লাক্স সুপারস্টার : রেজিস্ট্রেশনের বাকি আর মাত্র ৭ দিন!
Published: 5th, June 2025 GMT
শুরু হয়েছে লাক্স সুপারস্টার। আর এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই দেশজুড়ে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণীদের মধ্যে তৈরি হয়েছে অন্য রকম এক্সাইটমেন্ট আর আগ্রহ। ক্যাম্পাস, ক্যানটিন, কোচিং সেন্টার কিংবা কফিশপ—যেখানেই তরুণীদের আড্ডা, সেখানেই কথার বিষয়বস্তু এখন লাক্স সুপারস্টার। সবার মুখে মুখে, ‘তুমি রেজিস্ট্রেশন করেছ তো?’ কেউ বলছে করেছে, কেউ ভাবছে করবে—সব মিলিয়ে একটা তোড়জোড় চলছে তরুণদের মধ্যে। ১২ জুন শেষ হচ্ছে লাক্স সুপারস্টারের ২০২৫ মৌসুমের রেজিস্ট্রেশন। হাতে সময় আছে আর মাত্র ৭ দিন!
এবারের সিজনটি হবে আরও আধুনিক, আরও সময়োপযোগী। অভিনয়, স্টাইলিং আর কনটেন্ট মেকিং—এই তিনটি বিষয়ে মূল্যায়ন করা হবে প্রতিযোগীদের।
অংশগ্রহণকারীদের উৎসাহ দিতে লাক্স সুপারস্টারের পুরোনো তারকাদের উপস্থিতি লক্ষ করা যাচ্ছে অনলাইন ও অফলাইনে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিওর মাধ্যমে বিদ্যা সিনহা মিম ও মেহজাবীন চৌধুরী সবার সঙ্গে শেয়ার করছেন নিজেদের সুপারস্টার হয়ে ওঠার গল্প। কমেন্ট সেকশনেও অংশগ্রহণকারীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন তাঁরা।
ঢাকা, সিলেট, রাজশাহীসহ দেশের বিভিন্ন বিভাগীয় শহরের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আয়োজন করা হচ্ছে ইন্টারঅ্যাকটিভ সেশন, যেখানে অংশ নিয়েছেন টয়া, নীলা, ইশরাতসহ আরও অনেক লাক্স তারকা। তাঁরা কথা বলছেন লাক্স সুপারস্টারে তাঁদের নিজেদের জার্নি নিয়ে। ঢাকার ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত এক সেশনে নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করে অভিনেত্রী মুমতাহিনা টয়া বলেন, ‘লাক্স সুপারস্টার পুরো বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটা প্ল্যাটফর্ম হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে। এখান থেকেই আমাদের ইন্ডাস্ট্রির প্রধান নারী তারকারা এসেছেন। আমার জীবনের সেরা তিনটি মাস আমি কাটিয়েছি এই প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে। গ্রুমিংয়ের সময়টা টাফ হলেও প্রসেস শেষ করে যখন বের হবেন, মনে হবে, এটি অমূল্য ছিল!’
এবারের সিজনে বিচারকের আসনে থাকছেন জয়া আহসান, মেহজাবীন চৌধুরী ও রায়হান রাফীর মতো জনপ্রিয় তিন মুখ। শুধু বিচারক নন, এবারের জার্নিজুড়ে তাঁরা মেন্টর হিসেবেও দায়িত্ব পালন করবেন। নিজেদের অভিজ্ঞতায় গড়ে তুলবেন নতুনদের আত্মবিশ্বাস ও দক্ষতা। বিচারকদের সঙ্গে নিয়ে ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে হাজারো রেজিস্ট্রেশন থেকে শীর্ষ ১০০ জনকে লাইভ অডিশনের জন্য বেছে নেওয়ার প্রক্রিয়া।
আরও পড়ুনকে হবেন নতুন লাক্স সুপারস্টার ২৬ মে ২০২৫লাক্স সুপারস্টার কেবল একটি প্রতিযোগিতা নয়, এটি একটি বিশ্বাসযোগ্য গ্রুমিং প্ল্যাটফর্ম। এই মঞ্চ থেকে উঠে আসা অনেক তারকাই আজ দেশের মিডিয়া ইন্ডাস্ট্রির প্রথম সারির মুখ। বাঁধন, মিম, মেহজাবীন, মম, বিন্দু, টয়া, তুশি, অর্ষা—এঁদের সবারই শুরুটা হয়েছিল লাক্স সুপারস্টারের সঙ্গে।
আপনারও যদি সুপারস্টার হওয়ার স্বপ্ন থাকে, তাহলে এখনই সুযোগ। রেজিস্ট্রেশনের সময় প্রায় শেষের দিকে। অভিনয়, স্টাইলিং, আর কনটেন্ট মেকিংয়ে প্যাশন থাকলে রেজিস্ট্রেশন করতে ভিজিট করুন www.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ল ক স স প রস ট র
এছাড়াও পড়ুন:
মার্কস অলরাউন্ডার: ময়মনসিংহ ও দিনাজপুরসহ ৯ জেলায় কবে কোথায় প্রতিযোগিতা
বাংলাদেশের প্রতিটি প্রান্তে এখন চলছে প্রতিভার উচ্ছ্বাস ‘মার্কস অলরাউন্ডার’। ‘দেখাও যত প্রতিভা তোমার’ স্লোগানে আয়োজিত দেশের অন্যতম বড় প্ল্যাটফর্মটি শিশু-কিশোরদের নিজেদের সম্ভাবনা প্রকাশের মঞ্চ হয়ে উঠেছে। বরাবরের মতো এবারের আয়োজনটিও পাচ্ছে দর্শক ও অংশগ্রহণকারীদের দারুণ সাড়া। প্রতিযোগিতাটি তিন ধাপে অনুষ্ঠিত হবে—আঞ্চলিক, বিভাগীয় ও জাতীয় পর্যায়ে। এরই মধ্যে অনেক স্থানে প্রতিযোগিতার আঞ্চলিক পর্ব অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্র ও শনিবার (৭ ও ৮ নভেম্বর) ময়মনসিংহ, দিনাজপুর, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, ঠাকুরগাঁও, ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা, নীলফামারী ও পঞ্চগড় অঞ্চলের প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। নিম্নলিখিত প্রতিটি ভেন্যুতে সকাল আটটা থেকে শুরু হবে প্রতিযোগিতা।
তারিখ: ৭ নভেম্বর, শুক্রবার
ভেন্যু: কলকাকলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কুষ্টিয়া সদর, কুষ্টিয়া।
যে এলাকার শিক্ষার্থীরা অংশ নেবে: কুষ্টিয়া ও মেহেরপুর জেলা।
ভেন্যু: কলেজিয়েট গার্লস হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ, হাসপাতাল রোড, দিনাজপুর সদর, দিনাজপুর।
যে এলাকার শিক্ষার্থীরা অংশ নেবে: দিনাজপুর ও ঠাকুরগাঁও জেলা।
ভেন্যু: ময়মনসিংহ সরকারি কলেজ, আকুয়া, ময়মনসিংহ।
যে এলাকার শিক্ষার্থীরা অংশ নেবে: ময়মনসিংহ সদরের একাংশ (আকুয়া, সানকিপাড়া, কলেজ রোড, কাচিঝুলি, পুলিশ লাইনস, নয়াপাড়া, মাসকান্দা, দিগারকান্দা ও সুতিয়াখালী), মুক্তাগাছা, ফুলবাড়িয়া, ত্রিশাল, ভালুকা ও গফরগাঁও থানা।
তারিখ: ৮ নভেম্বর, শনিবার
ভেন্যু: ঝিনাইদহ নিউ একাডেমি স্কুল, ঝিনাইদহ সদর, ঝিনাইদহ।
যে এলাকার শিক্ষার্থীরা অংশ নেবে: ঝিনাইদহ ও চুয়াডাঙ্গা জেলা।
ভেন্যু: ময়মনসিংহ জিলা স্কুল, ময়মনসিংহ।
যে এলাকার শিক্ষার্থীরা অংশ নেবে: ময়মনসিংহ সদরের একাংশ (টাউন হল, কাচারি, চরপাড়া, ব্রিজ মোড়, গাঙ্গিনাপাড়, পণ্ডিতপাড়া, মেছোয়া বাজার, ছোট বাজার ও বড় বাজার), গৌরীপুর, ঈশ্বরগঞ্জ, নান্দাইল, তারাকান্দা, ফুলপুর, হালুয়াঘাট ও ধোবাউড়া থানা।
ভেন্যু: নীলফামারী সরকারি উচ্চবিদ্যালয়, পিটিআই রোড, নীলফামারী সদর, নীলফামারী।
যে এলাকার শিক্ষার্থীরা অংশ নেবে: নীলফামারী ও পঞ্চগড় জেলা।
প্রতিযোগিতার গ্রুপ ও বিষয়—প্লে থেকে চতুর্থ শ্রেণি—জুনিয়র স্কুল (গান, নাচ, অভিনয়, চিত্রাঙ্কন, আবৃত্তি, গল্প বলা); পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণি—মিডল স্কুল (গান, নাচ, অভিনয়, চিত্রাঙ্কন, আবৃত্তি, উপস্থিত বক্তৃতা) এবং নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি—হাইস্কুল ও কলেজ (গান, নাচ, অভিনয়, চিত্রাঙ্কন, আবৃত্তি, উপস্থিত বক্তৃতা।)
ইতিমধ্যে চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, যশোর, মাগুরা, নোয়াখালী, ফেনী, সিলেট, নাটোর, পাবনা, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, ফরিদপুর, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, শরীয়তপুর, রাজবাড়ী, সিরাজগঞ্জ, রংপুর, কুড়িগ্রাম, খুলনা, বাগেরহাট, রাজশাহী, ঠাকুরগাঁও, টাঙ্গাইল, লালমনিরহাট, সাতক্ষীরা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, পঞ্চগড়, জামালপুর, শেরপুরসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় প্রতিযোগিতা সম্পন্ন হয়েছে। পর্যায়ক্রমে দেশের ১০০টি স্থানে আঞ্চলিক পর্ব অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশের সব স্কুল-কলেজ (প্লে গ্রুপ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি) এবং সমমানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীরা এ প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবে।
পুরস্কারমার্কস অলরাউন্ডারে তিনটি গ্রুপ থেকে সেরা তিন অলরাউন্ডারের প্রত্যেকে পাবে ১৫ লাখ টাকার শিক্ষাবৃত্তি। আর বিভিন্ন পর্যায়ের বিজয়ীরা পাবে মোট এক কোটি টাকার বেশি উপহার ও শিক্ষাবৃত্তি।
গ্র্যান্ড ফিনালেতে তিনটি গ্রুপের ফার্স্ট রানার্সআপ এবং সেকেন্ড রানার্সআপের প্রত্যেকে পাবে পাঁচ লাখ এবং তিন লাখ টাকার শিক্ষাবৃত্তি। তিনটি গ্রুপের ছয়টি বিষয়ের প্রতিটিতে সেরা ৩ জন করে মোট ৫৪ জন সেরা পারফরমারের প্রত্যেকে পাবে যথাক্রমে স্বর্ণ, রৌপ্য ও ব্রোঞ্জপদক। জাতীয় পর্যায়ে তিনটি গ্রুপের চ্যাম্পিয়নদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পাবে একটি করে কম্পিউটার।
আয়োজকদের মতে, মার্কস অলরাউন্ডার শুধু একটি প্রতিযোগিতা নয়। এটি বাংলাদেশের শিশু-কিশোরদের প্রতিভা, মেধা, সংস্কৃতি ও আত্মবিশ্বাস বিকাশের একটি অন্যতম বড় প্ল্যাটফর্ম। আঞ্চলিক থেকে জাতীয় পর্যায় পর্যন্ত এই আয়োজন অংশগ্রহণকারীদের জন্য হয়ে উঠেছে শেখার, নিজেকে নতুনভাবে আবিষ্কার করার এবং ভবিষ্যতের পথে আরও এক ধাপ এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ।
বিস্তারিত জানতে এবং রেজিস্ট্রেশন করতে ভিজিট করতে হবে। ফোন করা যাবে (সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা) ০৯৬১৪৫১৬১৭১ নম্বরে।