ডিজিটাল পুঁজিবাজার গঠনের লক্ষ্যে নবউদ্ভাবিত অনলাইন আইপিও আবেদন ব্যবস্থা নিয়ে একটি পাইলট টেস্টিং এবং প্রশিক্ষণ সেশন সম্পন্ন করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। গত ১৭ জুলাই থেকে শুরু হওয়া এই সেশনে অংশগ্রহণ করেন দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জ, ৬০টি মার্চেন্ট ব্যাংক এবং বিএসইসির বিভিন্ন বিভাগের মোট ১১৯ জন প্রতিনিধি।

রবিবার (২৭ জুলাই) বিএসইসি থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী বক্তব্যে বিএসইসির উপপরিচালক গৌর চন্দ সরকার বলেন, “এই ডিজিটাল উদ্যোগ পুঁজিবাজারকে আরো স্বচ্ছ, গতিশীল ও বিনিয়োগবান্ধব করে তুলবে।” তিনি অনলাইন আবেদন ব্যবস্থার পেছনের পরিকল্পনা ও কৌশলগত লক্ষ্য সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন।

আরো পড়ুন:

পুঁজিবাজারে আসতে আগ্রহী আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন

পুঁজিবাজারে পতন দিয়ে সপ্তাহ শুরু, কমেছে লেনদেন

সফটওয়্যার উন্নয়নকারী প্রতিষ্ঠান ট্যাপওয়্যার সল্যুশনস লিমিটেডের চিফ টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজার মোহাম্মদ কামরুজ্জামান নিটন নতুন আইপিও আবেদন সিস্টেমের বৈশিষ্ট্য ও ব্যবহার পদ্ধতি উপস্থাপন করেন। তার টিমের সহযোগিতায় পরবর্তী পর্বে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়, যেখানে অংশগ্রহণকারীরা সরাসরি সিস্টেম ব্যবহার করে বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জন করেন।

অনুষ্ঠানে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) থেকে ২ জন করে, ৬০টি মার্চেন্ট ব্যাংক থেকে ১০৬ জন, বিএসইসির ক্যাপিটাল ইস্যু বিভাগ থেকে ৫ জন এবং এমআইএস বিভাগ থেকে ৪ জন অংশগ্রহণ করেন।

সেশনের শেষে নেটওয়ার্কিং লাঞ্চ এবং প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। প্রশ্নোত্তর পর্বটি পরিচালনা করেন পরিচালক রাজিব আহমেদ এবং অতিরিক্ত পরিচালক মো.

ইকবাল হোসেন, যেখানে অংশগ্রহণকারীদের প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিয়ে নতুন সিস্টেমের বিশ্বাসযোগ্যতা আরো দৃঢ় করা হয়। আর পুরো অনুষ্ঠানটি সহকারী পরিচালক নিলয় কর্মকারের সুসমন্বয়ে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়।

সক্রিয় অংশগ্রহণ ও গঠনমূলক মতামতের জন্য সকল অংশীজনকে ধন্যবাদ জানিয়েছে বিএসইসি। সেইসঙ্গে ভবিষ্যতেও ডিজিটাল উদ্ভাবনে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে কমিশন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলেও জানানো হয়।
 

ঢাকা/এনটি/বকুল 

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এসইস অন ষ ঠ

এছাড়াও পড়ুন:

পুঁজিবাজারে বড়-মাঝারি বিনিয়োগকারী বেড়েছে : বিএসইসি

পুঁজিবাজার থেকে সাম্প্রতিক সময়ে বিনিয়োগকারী বেরিয়ে যাওয়ার কথা বলা হলেও পরিসংখ্যানে এর বিপরীত চিত্রই উঠে এসেছে। ২০২৪ সালের ৩০ জুনের তুলনায় ২০২৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত সময়ে অতি ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীর সংখ্যা কিছুটা কমলেও বড় ও মাঝারি বিনিয়োগকারীর সংখ্যা বেড়েছে। ফলে বিনিয়োগকারীর সংখ্যা নয় বরং তাদের বিনিয়োগক্ষমতার ধরণ ও মান বদলেছে। তাই পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীর সংখ্যা কিংবা বিনিয়োগ কমছে এমন তথ্য সম্পূর্ণ সত্য নয় বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) বিএসইসি থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানান হয়েছে, পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীর সংখ্যা অথবা বিও হিসাবের সংখ্যা কিংবা বিনিয়োগ কমছে এমন বক্তব্য সাম্প্রতিক সময়ে পরিলক্ষিত হয়েছে। কিন্তু বিষয়টি মূলত সম্পূর্ণ সত্য নয়। মূলত বিগত বছরের তুলনায় পুঁজিবাজারে বৃহৎ বিনিয়োগকারীর (৫০ কোটি হতে ৫০০ কোটি টাকা এবং তদুর্ধ্ব পোর্টফোলিও ভ্যালুসম্পন্ন) সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।

আরো পড়ুন:

পুঁজিবাজারে টানা ৩ কার্যদিবস সূচকের পতন

বিএসইসি ‘জিরো টলারেন্স’ নীতিতে কাজ করছে: ডিবিএ সভাপতি

পাশাপাশি বিগত বছরের তুলনায় মাঝারি বিনিয়োগকারীর (৫০ লাখের ঊর্ধ্বে ও ৫০ কোটি টাকার নিম্নের পোর্টফোলিও ভ্যালুসম্পন্ন) সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে। একইসঙ্গে বিগত বছরের তুলনায় ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীর (১ লাখের ঊর্ধ্বে ও ৫০ লাখের টাকার নিম্নের পোর্টফোলিও ভ্যালুসম্পন্ন) সংখ্যাও উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।

তবে বিগত বছরের তুলনায় অতি ক্ষুদ্রবিনিয়োগকারীর (১ লাখ টাকার নিম্নের পোর্টফোলিও ভ্যালুসম্পন্ন) সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে। অর্থ্যাৎ অতি ক্ষুদ্রবিনিয়োগকারীর (১ লাখ টাকার নিম্নের পোর্টফোলিও ভ্যালুসম্পন্ন) সংখ্যা ব্যতীত অন্য সকল ক্ষেত্রেই উন্নতি হয়েছে।

পোর্টফোলিও ভ্যালু ৫০ কোটি টাকার বেশি এমন বৃহৎ বিনিয়োগকারীর সংখ্যা ২০২৫ সালের জুনে দাঁড়িয়েছে ৭৩৩ জন, যা আগের বছর ছিল ৬৯৬। আর ৫০০ কোটির ঊর্ধ্বে পোর্টফোলিওধারীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৭০, যা আগের বছর ছিল ৬৮।

মাঝারি বিনিয়োগকারীদের ক্ষেত্রেও ইতিবাচক প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। ৫০ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগ রয়েছে এমন মাঝারি বিনিয়োগকারীর সংখ্যা ২০২৫ সালে দাঁড়িয়েছে ২৪ হাজার ২২৫ জন, যা আগের বছরের তুলনায় প্রায় ১ হাজার ৩১৮ জন বেশি।

তবে বিপরীত চিত্র রয়েছে ১ লাখ টাকার নিচে বিনিয়োগ রয়েছে এমন অতি ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের মধ্যে। তাদের সংখ্যা ২০২৪ সালের ৯ লাখ ১৬ হাজার ১৫৭ থেকে কমে ২০২৫ সালে দাঁড়িয়েছে ৮ লাখ ৩১ হাজার ৭৪৮ জন। অর্থাৎ প্রায় ৮৫ হাজার বিনিয়োগকারী ১ লাখ টাকার নিচের পোর্টফোলিও থেকে সরে এসেছেন বা বিনিয়োগ বৃদ্ধি করেছেন। 
 

ঢাকা/এনটি/বকুল 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারীদের সংবর্ধনা দিল জাবি
  • বিএসইসির নতুন কমিশনার সাইফুদ্দিন
  • অস্ট্রেলিয়ায় নারী এশিয়া কাপ: শক্তিশালী গ্রুপে বাংলাদেশ 
  • পুঁজিবাজারে বড়-মাঝারি বিনিয়োগকারী বেড়েছে : বিএসইসি
  • ‘পুঁজিবাজারে ভালো কোম্পানি তালিকাভুক্তিতে কাজ করছি’
  • ওয়ালটন হাই-টেক পার্কে ২ দিনব্যাপী অগ্নি নিরাপত্তা প্রশিক্ষণ কর্মশালা
  • বিএসইসি ‘জিরো টলারেন্স’ নীতিতে কাজ করছে: ডিবিএ সভাপতি
  • ১২ হাজার তরুণ–তরণীকে বিনা মূল্যে প্রশিক্ষণ দেবে পিকেএসএফ
  • বিএসইসিতে পুঁজিবাজার অংশীজনদের নিয়ে সমন্বয় সভা সোমবার