Samakal:
2025-06-05@20:07:26 GMT

আরও ৬৯ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ

Published: 4th, June 2025 GMT

আরও ৬৯ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ

বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে আরও ৬৯ জনকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঠেলে দিয়েছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। ঠেলে দেওয়া প্রত্যেককে অনুপ্রবেশের অভিযোগে আটক করে পুলিশে হস্তান্তর করেছে বিজিবি। এ নিয়ে গত ৪ মে থেকে গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত সহস্রাধিক মানুষকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঠেলে দিল বিএসএফ।    

গত সোমবার গভীর রাতে পঞ্চগড় সদর উপজেলার হাঁড়িভাসা ইউনিয়নের ঘাগড়া সীমান্ত দিয়ে ৯ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়া হয়। সকালে তাদের আটক করেন ওই ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশের সদস্যরা। পরে ঘাগড়া বিওপি ক্যাম্পের বিজিবি সদস্যরা আটকদের পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন। একই সময় সদর উপজেলার চাকলাহাট ইউনিয়নের রতনীবাড়ি সীমান্ত দিয়ে ঠেলে দেওয়া হয় ১৭ জনকে। তাদের আটক করেন বিজিবি সদস্যরা। পুলিশ ও বিজিবি জানায়, ১০ থেকে ১৫ বছর ধরে তারা ভারতের হরিয়ানা রাজ্যে কাজ করতেন। তাদের বাড়ি কুড়িগ্রামের বিভিন্ন এলাকায়। 

ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটের সূর্যপুর সীমান্ত ও ধোবাউড়ার মুন্সিপাড়া সীমান্ত দিয়ে ২২ জনকে গতকাল ভোরে ঠেলে পাঠানো হয়। বিজিবি জানায়, তারা অনেক বছর ধরে ভারতের গুজরাট রাজ্যের সায়ন এলাকায় কাজ করতেন। একই ভোরে ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে নারী, শিশুসহ ১৩ জনকে ঠেলে দেয় বিএসএফ। এই ১৩ জন দীর্ঘদিন ধরে দিল্লিতে বসবাস করছিলেন। বিজিবি তাদের পুলিশের সহায়তায় পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে। 

চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলার চাঁনশিকারী সীমান্ত দিয়ে গতকাল ভোরে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঠেলে দেওয়া হয় আটজনকে। তাদের আটক করেন ৫৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের সদস্যরা। এর মধ্যে চার নারী ও চারজন পুরুষ। তারা সবাই বাংলাদেশি বলে নিশ্চিত করেছে বিজিবি। আটকদের ভোলাহাট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। 

এদিকে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম রেলস্টেশন থেকে দুই ভারতীয় নাগরিকের সন্ধান মিলেছে। গত সোমবার রাতে স্থানীয় লোকজন তাদের শনাক্ত করে। গতকাল দুপুর পর্যন্ত ওই দুই ভারতীয় রেলস্টেশনে অবস্থান করেছিলেন।

জানা গেছে, তাদের একজন ৭৪ বছর বয়সী ইউসুফ আলী দেশটির আসাম রাজ্যের দরং জেলার চেপাজা থানার বাসিন্দা। অন্যজন ৬৫ বছরের শামসুল হকের বাড়ি ওই রাজ্যের গোয়ালপাড়া জেলার বিজনী থানায়। ইউসুফ আলী জানান, আট দিন আগে আরও লোকজনের সঙ্গে তাদের বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঠেলে দেয় বিএসএফ। 

পাটগ্রাম থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, দুই ভারতীয়র ব্যাপারে পাটগ্রাম বিজিবি ক্যাম্পের কমান্ডারকে জানিয়েছি। তারা রেলস্টেশনে পুলিশের নজরদারিতে আছে। 

৯ বাংলাদেশিকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর

ভারতে অনুপ্রবেশের অভিযোগে গ্রেপ্তার ৯ বাংলাদেশিকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করেছে বিএসএফ। সোমবার সন্ধ্যায় সাতক্ষীরার কলারোয়ার ভাদিয়ালী সীমান্তে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ছয়জনকে হস্তান্তর করা হয়। বিজিবি তাদের কলারোয়া থানায় হস্তান্তর করেছে। 

এ ছাড়া নেত্রকোনা সীমান্তে তিন বাংলাদেশিকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করা হয়। গতকাল সকালে নেত্রকোনার দুর্গাপুরের বিজয়পুর সীমান্তের ১১৫২/এমপি পিলারের কাছে শূন্যরেখায় পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তাদের হস্তান্তর করে বিএসএফ। 

(সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধি ও সংবাদদাতার পাঠানো খবর)


 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: প শইন ব এসএফ গতক ল

এছাড়াও পড়ুন:

পঞ্চগড়ে দুই সীমান্ত দিয়ে নারী-শিশুসহ ২৬ জনকে পুশইন

পঞ্চগড়ে নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের আওতাধীন উপজেলা সদরের পৃথক দুই সীমান্ত দিয়ে আবারও বাংলাদেশে নারী, শিশুসহ ২৬ জনকে পুশইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। 

সোমবার গভীর রাতে দুই সীমান্ত দিয়ে বিএসএফ জোর করে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে তাদের পাঠায়। মঙ্গলবার দুপুরে তাদের পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে বিজিবি। 

এলাকাবাসী জানায়, এদের মধ্যে সদর উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের ঘাগড়া সীমান্ত দিয়ে পুশইন করা ৯ জনকে মঙ্গলবার সকালে আটক করেন ওই ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশের সদস্যরা। পরে তাদের ঘাগড়া বিওপি ক্যাম্পের বিজিবি সদস্যদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

অন্যদিকে একই উপজেলার চাকলাহাট ইউনিয়নের রতনীবাড়ি সীমান্ত দিয়ে পুশইন করা ১৭ জনকে আটক করে শিংরোড বিওপি ক্যাম্পের বিজিবি সদস্যরা। পরে বিজিবি দুই সীমান্ত দিয়ে পুশইন করা ২৬ জনকে সদর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। ২৬ জনের মধ্যে ৮ পুরুষ, ৯ জন নারী ও ৯ জন শিশু রয়েছে।

পুলিশ, বিজিবি ও স্থানীয় সূত্র জানায়, পুশইন করা বাংলাদেশি নাগরিক বলে পরিচয় দেন। তারা ১০ থেকে ১৫ বছর ধরে ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় কাজ করতেন। সম্প্রতি তাদের আটক করে ভারতীয় পুলিশ শিলিগুড়ির বাগডোগরা বিমানবন্দরে এনে বিএসএফ সদস্যদের হাতে তুলে দেয়। বিএসএফ সদস্যরা রাতের আঁধারে তাদের বাংলাদেশে পুশইন করে। পরে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বিজিবি সদস্যরা তাদের আটক করে। আটকদের বাড়ি কুড়িগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় বলে জানা গেছে।

সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লা হিল জামান বলেন, বিজিবি আমাদের কাছে ২৬ জনকে হস্তান্তর করেছে। এদের মধ্যে আট জন পুরুষ, নয় জন নারী এবং নয় জন শিশু। প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে আপাতত তাদের নিরাপদ আশ্রয়ে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তারা প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশে নাগরিক কিনা যাচাই বাছাই করা হচ্ছে। বাংলাদেশি নাগরিক হলে যত দ্রুত সম্ভব তাদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদেরকে নিরাপদে নিজ নিজ বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করা হবে। এদের মধ্যে যদি কেউ অন্য কোন দেশের নাগরিক বা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকারী থেকে থাকে, সেক্ষেত্রে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এর আগে তিন দফায় ১১ জন, ২১ জন এবং দুইজন করে মোট ৩৪ জনকে জেলার বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে পুশইন করে বিএসএফ। সর্বশেষ ২৬ জনসহ চতুর্থ দফায় নারী, শিশুসহ মোট ৬০ জনকে জোর করে পাঠাল বিএসএফ।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • অনুপ্রবেশের অভিযোগে জনতার হাতে অস্ত্রসহ আটক বিএসএফ সদস্য
  • নেত্রকোনা সীমান্ত দিয়ে ৩২ জনকে পুশইন করল বিএসএফ
  • নেত্রকোনা সীমান্ত দিয়ে ৩২ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ
  • চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে আটক বিএসএফ সদস্যকে ফেরত দিল বিজিবি
  • চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে অনুপ্রবেশের অভিযোগে বিএসএফ সদস্য আটক 
  • চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে অনুপ্রবেশের অভিযোগে বিএসএফ সদস্য আটক
  • শূন্যরেখায় শেষবার মায়ের মুখ দেখলেন দুই মেয়ে
  • সীমান্তের শূন্যরেখায় শেষবার মায়ের মুখ দেখলেন দুই মেয়ে
  • পঞ্চগড়ে দুই সীমান্ত দিয়ে নারী-শিশুসহ ২৬ জনকে পুশইন