ২৪এর গনঅভ্যুত্থানের সেসকল শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা করি।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ ব এনপ ন র য়ণগঞ জ জ য় উর রহম ন ৪০ দ ন ব য প স দ ধ রগঞ জ ত র ক রহম ন র ষ ট রপত রহম ন র ক রআন

এছাড়াও পড়ুন:

ওয়াগ্গাছড়া চা বাগানে হাতির তাণ্ডব

রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ পাড়ে সীতা পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত ওয়াগ্গাছড়া চা বাগানে বিগত এক মাস ধরে অবস্থান করছেন একদল বন্যহাতি। ১৭ (সতের) দলের এই বন্যহাতির তাণ্ডবে এরইমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাগান শ্রমিকদের ঘরবাড়ি, গাছপালা এবং বাগানের অভ্যন্তরে অবস্থিত কাঁচা সড়ক। 

 এদের তাণ্ডবে বাগানের ২নং সেকশনে বসবাসকারী চা শ্রমিকরা এরইমধ্যে নিজ নিজ বসতবাড়ি ছেড়ে কর্ণফুলি নদীর উত্তর পাড়ে অবস্থান নিয়েছে। এই সেকশনে থাকা বহু ঘর হাতির আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ওয়াগ্গা টি লিমিটেডের পরিচালক খোরশেদুল আলম কাদেরী বলেন, “হাতির তাণ্ডবে মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ৩টায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাগানের নিজস্ব বোট চালক সানাউল্লাহর বসতবাড়ি। এসময় তিনিসহ তার স্ত্রী-সন্তানেরা ঘর হতে বের হয়ে কোনরকমে প্রাণে রক্ষা পেয়েছে।”

বোট চালক সানাউল্লাহ বলেন, “সোমবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে আমি হাতির গর্জন শুনতে পাই। এসময় একটি বড় হাতি আমার ঘর ভাঙার চেষ্টা চালায়। আমি হতবিহ্বল হয়ে যাই। সেসময় স্ত্রী-পুত্রকে নিয়ে ঘরের পেছন দিয়ে কোন রকমে পালিয়ে বোটে করে এপারে চলে আসি।” 

চা বাগানের টিলা বাবু চাথোয়াই অং মারমা বলেন, “বিগত এক মাস ধরে ১৭টি হাতির একটি দল বাগানে অবস্থান করছে। মাঝে মাঝে দলটি সীতা পাহাড়ে চলে গেলেও হঠাৎ বাগানে চলে এসে আসে এবং বাগানের গাছপালা, বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত করে। আমাদের চা শ্রমিকরা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।”

ওয়াগ্গা চা বাগানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক আমিনুর রশীদ কাদেরী বলেন, “বিগত এক মাস ধরে হাতির একটি দল ওয়াগ্গা চা বাগানে অবস্থান নিয়েছে। তাদের দলে সদস্য সংখ্যা সতেরো ১৭টি। সম্প্রতি দুটি নতুন শিশু জন্ম নিয়েছে। শিশু হস্তী শাবককে আশীর্বাদ করার জন্য সীতা পাহাড়ের গভীর অরণ্য থেকে আরো একদল হাতি যোগদান করেছে।” 

হাতি খুবই শান্তিপ্রিয় জীব। নিরিবিলি পরিবেশ পছন্দ করে। অনেকে বলে থাকেন, মামারা বেরসিক বাদ্য বাজনা, বাঁশির সুর, গলাফাটা গান, গোলা বারুদ, ড্রামের শব্দ পছন্দ করে না। তারা কোলাহল এড়িয়ে চলে। 

গতকাল সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) স্বচক্ষে দেখা হলো। আমাদের টিলা বাবু চাই থোয়াই অং মারমা শ্রমিকদের নিয়ে পাহাড়ের উপর বাঁশির সুর তুলেছে। সুর ও বাদ্য বাজনা এড়িয়ে মামারা (হাতি) চা বাগান পেরিয়ে সদলবলে বাঁশবনের গভীর থেকে গভীরে হারিয়ে গেলো। হয়তো আবার ফিরে আসবে।

কাপ্তাই বন বিভাগের কাপ্তাই রেঞ্জ অফিসার ওমর ফারুক স্বাধীন বলেন, “দিন দিন হাতির আবাসস্থল ধ্বংস হওয়ার ফলে হাতি খাবারের সন্ধানে প্রায়ই লোকালয়ে এসে হানা দিচ্ছে। আমাদের উচিত হাতির আবাসস্থল ধ্বংস না করা।”

ঢাকা/রাঙামাটি/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ১৩ ঘণ্টা পর রংপুরের রেল যোগাযোগ সচল
  • ওয়াগ্গাছড়া চা বাগানে হাতির তাণ্ডব
  • হেরোইন বিক্রির অভিযোগে ধামরাইয়ে গ্রেপ্তার ৩
  • টেকনাফে সাড়ে ৩ লাখ ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার ২