অনলাইন আইপিও আবেদন নিয়ে পাইলট টেস্টিং-প্রশিক্ষণ
Published: 27th, July 2025 GMT
ডিজিটাল পুঁজিবাজার গঠনের লক্ষ্যে নবউদ্ভাবিত অনলাইন আইপিও আবেদন ব্যবস্থা নিয়ে একটি পাইলট টেস্টিং এবং প্রশিক্ষণ সেশন সম্পন্ন করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। গত ১৭ জুলাই থেকে শুরু হওয়া এই সেশনে অংশগ্রহণ করেন দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জ, ৬০টি মার্চেন্ট ব্যাংক এবং বিএসইসির বিভিন্ন বিভাগের মোট ১১৯ জন প্রতিনিধি।
রবিবার (২৭ জুলাই) বিএসইসি থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী বক্তব্যে বিএসইসির উপপরিচালক গৌর চন্দ সরকার বলেন, “এই ডিজিটাল উদ্যোগ পুঁজিবাজারকে আরো স্বচ্ছ, গতিশীল ও বিনিয়োগবান্ধব করে তুলবে।” তিনি অনলাইন আবেদন ব্যবস্থার পেছনের পরিকল্পনা ও কৌশলগত লক্ষ্য সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন।
আরো পড়ুন:
পুঁজিবাজারে আসতে আগ্রহী আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন
পুঁজিবাজারে পতন দিয়ে সপ্তাহ শুরু, কমেছে লেনদেন
সফটওয়্যার উন্নয়নকারী প্রতিষ্ঠান ট্যাপওয়্যার সল্যুশনস লিমিটেডের চিফ টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজার মোহাম্মদ কামরুজ্জামান নিটন নতুন আইপিও আবেদন সিস্টেমের বৈশিষ্ট্য ও ব্যবহার পদ্ধতি উপস্থাপন করেন। তার টিমের সহযোগিতায় পরবর্তী পর্বে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়, যেখানে অংশগ্রহণকারীরা সরাসরি সিস্টেম ব্যবহার করে বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জন করেন।
অনুষ্ঠানে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) থেকে ২ জন করে, ৬০টি মার্চেন্ট ব্যাংক থেকে ১০৬ জন, বিএসইসির ক্যাপিটাল ইস্যু বিভাগ থেকে ৫ জন এবং এমআইএস বিভাগ থেকে ৪ জন অংশগ্রহণ করেন।
সেশনের শেষে নেটওয়ার্কিং লাঞ্চ এবং প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। প্রশ্নোত্তর পর্বটি পরিচালনা করেন পরিচালক রাজিব আহমেদ এবং অতিরিক্ত পরিচালক মো.
সক্রিয় অংশগ্রহণ ও গঠনমূলক মতামতের জন্য সকল অংশীজনকে ধন্যবাদ জানিয়েছে বিএসইসি। সেইসঙ্গে ভবিষ্যতেও ডিজিটাল উদ্ভাবনে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে কমিশন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলেও জানানো হয়।
ঢাকা/এনটি/বকুল
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এসইস অন ষ ঠ
এছাড়াও পড়ুন:
৪ কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদনে অনিয়ম: ৭ অডিটর নিষিদ্ধ
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত চারটি কোম্পানির সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদনে গুরুতর আর্থিক অনিয়ম ও আইনের লঙ্ঘন থাকা সত্ত্বেও তা নিরীক্ষা প্রতিবেদনে উত্থাপন না করায় সাত নিরীক্ষক (অডিটর) প্রতিষ্ঠানকে পাঁচ বছরের জন্য অডিট এবং অ্যাসিউর্যান্স কার্যক্রমে অংশগ্রহণের উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
সেইসঙ্গে ওই নিরীক্ষা ফার্ম এবং নিরীক্ষকদের কেন অযোগ্য ঘোষণা করা হবে না, সেই মর্মে ব্যাখ্যা তলব করে তাদের শুনানিতে ডাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।
আরো পড়ুন:
সোনালী পেপারের শেয়ার কারসাজি: ১১ কোটি ৮২ লাখ টাকা জরিমানা
পুঁজিবাজার উন্নয়নে ডিএসই ও ডিসিসিআইয়ের যৌথ সভা
গত মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সভাপতিত্বে ৯৭৩তম কমিশন সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র আবুল কালাম স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ৩০ জুন, ২০১৯ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষা ফার্ম ও নিরীক্ষক এ হক অ্যান্ড কোং চার্টার্ড এ্যকাউন্ট্যান্টস; রিংসাইন টেক্সটাইল লিমিটেডের ৩০ জুন, ২০১৭, ২০১৮, ২০১৯ এবং ২০২০ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষা ফার্ম ও নিরীক্ষক যথাক্রমে: আহমেদ অ্যান্ড আক্তার, মাহফেল হক অ্যান্ড কোং, আতা খান অ্যান্ড কোং এবং সিরাজ খান বসাক অ্যান্ড কোং চার্টার্ড এ্যকাউন্ট্যান্টস; আমান কটন ফাইব্রাস লিমিটেডের ৩০ জুন, ২০২০ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষা ফার্ম ও নিরীক্ষক ইসলাম কাজী শফিক অ্যান্ড কোং চার্টার্ড এ্যকাউন্ট্যান্টস এবং ফারইষ্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের ৩০ জুন, ২০১৮ ও ২০১৯ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষা ফার্ম ও নিরীক্ষক মাহফেল হক অ্যান্ড কোং চার্টার্ড এ্যকাউন্ট্যান্টস আর্থিক প্রতিবেদনে গুরুতর আর্থিক অনিয়ম ও সিকিউরিটিজ আইনের লঙ্ঘন থাকা সত্ত্বেও নিরীক্ষা প্রতিবেদনে উত্থাপন করেনি।
এ সকল নিরীক্ষা ফার্ম এবং নিরীক্ষককে পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত সকল কোম্পানি, সকল ধরনের বিনিয়োগ স্কিম (যথা- মিউচ্যুয়াল ফান্ড, অল্টারনেটিভ ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড ও এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড) এবং পুঁজিবাজারে মধ্যস্থতাকারী সকল প্রতিষ্ঠানের অডিট ও অ্যাসিউর্যান্স কার্যক্রম পরিচালনার উপর নিষেধাজ্ঞা তথা পাঁচ বছরের জন্য অডিট ও অ্যাসিউর্যান্স কার্যক্রমে অংশগ্রহণে কেন অযোগ্য ঘোষণা করা হবে না এই মর্মে ব্যাখ্যা তলব করে শুনানি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ঢাকা/এনটি/বকুল