মানিকগঞ্জে ঢাবি শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার
Published: 10th, June 2025 GMT
মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থী শাকিল আহমেদের (২৪) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে উপজেলার দক্ষিণ জামশা গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তার মরদেহ করে পুলিশ।
নিহত শাকিল ঢাবির চারুকলা অনুষদের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি দক্ষিণ জামশা গ্রামের নাসিরুদ্দিন আহমেদের ছেলে।
সিঙ্গাইর পুলিশ জানায়, প্রায় সাত থেকে আট মাস আগে নিজের ফেসবুক আইডি থেকে অন্যের পোস্টে ধর্ম নিয়ে কটূক্তিকর মন্তব্য করেন। পরে নিজের ভুল বুঝতে পেরে তিনি কমেন্ট মুছে ফেলেন। এরপর গত সোমবার ওই কমেন্টের স্ক্রিনশট ফেসবুকে নতুন করে ভাইরাল হয়। এ নিয়ে ফেসবুকে শাকিলকে অনেকে হুমকি দেন। সোমবার রাতে নিজ এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকার মানুষজন বাড়িতে গিয়ে শাকিলকে ও তার পরিবারকে হুমকি দেন। এরপর মঙ্গলবার সকালে বাড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ বিষয়ে সিঙ্গাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌফিক আজম বলেন, মঙ্গলবার সকালে বাড়ি থেকে ওই শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
শিক্ষাবিদ যতীন সরকার পড়ে গিয়ে আহত, হাসপাতালে ভর্তি
বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও প্রাবন্ধিক অধ্যাপক যতীন সরকার (৯০) পড়ে গিয়ে আহত হয়েছেন। ঊরুর হাড়ে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে তিনি গত শনিবার রাত থেকে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। শারীরিক অবস্থা কিছু ঠিক থাকলে আগামী বৃহস্পতিবার তাঁর অস্ত্রোপচার হতে পারে বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।
যতীন সরকার বেশ কয়েক মাস ধরেই বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। এ ছাড়া তিনি দীর্ঘদিন ধরে পলি আর্থ্রাইটিসে ভুগছিলেন। কয়েক মাস আগে বেশ কিছু কারণে তাঁর শরীরে অস্ত্রোপচার করা হয়। এরপর কিছুটা সুস্থ হলে নেত্রকোনায় নিজ বাড়িতে বসবাস করছিলেন।
যতীন সরকারের স্ত্রী কানন সরকার প্রথম আলোকে জানান, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে শোবার কক্ষে সামনে বারান্দা থেকে পত্রিকা আনতে গিয়ে তিনি পড়ে যান। এরপর রাইট ফিমার নেক ফ্যাকচার হয়। এরপর গত শনিবার তাঁকে রাজধানীর একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, তাঁর শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণে রয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী বৃহস্পতিবার তাঁর শরীরে জটিল অস্ত্রোপচার হতে পারে।
কানন সরকার বলেন, তাঁর স্বামী মানুষের সান্নিধ্য পছন্দ করেন। শারীরিক অবস্থা উন্নতি না হওয়া সত্ত্বেও এখন তিনি নিজ বাসায় চলে যেতে চাইছেন।
যতীন সরকার ১৯৩৬ সালের ১৮ আগস্ট নেত্রকোনার কেন্দুয়ার চন্দপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ময়মনসিংহের নাসিরাবাদ কলেজের বাংলা বিভাগের সাবেক এই শিক্ষক সুদীর্ঘকাল ধরে মননশীল সাহিত্যচর্চা, বাম রাজনীতি এবং প্রগতিশীল আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন। তিনি দুই মেয়াদে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
লেখক হিসেবে যতীন সরকার ২০১০ সালে স্বাধীনতা পুরস্কার, ২০০৭ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পদক, ২০০৫ সালে ‘পাকিস্তানের জন্ম-মৃত্যু দর্শন’ গ্রন্থের জন্য প্রথম আলো বর্ষসেরা গ্রন্থপুরস্কার, ড. এনামুল হক স্বর্ণপদক, খালেকদাদ চৌধুরী সাহিত্য পুরস্কার, মনিরুদ্দীন ইউসুফ সাহিত্য পুরস্কারসহ অসংখ্য সম্মাননা লাভ করেন।
৪২ বছরের বেশি সময় শিক্ষকতা পেশায় থেকে ২০০২ সালে অবসর গ্রহণের পর যতীন সরকার স্ত্রী কানন সরকারকে নিয়ে শিকড়ের টানে চলে আসেন নিজ জেলা নেত্রকোনায়। বর্তমানে বসবাস করছেন শহরের সাতপাই এলাকার নিজ বাড়িতে।