পদ্মা সেতু প্রকল্প এলাকা রক্ষা বাঁধে ভাঙন
Published: 7th, June 2025 GMT
পদ্মা সেতু প্রকল্প এলাকা রক্ষা বাঁধের ২০০ মিটারের মতো অংশ পদ্মায় ধসে পড়েছে। আজ শনিবার সকালে শরীয়তপুরের জাজিরার নাওডোবার জিরো পয়েন্ট এলাকায় ওই ভাঙন হয়। এমন পরিস্থিতিতে বাঁধের আশপাশ থেকে দুটি দোকান ও তিনটি বসতবাড়ি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্র জানায়, পদ্মা সেতুর প্রকল্প এলাকা নদীভাঙনের কবল থেকে রক্ষা করতে সেতু থেকে ভাটির দিকে (পূর্ব দিকে) ২ কিলোমিটার এলাকায় ১১০ কোটি টাকা ব্যয়ে নদীর তীর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ করা হয়। ওই বাঁধের সঙ্গে পরে নদীশাসনের বাঁধ সংযুক্ত করে দেওয়া হয়। গত বছর নভেম্বর মাসে নাওডোবার জিরো পয়েন্ট এলাকায় ওই বাঁধের ১০০ মিটার অংশ নদীতে ধসে যায়। এরপর মাঝিরঘাট এলাকায় আরও ১০০ মিটার অংশে বাঁধের নিচ থেকে মাটি সরে যায়।
পাউবো সূত্র জানায়, গত বছর নভেম্বরে বাঁধ ভাঙনের পর সমীক্ষা চালায় পাউবো ও বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ (বিবিএ)। এতে দেখা যায় এক কিলোমিটার অংশে বাঁধের কাছে নদী গভীর। সেখানে তলদেশ থেকে মাটি সরে যাচ্ছে। আর বাকি এক কিলোমিটার অংশের বাঁধের কাছে নদী চলে এসেছে। সেখানেও মাটি ভেঙে নদীতে পড়ছে। তখন পাউবো বাঁধের ভেঙে পড়া অংশে সংস্কারের কাজ শুরু করে। গত মে মাসে জিরো পয়েন্ট এলাকার ১০০ মিটার অংশে বালুভর্তি ৩৩ হাজার জিও ব্যাগ ফেলা হয়।
আজ শনিবার ওই স্থানের কাছে নতুন করে ভাঙন দেখা দেয়। সকালে ২০০ মিটারের মতো অংশ নদীতে ধসে পড়ে। ভাঙনের কারণে বাঁধের পাশের দেলোয়ার হোসেন মাদবর, হাদি শেখ ও রুবেল খানের বসতবাড়ি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া দুটি দোকানও সরিয়ে নেওয়া হয়।
হাদিস শেখ প্রথম আলোকে বলেন, ‘বাঁধটির কারণে আমরা নিরাপদে ছিলাম। নিশ্চিন্তে নদীর তীরে বসবাস করেছি। গত বছর যখন বাঁধে ভাঙন দেখা দেয়, তখন থেকেই আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছি। আজ বসতঘর সরিয়ে নিতে হয়েছে। আশপাশে জায়গা না পাওয়ায় পাশের ফরাজী কান্দি গ্রামে আশ্রয় নিয়েছি।’
পাউবোর শরীয়তপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী তারেক হাসান প্রথম আলোকে বলেন, ‘পদ্মা সেতু প্রকল্প এলাকা রক্ষা বাঁধটির কিছু অংশ ভাঙনকবলিত হওয়ায় আমরা সংস্কারের কাজ শুরু করেছিলাম। এর পাশে উজানের দিকে বাঁধের কিছু অংশ আজ হঠাৎ করে ভেঙে নদীতে বিলীন হয়েছে। বাঁধটি রক্ষার জন্য দু-এক দিনের মধ্যেই পানি উন্নয়ন বোর্ড কাজ শুরু করবে।’
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
শরীয়তপুরে বালতি থেকে ককটেল ছুড়তে ছুড়তে সংঘর্ষ, বিস্ফোরণ
একদল তরুণ ও যুবক বালতি হাতে দৌড়াচ্ছেন। কিছু একটা তুলছেন আর ছুড়ে মারছেন। বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হচ্ছে। ধোঁয়ায় চারদিক আচ্ছন্ন হয়ে পড়ছে। দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া চলছে।
শরীয়তপুরের জাজিরার বিলাসপুর ইউনিয়নের চেরাগ আলী ব্যাপারীকান্দি গ্রামে এভাবে ৬০-৭০টি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। আজ রোববার সকালে বিবদমান দুই পক্ষের আধিপত্য বিস্তারের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে। ওই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। এ নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়।
এর আগে এ বছরের ৫ এপ্রিল ঠিক একইভাবে বিলাসপুর এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা দেশব্যাপী আলোচনার জন্ম দিয়েছিল।
জাজিরা থানা সূত্র জানায়, জাজিরার বিলাসপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য নাসির উদ্দিন ব্যাপারী এবং একই এলাকার তাইজুল ইসলাম ছৈয়ালের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ আছে। দুজনই বিলাসপুরের চেরাগ আলী ব্যাপারীকান্দি গ্রামের বাসিন্দা। নাসির উদ্দিন বিলাসপুরের চেয়ারম্যান কুদ্দুস ব্যাপারী এবং তাইজুল স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আবদুল জলিল মাতবরের সমর্থক।
প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য, আজ ওই দুই পক্ষের লোকজন গ্রামের দুটি স্থানে অবস্থান নিয়ে একে অপরের ওপর ককটেল ছুড়ে মারেন। তাঁরা দুই পক্ষের সমর্থকদের বসতবাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটান। এ সময় দুই পক্ষের লোকজন অন্তত ৬০-৭০টি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটান। ওই ঘটনায় দুই ব্যক্তি আহত হয়েছেন।
দুই পক্ষের সমর্থকদের বসতবাড়িতেও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। শরীয়তপুরের জাজিরার বিলাসপুরে