Samakal:
2025-06-17@17:42:30 GMT

যমুনায় বিলীন বিদ্যালয়

Published: 10th, June 2025 GMT

যমুনায় বিলীন বিদ্যালয়

মানিকগঞ্জের দৌলতপুরে একটি বিদ্যালয় যমুনায় বিলীন হয়ে গেছে। স্থানীয় লোকজন এ ঘটনার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ স্থানীয় প্রশাসনের গাফিলতিকে দায়ী করছেন। 
গত শনিবার ঈদের দিন দুপুরে উপজেলার বাঁচামারা ইউনিয়নের ভাড়াঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তিনতলা ভবনসহ একটি ওয়াশব্লক যমুনায় বিলীন হয়ে যায়। ২০২২ সাল থেকে বিদ্যালয় ভবনটি নদীভাঙনের মুখে পড়লেও ভাঙন রোধে স্থায়ী কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এতে আর্থিক ক্ষতি হয়েছে ১ কোটি ৮ লাখ টাকার। 
বাঁচামারা ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য ওয়াজেদ আলী জানান, গত কয়েক বছর ধরেই বিদ্যালয়টি যমুনার ভাঙনের কবলে পড়ে। কিন্তু পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) নামমাত্র বালুর বস্তা ফেলেছে। ভাঙন রোধে স্থায়ী ব্যবস্থা না নেওয়ায় বিদ্যালয়টি রক্ষা করা সম্ভব হয়নি। ভাঙনের ঝুঁকির মধ্যেই স্থানীয়দের বাধার মুখে ৮ লাখ টাকা ব্যয়ে বিদ্যালয়ে একটি ওয়াশব্লক নির্মাণ করা হয়। পাউবো ও স্থানীয় প্রশাসন সঠিক সময়ে ব্যবস্থা না নেওয়ায় বিদ্যালয়টি রক্ষা করা যায়নি। 
বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক কামাল পাশা জানান, তিন বছর ধরে বিদ্যালয় ভবনটি ভাঙনের ঝুঁকিতে ছিল। শুক্রবার বিদ্যালয়ের একটি অংশ নদীতে ধসে পড়ে যায়। ঈদের দিন দুপুরে পুরো ভবনটি নদীতে চলে যায়। বিদ্যালয়টি নদীতে বিলীন হওয়ার আগেই বেঞ্চ, টেবিল ও আসবাবপত্র রক্ষা করা গেছে। ভাঙনের ঝুঁকির মধ্যে থাকার কারণে বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির ২ জন শিক্ষার্থী ছাড়া অন্য কোনো শিক্ষার্থী নেই। বিদ্যালয়ে মাত্র ৩ জন সহকারী শিক্ষক রয়েছেন।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিআরডি) দৌলতপুর উপজেলা প্রকৌশলী খন্দকার এনামুল সালেহীনের ভাষ্য, বিদ্যালয়টি যখন নির্মাণ করা হয়েছিল তখন যমুনা নদী অনেক দূরে ছিল। কিন্তু বিদ্যালয় নির্মাণ শেষ হওয়ার কয়েক বছরের মধ্যে নদীর গতিপথ পরিবর্তিত হয়ে বিদ্যালয়ের কাছে চলে আসে। পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে প্রতিবছর ভাঙন রোধে বালুর বস্তা ফেলা হয়। এবার দ্রুত ভাঙনের কারণে বিদ্যালয় ভবনটির নিলাম ডাকার আগেই নদীতে বিলীন হয়ে যায়।
নদীতে বিলীন হওয়ার আগে বিদ্যালয়টি নিলামে বিক্রি করা হলে সরকারি কোষাগারে কিছু টাকা জমা হতো। কেন বিলীনের আগেই বিদ্যালয়টির নিলাম করা হলো না– এমন প্রশ্নের জবাবে দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিয়ান নুরেন বলেন, দুই-তিন মাস আগে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে বিদ্যালয়টি রক্ষার জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছিল। পানি উন্নয়ন বোর্ড ভাঙন রোধে প্রক্রিয়া শুরু করেছিল। কিন্তু দ্রুত ভাঙনের  িকারণে নিলাম হওয়ার আগেই বিদ্যালয়টি নদীতে ভেসে যায়। 
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ আক্তারুজ্জামান বলেন, ১৯৯৬ সালে যমুনা নদীর পাড়ে চর জেগে ওঠে। চরের দুই পাড়েই যমুনা নদী। ১৯৯৮ সালের দিকে ওই চরে জনবসতি গড়ে ওঠে। এ ধরনের চরে কোনো স্থাপনা করতে হলে কারিগরি সমীক্ষার মাধ্যমে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অন্তর্ভুক্ত করে মতামত নেওয়া উচিত। কিন্তু এ ক্ষেত্রে তা করা হয়নি। ২০২২ সাল থেকে বিদ্যালয়টি রক্ষায় প্রতিবছর বালুর বস্তা ডাম্পিং করা হয়। বিদ্যালয়ের পাশে নদীতে পর্যাপ্ত বালুর বস্তা ছিল। কিন্তু এবার ভাঙন শুরু হয় অন্য দিক দিয়ে। এতে বিদ্যালয়ের পাশ দিয়ে সুড়ঙ্গ হয়ে মাঝখানে বালু সরে গিয়ে এক দিনের মধ্যেই বিদ্যালয়টি নদীতে বিলীন হয়ে যায়।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ই ব দ য লয়ট ব ল র বস ত ব ল ন হয় র আগ ই হওয় র

