কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে বের হওয়ার ৩ ঘণ্টার মধ্যেই ডাকাতির প্রস্তুতিকালে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার হয়েছেন ৪০ মামলার আসামি খাইরুল হাসান ও তাঁর দুই সহযোগী। গতকাল মঙ্গলবার রাতে পুলিশের একটি দল নগরীর টমছম ব্রিজ এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে। তাদের কাছ থেকে পুলিশ একটি বিদেশি পিস্তল ও গুলি উদ্ধার করেছে।

আজ বুধবার দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার নাজির আহমেদ খান। তিনি জানান, ঈদ উপলক্ষে পুলিশের বিশেষ টহল জোরদার করা হয়। মঙ্গলবার রাতে নগরীর টমছম ব্রিজ এলাকায় যানবাহন তল্লাশিকালে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা থেকে যাত্রীবেশী অস্ত্রধারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি করার চেষ্টা চালায়। এ সময় ইপিজেড ফাঁড়ির এসআই খাজু মিয়ার নেতৃত্বে পুলিশ ওই অটোরিকশায় থাকা পাঁচজনের মধ্যে অস্ত্রসহ খাইরুল হাসান ও তাঁর দুই সহযোগীকে আটক করে। এ সময় দু’জন পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।

গ্রেপ্তার খাইরুল হাসান নগরীর শ্রীবল্লভপুর এলাকার খোকন মিয়ার ছেলে। তাঁর দুই সহযোগী হলেন– কুমিল্লা কোতোয়ালি থানার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের বহুরূপা গ্রামের জসিম উদ্দিনের ছেলে রাকিবুল হাসান রিয়াদ ও চাঁদপুরের মতলব থানার নয়াকান্দি গ্রামের রফিকুল ইসলাম মোল্লার ছেলে সোহাগ মোল্লা।

পুলিশ সুপার নাজির আহমেদ খান বলেন, জেলখানা ও জেলখানার বাইরে চক্রটির শক্তিশালী গ্যাং রয়েছে। খায়রুল হাসান জেলখানায় থেকেই ডাকাতির পরিকল্পনা করেন। ঘটনার দিন বিকেলে তারা কারাগার থেকে জামিনে বের হন। খাইরুল হাসানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় হত্যা, ডাকাতি, অস্ত্র, ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধে ৪০টি, রিয়াদের বিরুদ্ধে ১৬টি ও সোহাগ মোল্লার বিরুদ্ধে ১৪টি মামলা রয়েছে। বুধবার তাদের বিরুদ্ধে সদর দক্ষিণ থানায় অস্ত্র ও ডাকাতি প্রস্তুতির আরও দুটি মামলা হয়েছে। পরে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাশেদুল হাসান, ডিআইও-১ মামুনুর রশিদ, ডিবির ওসি মো.

আবদুল্লাহ, সদর দক্ষিণ থানার ওসি রফিকুল ইসলাম, ইপিজেড পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম।

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

কারাগারে বসেই ডাকাতির পরিকল্পনা করেন তারা: পুলিশ

কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে বের হওয়ার ৩ ঘণ্টার মধ্যেই ডাকাতির প্রস্তুতিকালে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার হয়েছেন ৪০ মামলার আসামি খাইরুল হাসান ও তাঁর দুই সহযোগী। গতকাল মঙ্গলবার রাতে পুলিশের একটি দল নগরীর টমছম ব্রিজ এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে। তাদের কাছ থেকে পুলিশ একটি বিদেশি পিস্তল ও গুলি উদ্ধার করেছে।

আজ বুধবার দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার নাজির আহমেদ খান। তিনি জানান, ঈদ উপলক্ষে পুলিশের বিশেষ টহল জোরদার করা হয়। মঙ্গলবার রাতে নগরীর টমছম ব্রিজ এলাকায় যানবাহন তল্লাশিকালে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা থেকে যাত্রীবেশী অস্ত্রধারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি করার চেষ্টা চালায়। এ সময় ইপিজেড ফাঁড়ির এসআই খাজু মিয়ার নেতৃত্বে পুলিশ ওই অটোরিকশায় থাকা পাঁচজনের মধ্যে অস্ত্রসহ খাইরুল হাসান ও তাঁর দুই সহযোগীকে আটক করে। এ সময় দু’জন পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।

গ্রেপ্তার খাইরুল হাসান নগরীর শ্রীবল্লভপুর এলাকার খোকন মিয়ার ছেলে। তাঁর দুই সহযোগী হলেন– কুমিল্লা কোতোয়ালি থানার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের বহুরূপা গ্রামের জসিম উদ্দিনের ছেলে রাকিবুল হাসান রিয়াদ ও চাঁদপুরের মতলব থানার নয়াকান্দি গ্রামের রফিকুল ইসলাম মোল্লার ছেলে সোহাগ মোল্লা।

পুলিশ সুপার নাজির আহমেদ খান বলেন, জেলখানা ও জেলখানার বাইরে চক্রটির শক্তিশালী গ্যাং রয়েছে। খায়রুল হাসান জেলখানায় থেকেই ডাকাতির পরিকল্পনা করেন। ঘটনার দিন বিকেলে তারা কারাগার থেকে জামিনে বের হন। খাইরুল হাসানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় হত্যা, ডাকাতি, অস্ত্র, ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধে ৪০টি, রিয়াদের বিরুদ্ধে ১৬টি ও সোহাগ মোল্লার বিরুদ্ধে ১৪টি মামলা রয়েছে। বুধবার তাদের বিরুদ্ধে সদর দক্ষিণ থানায় অস্ত্র ও ডাকাতি প্রস্তুতির আরও দুটি মামলা হয়েছে। পরে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাশেদুল হাসান, ডিআইও-১ মামুনুর রশিদ, ডিবির ওসি মো. আবদুল্লাহ, সদর দক্ষিণ থানার ওসি রফিকুল ইসলাম, ইপিজেড পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম।

সম্পর্কিত নিবন্ধ