ক্রিকেটার হিসেবে সৈয়দ আশরাফুল হকের যতটা না সুনাম, তার চেয়েও বেশি ক্রিকেট সংগঠক হিসেবে। তিনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। বাংলাদেশকে টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার ক্ষেত্রে তিনি অগ্রণী ভূমিকা রেখেছিলেন।

এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলে (এসিসি) যুগ্ম সম্পাদক হিসেবে যোগ দেওয়ার পর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্বও সামলেছেন তিনি। লম্বা সময় পর তিনি আবার বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে ফিরতে আগ্রহ দেখিয়েছেন। আগামী বিসিবি নির্বাচনে অংশ নিতে চান এই হাইপ্রোফাইল ক্রিকেট ব্যক্তিত্ব। মুঠোফোনে রাইজিংবিডি ডটকমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সৈয়দ আশরাফুল হক।

ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি হিসেবেই দায়িত্ব নেওয়ার ইচ্ছে তার। যদিও নিজের ইচ্ছে পূরণে এখনো মাঠে নামা হয়নি তার। বিসিবিতে যোগ দিতে হলে প্রথমে তাকে কাউন্সিলর হতে হবে। এরপর পরিচালক হিসেবে নির্বাচন করতে হবে। নির্বাচিত হলে পরিচালকদের ভোটে তাকে সভাপতি নির্বাচিত হতে হবে। এই লম্বা প্রক্রিয়ার প্রথম চ্যালেঞ্জ হলো কাউন্সিলর হওয়া। ঢাকার ক্লাবগুলো থেকে কাউন্সিলরশিপ নেওয়ার ইচ্ছা সৈয়দ আশরাফুলের। সেই আলোচনা কিছুদিনের মধ্যেই শুরু করবেন তিনি।

আরো পড়ুন:

তামিমের হুঁশিয়ারি, ‘কখনো আপনাদের সঙ্গে হাত মেলাব না’

তামিম ও জালাল ইউনুসের বিরুদ্ধে হাথুরুসিংহেকে ক্ষমতাচ্যুত করার চেষ্টার অভিযোগ সাকিবের

‘‘নীতিগতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে আবার যুক্ত হবো। এই সময়ে বিসিবিতে যুক্ত হতে হলে আমাকে শীর্ষ আসনেই বসতে হবে। পরিচালক হয়ে এরপর সভাপতি হিসেবে কাজ করার ইচ্ছা আছে। দেশের সব স্তরে সংস্কার হচ্ছে। নতুন করে শুরু হচ্ছে। আমিও চাই ক্রিকেটটা নতুন করেই শুরু হোক। এজন্য সেই গোড়া থেকেই কাজ করতে হবে, যেটা আমরা করেছিলাম অনেক অনেক বছর আগে। সেই অভিজ্ঞতাই আমাদের এখন কাজে আসবে।’’

‘‘ক্লাবগুলো থেকে কাউন্সিলরশিপ নেওয়ার ইচ্ছা আছে। চেষ্টা করলে কাউন্সিলরশিপ পেয়ে যেতেও পারি। এরপর নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে হবে। আমার অভিজ্ঞতা, আমার কাজের পরিধি, আমার যোগাযোগ ক্ষেত্র—সব কিছু ক্রিকেট কেন্দ্রিক, যেটা আইসিসি বা এসিসি পর্যন্ত বিস্তৃত। এজন্যই বলছি বড় পরিসরে কাজ করার সুযোগ আছে। সেজন্যই সেই জায়গাটাতে আগে যেতে হবে।’’

বিসিবি নির্বাচনের বাকি তিন মাস। এক মাস পর থেকেই পরিষ্কার হয়ে যাবে কারা নির্বাচন করবেন, আর কারা করবেন না। দেশের ক্রিকেটে পুনরায় কাজ করতে আগ্রহ দেখানো সৈয়দ আশরাফুলকে নিজের ভবিষ্যৎ কিছুদিনের মধ্যেই ঠিক করতে হবে।

ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স য দ আশর ফ ল ক উন স ল ক জ কর

এছাড়াও পড়ুন:

আত্মঘাতী গোলে প্রমোশনের সুযোগ, এরপর যা ঘটল

সহজ ভাষায় ফুটবল বলতে বোঝায় প্রতিপক্ষের জালে গোল দেওয়া আর নিজেরা গোল না খাওয়া। তবে কখনো কখনো খেলোয়াড়েরা ভুলে নিজেদের জালেই বল পাঠিয়ে দেন, ফুটবলে যা আত্মঘাতী গোল হিসেবে পরিচিত। আত্মঘাতী গোল একটি দলকে ম্যাচ হারিয়ে দিতে তো পারেই, ফাইনালে এমন কিছু ঘটলে ট্রফিও হাতছাড়া হয়ে যাওয়ার শঙ্কা থাকে।

তবে আত্মঘাতী গোল সব সময় খারাপ নয়, কখনো কখনো উপকারীও হতে পারে—আর এমন অদ্ভুতুড়ে এক পরিস্থিতির মুখে পড়েছিল জার্মান ক্লাব তুর্কস্পোর ন্যুর্নবার্গ। একটি আত্মঘাতী গোল করলেই দলটি লিগে প্রমোটেড হতো। কিন্তু দলটি সেটি করেনি। এরপর যা হয়েছে, তা দলটির জন্য বেদনাদায়ক।

এটি ছিল জার্মানি মিডল ফ্রাঙ্কোনিয়ার ডিস্ট্রিক ফুটবল লিগের ম্যাচ। ওপরের ধাপের লিগে জায়গা করতে দুটি টিকিটের লড়াইয়ে ছিল তিনটি ক্লাব তুর্কস্পোর ন্যুর্নবার্গ, এসভি টেনেনলো এবং গোগেলসবাখ। এর মধ্যে টেনেনলো প্রথম দুই ম্যাচ জিতে পরের ধাপে জায়গা করে নেয়। বাকি জায়গাটির লড়াইয়ে ছিল ন্যুর্নবার্গ ও গোগেলসবাখ। ১৩ জুনের ম্যাচে লিগ প্রমোশনের জন্য গোগেলসবাখকে ২ গোল ব্যবধানে জিততে হতো। বিপরীতে এর কম ব্যবধানে হারলেই প্রমোশন নিশ্চিত ছিল ন্যুর্নবার্গের।

তুর্কস্পোর ন্যুর্নবার্গের লোগো।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নিজেকে ‘মুসলিম’ বলে ঘোষণা করেছেন আরিয়ান খান
  • বুমরা ‘কোহিনুর হীরার মতোই মূল্যবান’
  • সংকেত না মানায় চলন্ত মোটরসাইকেলে পুলিশের ধাক্কা, এরপর যা ঘটল
  • চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের পদযাত্রায় পুলিশের বাধা, জাদুঘরের সামনে বিক্ষোভ
  • ফোরদো পারমাণবিক স্থাপনায় আবারও ইসরায়েলি হামলা
  • ভূতের ভয়ে বাড়ি ছেড়েছিলেন সোনাক্ষী!
  • বুমরাহর ৫ উইকেটেই ৬ রানের লিড ভারতের
  • ১০ জনের রিয়ালের দারুণ জয়
  • ২১ দফা দাবিতে কমপ্লিট শাটডাউন, শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ
  • আত্মঘাতী গোলে প্রমোশনের সুযোগ, এরপর যা ঘটল