দিনাজপুর ও ঠাকুরগাঁও সীমান্ত দিয়ে ২০ জনকে ঠেলে দিল বিএসএফ
Published: 10th, June 2025 GMT
ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার চান্দুরিয়া ও দিনাজপুরের বিরল উপজেলার এনায়েতপুর সীমান্ত এলাকায় নারী ও শিশুসহ ২০ জনকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) তাঁদের সীমান্তে একত্র করে বাংলাদেশে ঠেলে দিয়েছে বলে জানিয়েছে বিজিবি। গতকাল সোমবার রাতে তাঁদের আটক করা হয়।
বিজিবি ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রাতে পীরগঞ্জ উপজেলার চান্দুরিয়া সীমান্ত এলাকায় ভারত থেকে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশের দায়ে সাতজনকে আটক করা হয়। আটক ব্যক্তিদের মধ্যে দুজন পুরুষ, দুজন নারী ও তিনটি শিশু আছে। আটকের পরে তাঁদের বিজিবির চান্দুরিয়া ক্যাম্পে নেওয়া হয়। সেখানে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
পীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম বলেন, ‘অবৈধভাবে অনুপ্রবেশের দায়ে সীমান্তে সাতজন বাংলাদেশি আটকের খবর পেয়েছি। তবে বিজিবি তাদের এখনো হস্তান্তর করেনি।’
এদিকে দিনাজপুরের বিরল উপজেলার এনায়েতপুর সীমান্তে ১৩ জনকে ঠেলে দেয় বিএসএফ। পরে বিজিবি তাঁদের আটক করে। আটক ব্যক্তিদের মধ্যে দুজন পুরুষ, দুজন নারী ও নয়টি শিশু আছে।
বিজিবি দিনাজপুর ৪২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মঈন হাসান বলেন, দিনাজপুরের বিরল উপজেলার এনায়েতপুর ও ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার চান্দুরিয়া সীমান্ত এলাকা দিয়ে ২০ জনকে ভারত থেকে ঠেলে দেওয়া (পুশ ইন) হয়েছে। আটক ব্যক্তিদের নাম-পরিচয় যাচাই–বাছাই চলছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা বিভিন্ন সময় কাজের সন্ধানে অবৈধ পথে ভারতে অবস্থান করছিলেন বলে জানিয়েছেন। বিস্তারিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হবে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
জঙ্গি সন্দেহে কলকাতায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশি যুবক
জঙ্গি সন্দেহে কলকাতা পুলিশের বিশেষ টাস্ক ফোর্সের (এসটিএফ) হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে এক বাংলাদেশি নাগরিক। মুফতি আবদুল্লাহ আল মাসুদ নামে ওই বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয় পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার গয়েশপুর পুলিশ ফাঁড়ি এলাকা থেকে। এরপর তাকে ফাঁড়িতে নিয়ে এসে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ চলে। বৃহস্পতিবার এই ঘটনাটি ঘটেছে।
ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও ভারত থেকে নিজের দেশে ফিরে যাননি মাসুদ। তিনি অবৈধভাবে পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার কাটাগঞ্জ এলাকায় বসবাস করতেন। সম্প্রতি তার বেশ কিছু কর্মকান্ডে সন্দেহ প্রকাশ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এর পরই মাসুদকে ইসলামী উগ্রপন্থী বলে দাবি করে পুলিশে অভিযোগ করা হয়। যেহেতু তার ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, তাই পুলিশ তাকে একজন অবৈধ অভিবাসী হিসেবে বিবেচনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভারতীয় আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় তার বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করা হয়েছে।
বিষয়টি সামনে আসার পরই যথেষ্ট উত্তেজনা ছড়িয়েছে। যদিও এ ব্যাপারে কলকাতা পুলিশের পক্ষে কিছুই জানানো হয়নি।
অন্যদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় ভারত বাংলাদেশের দিনাজপুর সীমান্ত ও ভোমরা ঘোজাডাঙা সীমান্তে এলাকায় অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন আরো ১১ জন বাংলাদেশি নাগরিক।
পুলিশ ও বিএসএফের যৌথ অভিযানে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় এক বাংলাদেশি নাগরিককে। আটককৃতে ওই ব্যক্তির নাম পঞ্চানন পাল। তিনি বাংলাদেশের ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গা থানার বাসিন্দা। ভারতে তিনি পরিচয় বদল করে রূপায়ণ পাল নামে বসবাস করছিলেন বলে অভিযোগ। তার কাছ থেকে বাংলাদেশি পাসপোর্ট ছাড়াও ভারতের আধার কার্ড, ভোটার কার্ড ও এমনকি ভারতীয় পাসপোর্ট পর্যন্ত উদ্ধার হয়েছে।
একইদিনে ভারত থেকে অবৈধ পথে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সময়ে ঘোজাডাঙ্গা ভোমরা সীমান্তের কাছে সরুপনগর এলাকার তারালি সীমান্ত থেকে বিএসএফের ১৪৩নম্বর ব্যাটালিয়নের হাতে আটক হয়েছেন আরো বাংলাদেশি নাগরিক।
সীমান্তরক্ষী বাহিনী জানিয়েছে আটকের পর তাদের স্বরূপনগর থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। আটককৃতদের মধ্যে রয়েছে তিন শিশু, তিনজন পুরুষ ও চারজন নারী। এর সবাই বাংলাদেশের সাতক্ষীরা এবং খুলনার বাগেরহাটের বাসিন্দা।
সুচরিতা/শাহেদ