বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেছেন, বিএনপিসহ অধিকাংশ রাজনৈতিক দল প্রধান উপদেষ্টার সামনেই আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন দাবি করেছে। কিন্তু প্রধান উপদেষ্টা আগামী এপ্রিলের প্রথমার্ধ্বে নির্বাচনের যে সময়সীমা উল্লেখ করেছেন, তা জনগণ ও রাজনৈতিক দলগুলোর প্রত্যাশার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। জনগণ তথা রাজনৈতিক দলের মতামতকে অবজ্ঞা ও উপেক্ষা করে এপ্রিলে নির্বাচনের সময় নির্ধারণ দূরভিসন্ধিমূলক ও স্বৈরাচারী মনোবৃত্তির পরিচয় বহন করে। কেন প্রধান উপদেষ্টা বা অন্তর্বর্তী সরকার এপ্রিলে নির্বাচন দিতে চায় তা উল্লেখ করেন নাই। তিনি বলেন, ঐকমত্যের ভিত্তিতে এক মাসের মধ্যে সংস্কার করে অবলীলায় ডিসেম্বরের আগেই নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব। রোববার দুপুরে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। 

তিনি বলেন, বিএনপিও যেনতেন নির্বাচন চায় না। বিএনপি অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সমর্থন যাচাই করতে চায়। জনগণের আস্থা ও রায় নিয়ে জনগণের সেবা করতে চায়। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, তিন মাসের মধ্যেই অতীতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার যেখানে গ্রহণযোগ্য নিরপেক্ষ নির্বাচন অয়োজন করেছে, সেখানে তিনটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় পার করেও ড.

ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার কেন নিরপেক্ষ নির্বাচন অয়োজন করতে পারছে না? 

এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, সরকারের ভেতর ও বাইরে কয়েকটি স্বার্থান্বেষী মহল ড. ইউনূসকে ব্যবহার করে নির্বাচন অনিশ্চিত করতে যড়যন্ত্র করছে। তিনিও তাদের প্ররোচণায় সম্প্রতি কয়েকটি বিতর্কিত পদক্ষেপ নিয়ে নিজেও বিতর্কিত হচ্ছেন, যা বিএনপিসহ রাজনৈতিক দল ও জনগণর কাছে বিস্ময়কর। বিএনপিসহ রাজনৈতিক দলগুলো তাঁর ওপর আস্থা রেখে তাঁর নেতৃত্বেই ইতিহাস সৃষ্টিকারী নিরপেক্ষ নির্বাচন চেয়েছে। কিন্তু তিনি বা তাঁর অন্তর্বর্তী সরকার কেন রাজনৈতিক দলকে অবজ্ঞা ও উপেক্ষা করছে তা জাতি জানতে চায়।

ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক এনায়েত উল্লাহ কালাম, হালুয়াঘাট উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর মোয়াজ্জেম হোসেন, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আসলাম মিয়া বাবুল, সদস্য সচিব আবু হাসনাত বদরুল কবীর, পৌর বিএনপির আহ্বায়ক হানিফ মোহাম্মদ শাকের উল্লাহ, সদস্য সচিব আবদুল আজিজ খান, বিআরডিবির সাবেক চেয়ারম্যন শাহ আফাজ উদ্দিন, ট্র্যাইবল ওয়েল ফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি বিপুল হাজং, হালুয়াঘাট শাখার চেয়ারম্যন সুব্রত রেমা, প্রমুখ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।  

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব এনপ র জন ত ক ব এনপ র সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

কিছু দল পিআর ছাড়া নির্বাচনে যাবে না বলে শপথ করেছে: ফখরুল

দেশের কিছু রাজনৈতিক দল পিআর ছাড়া নির্বাচনে যাবে না বলে শপথ করেছে এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, “দেশের কিছু রাজনৈতিক দল এটাকে (পিআর) প্রমোট করে। তারা শপথ করে বসে আছে, পিআর ছাড়া আমরা নির্বাচনে যাব না, কী বলব?”

মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) রাজধানীতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের অডিটোরিয়ামে স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি শফিউল বারী বাবুর ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণ সভায় এসব কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব।

আরো পড়ুন:

মানুষের প্রয়োজনে না এলে সেই সংস্কার কাজে আসবে না: ফখরুল

পদ্মা ব্যারেজ ও দ্বিতীয় পদ্মা সেতু বাস্তবায়নে রাজনৈতিক অঙ্গীকার জরুরি: ফখরুল

স্মরণ সভার আয়োজন করে শফিউল বারী বাবু স্মৃতি সংসদ। এতে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল।

মির্জা ফখরুল বলেন, “সমস্যা হলো আমাদের (রাজনৈতিক দলগুলোর) নতুন নতুন চিন্তা আসছে, যেগুলো আমাদের দেশে পরিচিত নয়। সংসদে আনুপাতিক হারে নির্বাচন, এটা দেশের মানুষ বোঝেই না। পিআর কী জিনিস? জনগণ এখনো ইভিএমে ভোট দিতে পারে না, বোঝে না। সুতরাং পিআর চিন্তাভাবনা থেকে দূরে সরে যেতে হবে।”

পার্লামেন্টে জনগণের প্রতিনিধিত্বের ব্যবস্থা না করলে সমস্যার সমাধান হবে না জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, “বাইরে থেকে এসে বসে বা কাউকে নতুন নতুন চিন্তা দিয়ে কিন্তু দেশের সমস্যার সমাধান করা যাবে না। আমরা পরিষ্কার করে বলতে চাই, অবিলম্বে সংস্কারগুলো শেষ করুন। অবিলম্বে জাতীয় সনদ ঘোষণা করুন।”

মির্জা ফখরুল বলেন, “গতকাল (সোমবার) বলেছিলাম, ‘বেদনায় নীল হয়ে যাচ্ছি।’ এটাই বাস্তবতা। কিন্তু এটা নিয়ে অনেক সমালোচনা হয়েছে। আমরা রাজনীতি করতে এসেছিলাম একটা পরিবর্তনের জন্য। ইলিয়াস আলী, চৌধুরী আলমসহ ১৭০০ নেতাকর্মী গুম হয়ে গেল, হাজার হাজার নেতাকর্মী প্রাণ দিল। জুলাই মাসে প্রায় দুই হাজার প্রাণ দিল তার মূল্যটা কী? দাম কী?”

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের ১২টি বিষয়ে সব দল ঐকমত্য পোষণ করা বিষয়টিকে পজিটিভ হিসেবে দেখেছেন বিএনপি মহাসচিব। এজন্য তিনি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

দেশে সংস্কার বিএনপির হাত ধরে শুরু মন্তব্য করে তিনি বলেন, “আমরা সংস্কারকে ভয় পাই না, এটাকে সাদরে গ্রহণ করি।”

প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশ্যে মির্জা ফখরুল বলেন, “আপনি (ড. মুহাম্মদ ইউনূস) আমাদের চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠকে বসে জাতীয় নির্বাচনের যে তারিখ নির্ধারণ করেছেন, সে সময়টাতে নির্বাচন দিন। মানুষকে তার অধিকার ফিরিয়ে দিন।”

স্মরণ সভায় বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান রিপন, বিএনপি চেয়াপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, সাবেক ছাত্রনেতা ফজলুল হক মিলন প্রমুখ।

ঢাকা/রায়হান/সাইফ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • খালেদা জিয়া নির্বাচন করবেন: মিন্টু
  • আশুলিয়ায় বিএনপির জনসভা ও এনসিপির পদযাত্রা আজ, নিরাপত্তা জোরদার
  • নারীদের নিয়ে বারে ‘অগ্রহণযোগ্য’ আচরণ, আমিরাতের ক্ষোভে রাষ্ট্রদূতকে ফেরত নিচ্ছে ইসরায়েল
  • জাতিসংঘে সম্মেলনের ফাঁকে বাংলাদেশ-পাকিস্তান বৈঠক, ফিলিস্তিন ইস্যুতে উদ্বেগ
  • কিছু দল পিআর ছাড়া নির্বাচনে যাবে না বলে শপথ করেছে: ফখরুল
  • ৩৫ বছর পর রাকসু তফসিল নিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মিশ্র প্রতিক্রিয়
  • মনোনয়ন নিয়ে চিন্তা করবেন না, জনগণের পাশে থাকুন : আজাদ 
  • সরকারের ঘনিষ্ঠরাই বলছে, এই সরকারের নির্বাচন দেওয়ার সক্ষমতা নেই: জি এম কাদের
  • সব দলের সঙ্গে আলোচনা না করে নির্বাচন দিলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না: এনসিপি
  • পদ্মা ব্যারেজ ও দ্বিতীয় পদ্মা সেতু বাস্তবায়নে রাজনৈতিক অঙ্গীকার জরুরি: ফখরুল