পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ৩ বাংলাদেশিকে ফেরত দিল বিএসএফ
Published: 10th, June 2025 GMT
সীমান্তে আটক তিন বাংলাদেশি নাগরিককে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ফেরত দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। সোমবার (৯ জুন) সকালে বাংলাদেশ ভারত সীমান্তের ঠাকুরগাঁয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার বৈরচুনা সীমান্তে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) ও বিএসএফের পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তাদের ফেরত দেওয়া হয়। দুপুরে বিজিবি তাদের পীরগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করেছে।
ফেরত দেওয়া তিনজন হলেন- দিনাজপুরের বিরল উপজেলার চাপাই গ্রামের সজীব চন্দ্রের ছেলে স্বদেশ চন্দ্র(২৫), একই গ্রামের প্রয়াত কান্দুরার ছেলে দিলীপ চন্দ্র রায় (৩৫) এবং খট শিবপুর গ্রামের বাবুল চন্দ্রের ছেলে দুর্জয় চন্দ্র চন্দ্র(২০)।
বিজিবির বৈরচুনা ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, আটককৃতরা বেশ কিছুদিন ধরে ভারতে অবস্থান করছিল। সোমবার ভোরে তারা অবৈধভাবে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করলে ভারতের বামর ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যেরা তাদের আটক করে। পরে এ নিয়ে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বৈরচুনা সীমান্তের ৩৪২ নম্বর পিলার এলাকায় বিজিবি এবং বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিএসএফ ওই তিন বাংলাদেশিকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে।
পীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম জানান, অবৈধভাবে সীমান্ত পারাপারের অপরাধে ওই তিন ব্যক্তির বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছে বিজিবি।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
১২ হাজার তরুণ–তরণীকে বিনা মূল্যে প্রশিক্ষণ দেবে পিকেএসএফ
পেশাগত দক্ষতা বাড়াতে দেশের ১২ হাজার তরুণ-তরুণীকে বিনা মূল্যে প্রশিক্ষণ দেবে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)। কারিগরি ও পেশাগত শিক্ষানির্ভর তিন বছর মেয়াদি এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হবে স্কিলস ফর ইন্ডাস্ট্রিজ কম্পিটিটিভনেস অ্যান্ড ইনোভেশন প্রোগ্রামের (এসআইসিআইপি) আওতায়। এ প্রকল্পে সহায়তা করছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)।
আজ সোমবার রাজধানীর পিকেএসএফ ভবনে এসআইসিআইপি ও পিকেএসএফের প্রকল্পের উদ্বোধন ও প্রশিক্ষণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানানো হয়।
প্রকল্পের আওতায় প্রশিক্ষণার্থী তরুণেরা ১২টি খাতের প্রশিক্ষণ পাবেন। প্রশিক্ষণ চলাকালে থাকা-খাওয়ার সব খরচ প্রকল্প থেকে বহন করা হবে। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৩০ শতাংশ আসন নারীদের জন্য সংরক্ষিত। বাকি ৭০ শতাংশের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন নিম্ন আয়ের ও প্রান্তিক অঞ্চলের তরুণেরা। প্রশিক্ষণ শেষ হওয়ার পর অংশগ্রহণকারীদের আত্মকর্মসংস্থান বা মজুরিভিত্তিক চাকরির ক্ষেত্রেও সহায়তা করা হবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থসচিব খায়েরুজ্জামান মজুমদার বলেন, দেশে দক্ষ জনশক্তির চাহিদা রয়েছে, বিশেষ করে বিদেশে। এই প্রকল্পের সফল বাস্তবায়নের মাধ্যমে পিকেএসএফ ও এর সহযোগী সংস্থাগুলো সেই চাহিদা পূরণে ভূমিকা রাখতে পারবে।
পিকেএসএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফজলুল কাদের বলেন, ‘প্রতিবছর ২০ লাখের বেশি তরুণ শ্রমবাজারে প্রবেশ করছেন। এটি একই সঙ্গে আমাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা। প্রকল্পের আওতায় জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের স্বীকৃত কোর্স অনুযায়ী প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে, যাতে প্রশিক্ষণ শেষে তাঁরা সহজেই কর্মসংস্থানে যুক্ত হতে পারেন।’
অনুষ্ঠানে পিকেএসএফের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. জসীম উদ্দিন বলেন, বর্তমানে ১২ হাজার ছাড়াও আরও ৮ হাজার ৫০০ তরুণকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার প্রস্তাব সরকারের কাছে দেওয়া হয়েছে। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও তৃতীয় লিঙ্গের তরুণদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। পাশাপাশি ২ হাজার এতিম ও দুস্থ তরুণকেও প্রশিক্ষণের আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে।
এ সময় অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ ওয়ালিদ হোসেন ও পিকেএসএফের চেয়ারম্যান জাকির আহমেদ খান বক্তব্য দেন।