Samakal:
2025-11-02@22:35:36 GMT

আরও ৬৯ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ

Published: 4th, June 2025 GMT

আরও ৬৯ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ

বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে আরও ৬৯ জনকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঠেলে দিয়েছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। ঠেলে দেওয়া প্রত্যেককে অনুপ্রবেশের অভিযোগে আটক করে পুলিশে হস্তান্তর করেছে বিজিবি। এ নিয়ে গত ৪ মে থেকে গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত সহস্রাধিক মানুষকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঠেলে দিল বিএসএফ।    

গত সোমবার গভীর রাতে পঞ্চগড় সদর উপজেলার হাঁড়িভাসা ইউনিয়নের ঘাগড়া সীমান্ত দিয়ে ৯ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়া হয়। সকালে তাদের আটক করেন ওই ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশের সদস্যরা। পরে ঘাগড়া বিওপি ক্যাম্পের বিজিবি সদস্যরা আটকদের পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন। একই সময় সদর উপজেলার চাকলাহাট ইউনিয়নের রতনীবাড়ি সীমান্ত দিয়ে ঠেলে দেওয়া হয় ১৭ জনকে। তাদের আটক করেন বিজিবি সদস্যরা। পুলিশ ও বিজিবি জানায়, ১০ থেকে ১৫ বছর ধরে তারা ভারতের হরিয়ানা রাজ্যে কাজ করতেন। তাদের বাড়ি কুড়িগ্রামের বিভিন্ন এলাকায়। 

ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটের সূর্যপুর সীমান্ত ও ধোবাউড়ার মুন্সিপাড়া সীমান্ত দিয়ে ২২ জনকে গতকাল ভোরে ঠেলে পাঠানো হয়। বিজিবি জানায়, তারা অনেক বছর ধরে ভারতের গুজরাট রাজ্যের সায়ন এলাকায় কাজ করতেন। একই ভোরে ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে নারী, শিশুসহ ১৩ জনকে ঠেলে দেয় বিএসএফ। এই ১৩ জন দীর্ঘদিন ধরে দিল্লিতে বসবাস করছিলেন। বিজিবি তাদের পুলিশের সহায়তায় পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে। 

চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলার চাঁনশিকারী সীমান্ত দিয়ে গতকাল ভোরে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঠেলে দেওয়া হয় আটজনকে। তাদের আটক করেন ৫৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের সদস্যরা। এর মধ্যে চার নারী ও চারজন পুরুষ। তারা সবাই বাংলাদেশি বলে নিশ্চিত করেছে বিজিবি। আটকদের ভোলাহাট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। 

এদিকে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম রেলস্টেশন থেকে দুই ভারতীয় নাগরিকের সন্ধান মিলেছে। গত সোমবার রাতে স্থানীয় লোকজন তাদের শনাক্ত করে। গতকাল দুপুর পর্যন্ত ওই দুই ভারতীয় রেলস্টেশনে অবস্থান করেছিলেন।

জানা গেছে, তাদের একজন ৭৪ বছর বয়সী ইউসুফ আলী দেশটির আসাম রাজ্যের দরং জেলার চেপাজা থানার বাসিন্দা। অন্যজন ৬৫ বছরের শামসুল হকের বাড়ি ওই রাজ্যের গোয়ালপাড়া জেলার বিজনী থানায়। ইউসুফ আলী জানান, আট দিন আগে আরও লোকজনের সঙ্গে তাদের বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঠেলে দেয় বিএসএফ। 

পাটগ্রাম থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, দুই ভারতীয়র ব্যাপারে পাটগ্রাম বিজিবি ক্যাম্পের কমান্ডারকে জানিয়েছি। তারা রেলস্টেশনে পুলিশের নজরদারিতে আছে। 

৯ বাংলাদেশিকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর

ভারতে অনুপ্রবেশের অভিযোগে গ্রেপ্তার ৯ বাংলাদেশিকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করেছে বিএসএফ। সোমবার সন্ধ্যায় সাতক্ষীরার কলারোয়ার ভাদিয়ালী সীমান্তে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ছয়জনকে হস্তান্তর করা হয়। বিজিবি তাদের কলারোয়া থানায় হস্তান্তর করেছে। 