এছাড়াও পড়ুন:

ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের ভিন্নমত

ইসরায়েল গত সপ্তাহে ইরানে নজিরবিহীন হামলা শুরুর সময় দাবি করেছিল, তেহরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির দ্বারপ্রান্তে। যেকোনো সময় এ অস্ত্র তৈরি করে ফেলবে তারা। ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি ঠেকাতেই দেশটিতে হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল।

তবে ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা তথ্য বলছে ভিন্ন কথা। মার্কিন গোয়েন্দা পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির মতো অবস্থায় নেই। শুধু তাই নয়, পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে তেহরানের অন্তত তিন বছর লাগবে। যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে এসব তথ্য দিয়েছেন মার্কিন গোয়েন্দা পর্যবেক্ষণ সম্পর্কে ওয়াকিবহাল ট্রাম্প প্রশাসনের চারজন কর্মকর্তা।

ট্রাম্প প্রশাসনের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা অবশ্য এ বিষয়ে বলেন, ইরান বর্তমানে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করার ঠিক আগের ধাপে রয়েছে। যদি তারা একটি (পারমাণবিক অস্ত্র) তৈরি করতে চায়, তাহলে এর জন্য যা যা প্রয়োজন তার সবকিছুই তাদের কাছে রয়েছে।

সেই চার কর্মকর্তার একজনের মতে, ইরানে টানা পাঁচ দিন ধরে ইসরায়েলের বিমান হামলার পর মার্কিন গোয়েন্দারা এখন ধারণা করছেন, ইসরায়েল সম্ভবত ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির সক্ষমতাকে মাত্র কয়েক মাসের জন্য পিছিয়ে দিতে পেরেছে।

অপর এক মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির জন্য ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করতে হয়। এ জন্য দরকার পড়ে সেন্ট্রিফিউজের। ইরানের নাতাঞ্জ পারমাণবিক স্থাপনায় সেই সেন্ট্রিফিউজ আছে। ইসরায়েলের হামলায় নাতাঞ্জের উল্লেখযোগ্য ক্ষতি হয়েছে। কিন্তু দেশটির সুরক্ষিত আরেকটি পারমাণবিক স্থাপনা ফরদো এখনো অক্ষত।

প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকেরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র প্রয়োজনীয় অস্ত্র না দিলে ও আকাশপথে হামলা চালাতে সহায়তা না করলে ফরদোর ক্ষতি করার মতো সক্ষমতা ইসরায়েলের নেই।

ইরানের ফরদো পারমাণবিক কেন্দ্র

সম্পর্কিত নিবন্ধ