কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সীমান্তে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) হাতে আটক এক নারীকে হেফাজতে নিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। ওই নারী ২৫ বছর আগে পাচারের শিকার হয়ে ভারতে গিয়েছিলেন বলে পরিবারের বরাত দিয়ে জানিয়েছে বিজিবি।

আজ শনিবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে উপজেলার চিলমারী ইউনিয়নের উদয়নগর সীমান্ত এলাকায় কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে একটি পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ওই নারীকে হেফাজতে নেয় বিজিবি। ওই নারী খুলনার রূপসা থানার বাসিন্দা। আজ শনিবার সন্ধ্যা সোয়া ছয়টার দিকে কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়নের (৪৭ বিজিবি) অধিনায়ক স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গতকাল শুক্রবার বিকেল পাঁচটার দিকে উদয়নগর সীমান্তের ৮৪/৪-এস সীমান্ত পিলারের কাছ দিয়ে ওই নারী ভারতীয় দালালের মাধ্যমে অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা করেন। এ সময় বিএসএফ সদস্যরা তাঁকে আটক করেন। এই খবর পেয়ে বিজিবি ওই নারীর ছবি সংগ্রহ করে খুলনার স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মাধ্যমে তার পরিবারের কাছে পাঠায়। ছবি দেখে পরিবারের সদস্যরা নারীকে শনাক্ত করেন। তাঁরা জানান, ২৫ বছর আগে দালালের মাধ্যমে ভারতে পাচার হয়েছিলেন ওই নারী। এরপর তাঁর আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।

বিজিবির পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর শনিবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে পৌনে ১০টা পর্যন্ত উদয়নগর সীমান্তের ৮৪/৬-এস সীমান্ত পিলারসংলগ্ন স্থানে কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে নারীকে বিজিবি গ্রহণ করে। পরে পাচারের শিকার হিসেবে আইনানুগ ব্যবস্থার জন্য তাঁকে দৌলতপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ওই ন র

এছাড়াও পড়ুন:

জঙ্গি সন্দেহে কলকাতায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশি যুবক

জঙ্গি সন্দেহে কলকাতা পুলিশের বিশেষ টাস্ক ফোর্সের (এসটিএফ) হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে এক বাংলাদেশি নাগরিক। মুফতি আবদুল্লাহ আল মাসুদ নামে ওই বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয় পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার গয়েশপুর পুলিশ ফাঁড়ি এলাকা থেকে। এরপর তাকে ফাঁড়িতে নিয়ে এসে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ চলে। বৃহস্পতিবার এই ঘটনাটি ঘটেছে। 

ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও ভারত থেকে নিজের দেশে ফিরে যাননি মাসুদ। তিনি অবৈধভাবে পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার কাটাগঞ্জ এলাকায় বসবাস করতেন। সম্প্রতি তার বেশ কিছু কর্মকান্ডে সন্দেহ প্রকাশ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এর পরই মাসুদকে ইসলামী উগ্রপন্থী বলে দাবি করে পুলিশে অভিযোগ করা হয়। যেহেতু তার ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, তাই পুলিশ তাকে একজন অবৈধ অভিবাসী হিসেবে বিবেচনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভারতীয় আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় তার বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করা হয়েছে। 

বিষয়টি সামনে আসার পরই যথেষ্ট উত্তেজনা ছড়িয়েছে। যদিও এ ব্যাপারে কলকাতা পুলিশের পক্ষে কিছুই জানানো হয়নি। 

অন্যদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় ভারত বাংলাদেশের দিনাজপুর সীমান্ত ও ভোমরা ঘোজাডাঙা সীমান্তে এলাকায় অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন আরো ১১ জন বাংলাদেশি নাগরিক। 

পুলিশ ও বিএসএফের যৌথ অভিযানে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় এক বাংলাদেশি নাগরিককে। আটককৃতে ওই ব্যক্তির নাম পঞ্চানন পাল। তিনি বাংলাদেশের ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গা থানার বাসিন্দা। ভারতে তিনি পরিচয় বদল করে রূপায়ণ পাল নামে বসবাস করছিলেন বলে অভিযোগ। তার কাছ থেকে বাংলাদেশি পাসপোর্ট ছাড়াও ভারতের আধার কার্ড, ভোটার কার্ড ও এমনকি ভারতীয় পাসপোর্ট পর্যন্ত উদ্ধার হয়েছে। 

একইদিনে ভারত থেকে অবৈধ পথে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সময়ে ঘোজাডাঙ্গা ভোমরা সীমান্তের কাছে সরুপনগর এলাকার তারালি সীমান্ত থেকে বিএসএফের ১৪৩নম্বর ব্যাটালিয়নের হাতে আটক হয়েছেন আরো বাংলাদেশি নাগরিক। 

সীমান্তরক্ষী বাহিনী জানিয়েছে আটকের পর তাদের স্বরূপনগর থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। আটককৃতদের মধ্যে রয়েছে তিন শিশু, তিনজন পুরুষ ও চারজন নারী। এর সবাই বাংলাদেশের সাতক্ষীরা এবং খুলনার বাগেরহাটের বাসিন্দা।

সুচরিতা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জঙ্গি সন্দেহে কলকাতায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশি যুবক
  • চৌদ্দগ্রাম সীমান্ত দিয়ে ১৯ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাল বিএসএফ