এ ছাড়া নেত্রকোনা সীমান্তে তিন বাংলাদেশিকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করা হয়। গতকাল সকালে নেত্রকোনার দুর্গাপুরের বিজয়পুর সীমান্তের ১১৫২/এমপি পিলারের কাছে শূন্যরেখায় পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তাদের হস্তান্তর করে বিএসএফ। 

(সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধি ও সংবাদদাতার পাঠানো খবর)


 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: প শইন ব এসএফ গতক ল

এছাড়াও পড়ুন:

জঙ্গি সন্দেহে কলকাতায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশি যুবক

জঙ্গি সন্দেহে কলকাতা পুলিশের বিশেষ টাস্ক ফোর্সের (এসটিএফ) হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে এক বাংলাদেশি নাগরিক। মুফতি আবদুল্লাহ আল মাসুদ নামে ওই বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয় পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার গয়েশপুর পুলিশ ফাঁড়ি এলাকা থেকে। এরপর তাকে ফাঁড়িতে নিয়ে এসে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ চলে। বৃহস্পতিবার এই ঘটনাটি ঘটেছে। 

ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও ভারত থেকে নিজের দেশে ফিরে যাননি মাসুদ। তিনি অবৈধভাবে পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার কাটাগঞ্জ এলাকায় বসবাস করতেন। সম্প্রতি তার বেশ কিছু কর্মকান্ডে সন্দেহ প্রকাশ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এর পরই মাসুদকে ইসলামী উগ্রপন্থী বলে দাবি করে পুলিশে অভিযোগ করা হয়। যেহেতু তার ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, তাই পুলিশ তাকে একজন অবৈধ অভিবাসী হিসেবে বিবেচনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভারতীয় আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় তার বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করা হয়েছে। 

বিষয়টি সামনে আসার পরই যথেষ্ট উত্তেজনা ছড়িয়েছে। যদিও এ ব্যাপারে কলকাতা পুলিশের পক্ষে কিছুই জানানো হয়নি। 

অন্যদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় ভারত বাংলাদেশের দিনাজপুর সীমান্ত ও ভোমরা ঘোজাডাঙা সীমান্তে এলাকায় অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন আরো ১১ জন বাংলাদেশি নাগরিক। 

পুলিশ ও বিএসএফের যৌথ অভিযানে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় এক বাংলাদেশি নাগরিককে। আটককৃতে ওই ব্যক্তির নাম পঞ্চানন পাল। তিনি বাংলাদেশের ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গা থানার বাসিন্দা। ভারতে তিনি পরিচয় বদল করে রূপায়ণ পাল নামে বসবাস করছিলেন বলে অভিযোগ। তার কাছ থেকে বাংলাদেশি পাসপোর্ট ছাড়াও ভারতের আধার কার্ড, ভোটার কার্ড ও এমনকি ভারতীয় পাসপোর্ট পর্যন্ত উদ্ধার হয়েছে। 

একইদিনে ভারত থেকে অবৈধ পথে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সময়ে ঘোজাডাঙ্গা ভোমরা সীমান্তের কাছে সরুপনগর এলাকার তারালি সীমান্ত থেকে বিএসএফের ১৪৩নম্বর ব্যাটালিয়নের হাতে আটক হয়েছেন আরো বাংলাদেশি নাগরিক। 

সীমান্তরক্ষী বাহিনী জানিয়েছে আটকের পর তাদের স্বরূপনগর থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। আটককৃতদের মধ্যে রয়েছে তিন শিশু, তিনজন পুরুষ ও চারজন নারী। এর সবাই বাংলাদেশের সাতক্ষীরা এবং খুলনার বাগেরহাটের বাসিন্দা।

সুচরিতা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সিলেট সীমান্তে বাংলাদেশে ঢুকে খুঁটি উপড়ে ফেলে বিএসএফ, স্থানীয়দের প্রতিবাদ
  • পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনে কর্মকর্তা নিয়োগ, বেতন ৫১,০০০ টাকা
  • জঙ্গি সন্দেহে কলকাতায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশি যুবক