আ.লীগকে সমর্থন দেওয়া ব্যক্তি ও দলের বিচার করতে হবে: আখতার হোসেন
Published: 11th, June 2025 GMT
আওয়ামী লীগকে সমর্থন দেওয়া ব্যক্তি ও দলের বিচার চেয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন। তিনি বলেন, বিগত সময়ে যারা রাজনৈতিকভাবে সমর্থনসহ আওয়ামী লীগের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে বিভিন্নভাবে যুক্ত ছিলেন, সেই দল এবং ব্যক্তিকে আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।
বুধবার দুপুরে রংপুরের পীরগাছায় এনসিপি উপজেলা কার্যালয় উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
আখতার হোসেন বলেন, জাতীয় পার্টি বিগত সময়ে আওয়ামী লীগের দালাল হিসেবে ভূমিকা পালন করেছে। আওয়ামী লীগ মানুষের ভোটাধিকার হরণ করে যে ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছিল, যে স্বৈরতন্ত্র কায়েম করেছিল, তার প্রধানতম রাজনৈতিক সহযোগী ছিল জাতীয় পার্টি। বাংলাদেশে ভোট ডাকাতির নির্বাচন ও একপাক্ষিক নির্বাচনগুলোতে বৈধতা দেওয়ার নাটক করেছিল জাতীয় পার্টি। জনগণের ভোটাধিকারের সঙ্গে যারা প্রতারণা করেছে, বাংলাদেশের মানুষের ওপর জুলুম নিপীড়নের রাস্তাকে যারা উন্মুক্ত করে রেখেছে, তাদের বাংলাদেশের রাজনীতিতে আমরা আর প্রাসঙ্গিক মনে করি না।
এনসিপির সদস্য সচিব বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে জাতীয় পার্টির যে আবেদন, সেটা শেষ হয়ে গেছে। একই সঙ্গে জনগণের সঙ্গে তারা যে প্রতারণা করেছে, সে জন্য তারা এখনো জাতির কাছে ক্ষমা চায়নি।
ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে আখতার হোসেন বলেন, আমরা বাংলাদেশের মানুষের কাছে আহ্বান রাখবো আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টিসহ ফ্যাসিবাদের যত দোসর আছে, তাদের সবার ব্যাপারে বাংলাদেশের মানুষ যেন সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলে। বাংলাদেশে যেন আর কখনোই আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টির মতো স্বৈরাচারপন্থী কোনো দল রাজনীতি করার সুযোগ না পায়। এজন্য বাংলাদেশের জনগণকে ঐক্যবদ্ধভাবে ফ্যাসিবাদ বিরোধী শক্তিকে দৃঢ় করার আহ্বান জানান তিনি।
এর আগে পীরগাছা উপজেলা পরিষদের সামনে জাতীয় নাগরিক পার্টির উপজেলা কার্যালয় উদ্বোধন করেন আখতার হোসেন। এনসিপি নেতা শামীম হোসেনের সঞ্চালনায় এতে ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান, মেম্বার, শিক্ষকসহ বিভিন্ন পেশাজীবী বক্তব্য দেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আওয় ম ল গ এনস প আখত র হ স ন র জন ত আওয় ম এনস প
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যু সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব: সালাহউদ্দ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, ‘‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যুর সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব।’’
তিনি মনে করেন, আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান এলে যেকোনো অসাংবিধানিক প্রক্রিয়া ঠেকানো যাবে।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘‘আগামী নির্বাচনকে যদি অনিশ্চিত করা হয় বা বিলম্বিত করা হয়, তাহলে তার সুযোগ নেবে ফ্যাসিবাদী বা অসাংবিধানিক শক্তি। এর পরিণতি জাতি অতীতে বহুবার ভোগ করেছে। আমরা আবার সে পরিস্থিতি চাই না।’’
অন্তর্বর্তী সরকারের বৈধতা নিয়ে পৃথক এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের মতামতের ভিত্তিতেই সাংবিধানিকভাবে এই সরকার গঠিত হয়েছে। রাষ্ট্রপতির রেফারেন্সে দেওয়া সেই মতামত এখনো বহাল আছে। এর বিপরীতে সুপ্রিম কোর্ট কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি। তাই এ বিষয়ে প্রশ্ন তোলা আসলে রাজনৈতিক বক্তব্য, এর কোনো আইনি ভিত্তি নেই।’’
সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, ‘‘যেকোনো সাংবিধানিক আদেশ জারি হলে তা আগামীকাল বা পরশু চ্যালেঞ্জ হতে পারে। আমরা এমন খারাপ নজির জাতির সামনে আনতে চাই না। তাই সমাধানের বিকল্প প্রস্তাব উত্থাপন করেছি। সবাইকে বিবেচনায় নিতে আহ্বান জানাচ্ছি।’’
পিআর পদ্ধতি প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘‘রাজনৈতিক দলের আন্দোলনের অধিকার আছে। তবে পিআর পদ্ধতি চাপিয়ে দেওয়ার বিষয় নয়, শেষ পর্যন্ত জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে।’’
তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘‘পিআর পদ্ধতিতে ঝুলন্ত পার্লামেন্টের ঝুঁকি থেকে যায়। তাতে রাষ্ট্র ও জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ সম্ভব হয় না। আমরা অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে যেতে পারি না।’’
সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, ‘‘জনগণই হলো সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ। এই দেশের জনগণ মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে এবং বারবার গণতন্ত্রকে সংকট থেকে উদ্ধার করেছে।’’
আগামী সংসদে কিছু মৌলিক বিষয়ে সংশোধনের পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করেন তিনি বলেন, ‘‘আমরা কিছু বিষয়ে ইতোমধ্যে একমত হয়েছি। তবে, ঐকমত্য কমিশনের সনদের ভেতরে যেসব পরিবর্তন হবে, সেগুলোতে অবশ্যই গণভোট নিতে হবে।’’
ঢাকা/আসাদ/রাজীব