নাকুগাঁও স্থলবন্দরে ১০ দিন বন্ধ আমদানি-রপ্তানি
Published: 5th, June 2025 GMT
ঈদুল আজহা উপলক্ষে শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী উপজেলার নাকুগাঁও স্থলবন্দরে টানা ১০ দিন আমদানি-রপ্তানি ও লোড-আনলোড কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। তবে ঈদের দিনসহ প্রতিদিন ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে পাসপোর্টধারীদের যাতায়াত স্বাভাবিক থাকবে। বুধবার স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
বন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, মুসলমানদের অন্যতম বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা উদযাপন উপলক্ষে নাকুগাঁও স্থলবন্দরের সব ধরনের বাণিজ্যিক কার্যক্রম যেমন আমদানি-রপ্তানি ও লোড-আনলোড আগামী বৃহস্পতিবার (৫ জুন) থেকে শনিবার (১৪ জুন) পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। ঈদের ছুটি শেষে আগামী রোববার (১৫ জুন) থেকে পুনরায় বাণিজ্যিক কার্যক্রম চালু হবে।
নাকুগাঁও আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান মুকুল জানান, ভারত, ভুটান ও বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের যৌথ সিদ্ধান্তে ৫ জুন থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত বন্দরের সব কার্যক্রম বন্ধ রাখা হবে। তিনি আরও বলেন, বৃহস্পতিবার থেকেই বন্দর বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
নাকুগাঁও স্থলবন্দরের অতিরিক্ত পরিচালক (এডি) জাহিদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ব্যবসায়ীদের সম্মতিতেই এই ছুটির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে ভারতীয় পাসপোর্টধারীদের জন্য ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট ঈদের দিনসহ প্রতিদিন খোলা থাকবে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ভারতে ইলিশ রপ্তানির অনুমতি পেল ৩৭টি প্রতিষ্ঠান
শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে বাংলাদেশ থেকে ভারতে ইলিশ মাছ রপ্তানির অনুমতি পেয়েছে ৩৭টি প্রতিষ্ঠান। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এসব প্রতিষ্ঠানকে অনুমতি দিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের একেকটি ২০ থেকে ৫০ টন পর্যন্ত ইলিশ রপ্তানি করতে পারবে। আজ মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে এই অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রণালয়।
দুর্গাপূজা উপলক্ষে চলতি বছর ভারতে ১ হাজার ২০০ টন ইলিশ মাছ রপ্তানির নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। গত ৮ সেপ্টেম্বর মন্ত্রণালয় এ-সংক্রান্ত আদেশ জারি করে। গত বছর দুর্গাপূজা উপলক্ষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রথমে ভারতে ৩ হাজার টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। পরে সেটি কমিয়ে ২ হাজার ৪২০ টন করা হয়। সেই তুলনায় এবার অর্ধেক ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
চলতি বছর অনুমতি পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোকে ৫ অক্টোবরের মধ্যে ভারতে ইলিশ রপ্তানি করতে বলেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। অনুমোদনপত্রে বলা হয়েছে, শুল্ক কর্তৃপক্ষ রপ্তানি পণ্যের যথাযথ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবে। অনুমোদিত পরিমাণের বেশি রপ্তানি করা যাবে না। অনুমতিপত্র হস্তান্তরযোগ্য নয়। সরকার প্রয়োজনে যেকোনো সময় এই রপ্তানির অনুমতি বাতিল করতে পারবে।
ভারতে ইলিশ রপ্তানির অনুমতি পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো হলো খুলনার আরিফ সি ফুডস, বিশ্বাস এন্টারপ্রাইজ, লোকজ ফ্যাশান ও মাশফি অ্যান্ড ব্রাদার্স, চট্টগ্রামের জেএস এন্টারপ্রাইস ও আনরাজ ফিশ প্রোডাক্টস, যশোরের লাকী এন্টারপ্রাইজ, এমইউ সি ফুডস, লাকী ট্রেডিং, রহমান ইমপেক্স ফিস এক্সপোর্ট, মোহাতাব অ্যান্ড সন্স, জনতা ফিস, বিশ্বাস ট্রেডার্স ও কেবি এন্টারপ্রাইজ, ঢাকার ভিজিল্যান্ড এক্সপ্রেস, স্বর্ণালী এন্টারপ্রাইজ, মাজেস্টিক এন্টারপ্রাইজ ও বিডিএস করপোরেশন, বরিশালের মাহিমা এন্টারপ্রাইজ, নাহিয়ান এন্টারপ্রাইজ, এ আর এন্টারপ্রাইজ ও তানিসা এন্টারপ্রাইজ, পাবনার নোমান এন্টারপ্রাইজ, রুপালী ট্রেডিং করপোরেশন, সেভেন স্টার ফিস প্রসেসিং কোং, ন্যাশনাল অ্যাগ্রো ফিশারিজ, আরফি ট্রেডিং করপোরেশন, জারিফ ট্রেডিং করপোরেশন, জারিন এন্টারপ্রাইজ, ফারিয়া ইন্টারন্যাশনাল ও সততা ফিস, ভোলার রাফিদ এন্টারপ্রাইজ, সাতক্ষীরার মা এন্টারপ্রাইজ ও সুমন ট্রেডার্স।