বায়ার লেভারকুসেন থেকে ফ্লোরিয়ান উইর্টজকে কেনার বিষয়ে সমঝোতায় পৌঁছেছে লিভারপুল। তিন রেকর্ড ভেঙে দ্রুতই অল রেডস শিবিরে যোগ দিতে যাচ্ছেন বর্তমান সময়ের অন্যতম সেরা তরুণ জার্মান মিডফিল্ডার। 

ফুটবল দলবদল বিশেষজ্ঞ সাংবাদিক ফ্যাবরিজিও রোমানো জানিয়েছেন, উইর্টজকে কিনতে ১৫০ মিলিয়ন ইউরো খরচ হচ্ছে লিভারপুলের। 

তাকে কেনার জন্য ১৩০ মিলিয়ন ইউরো থেকে দেন-দরবার শুরু করে সম্প্রতি শেষ হওয়া মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগ জেতা লিভারপুল। তবে প্রত্যাশিত ১৫০ মিলিয়ন ইউরোর নিচে রাজি হয়নি লেভারকুসেন। 

এতেই তিন রেকর্ড ভেঙেছেন জাবি আলোনসোর শিষ্য উইর্টজ। তিনি জার্মান বুন্দেসলিগা থেকে দলবদল করা সবচেয়ে দামী ফুটবলার। এর আগে উসমান ডেম্বেলে ছিলেন সবচেয়ে দামে বিক্রি হওয়া জার্মান লিগের ফুটবলার। তাকে ১৩৫ মিলিয়ন ইউরো দিয়ে কিনেছিল বার্সেলোনা। এরপর আছে ডর্টমুন্ড থেকে রিয়ালে যাওয়া বেলিংহামের নাম।

উইর্টজ লিভারপুলের ইতিহাসের সবচেয়ে দামী ফুটবলার। রেডসরা সাধারণত বাজার থেকে বেছে বেছে সেরা কিন্তু দামে কম ফুটবলার কেনার চেষ্টা করে। কিন্তু এবার আর্নে স্লটের পছন্দের উইর্টজের জন্য খরচ করছে মোটা অর্থ। এর আগে লিভারপুলের সবচেয়ে দামী ছিলেন ডারউইন নুনিয়েজ। তাকে ৮৫ মিলিয়ন ইউরোতে কিনেছিল রেডসরা। 

এছাড়া প্রিমিয়ার লিগের সবচেয়ে দামী ফুটবলার হতে যাচ্ছেন উইর্টজ। তিনি গত মৌসুমে লিভারপুলকে টেক্কা দিয়ে চেলসির কেনা ইকুয়েডরিয়ান ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার ময়েস কেয়সাডো ও  চেলসির আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার এনজো ফার্নান্দেজের দামের রেকর্ড ভাঙছেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ফ টবল দলবদল র কর ড ভ ফ টবল র সবচ য়

এছাড়াও পড়ুন:

উজানে বাঁধ ও জলবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে মারাত্মক সংকটে তিস্তা নদী

আন্তর্জাতিক নিয়ম না মেনে উজানে বাঁধ ও জলবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের ফলে তিস্তা নদী মারাত্মক সংকটে পড়েছে। আর প্রস্তাবিত তিস্তা প্রকল্প নিয়েও কেউ খোলামেলা কথা বলতে চাইছেন না।

রোববার রাজধানীর প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশে (পিআইবি) ‘সংকটে তিস্তা নদী: সমাধানের পথ কী?’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় বক্তারা এ কথা বলেন। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) ও বাংলাদেশ পরিবেশ নেটওয়ার্ক (বেন) যৌথভাবে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করে।

মতবিনিময় সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাপার সহসভাপতি অধ্যাপক মো. খালেকুজ্জমান। প্রবন্ধে তিনি উল্লেখ করেন, ভারতের সঙ্গে কোনো পানিবণ্টন চুক্তি না থাকায় এবং আন্তর্জাতিক নিয়ম না মেনে উজানে বাঁধ ও জলবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের ফলে তিস্তা নদী মারাত্মক সংকটে পড়েছে। শুষ্ক মৌসুমে পানির অভাবে আর বর্ষাকালে নিয়ন্ত্রণহীন পানিনির্গমনের ফলে বাংলাদেশ অংশে বন্যা ও ভাঙনের ঝুঁকি বাড়ছে।

মতবিনিময় সভায় বিশেষজ্ঞরা তিস্তা সমস্যার সমাধানে ভারতের সঙ্গে গঠনমূলক সম্পৃক্ততা, আন্তর্জাতিক আইনের প্রয়োগ এবং প্রকল্পে স্থানীয় জনগণের মতামত গ্রহণের ওপর জোর দেন। তাঁরা তিস্তা মহাপরিকল্পনা সম্পর্কে স্বচ্ছতা ও পুনর্মূল্যায়নের দাবি জানান।

অর্থনীতিবিদ আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘সরকারের কাছে তিস্তা মহাপরিকল্পনার কোনো তথ্য নেই। বিগত বছরগুলোতে উন্নয়নের নামে দেশের নদীগুলোকে সংকুচিত করা হয়েছে। আমরা আর সংকুচিত করার উন্নয়ন চাই না। নদীকে নদীর মতোই রাখতে হবে।’

আনু মুহাম্মদ আরও বলেন, দেশের উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণের ক্ষেত্রে ব্যক্তিস্বার্থকে উপেক্ষা করে দেশের স্বার্থকে বড় করে দেখতে হবে। যেসব প্রকল্প দীর্ঘমেয়াদি, সেসব প্রকল্প গ্রহণের আগে অবশ্যই জনগণের মতামত নিতে হবে।

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাবেক সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন বলেন, ‘আমাদের নিজস্ব সামর্থ্য অনুযায়ী প্রকল্প নেওয়া উচিত। নদীকে রক্ষা করতে হবে কিন্তু তাকে খালে পরিণত করে নয়। এই প্রকল্প পুনর্মূল্যায়ন করা প্রয়োজন।

বাপার প্রতিষ্ঠাতা নজরুল ইসলাম বলেন, ‘বাপা কখনো উন্নয়নবিরোধী নয়। আমরাও চাই দেশের উন্নয়ন হোক। কিন্তু সেই উন্নয়ন হতে হবে দেশের প্রাণপ্রকৃতি, পরিবেশ ও নদীকে ঠিক রেখে। তিস্তা প্রকল্প নিয়ে কেউ খোলামেলা কথা বলতে চাইছেন না। সরকার ও বিরোধী দল উভয়ই চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ক নিয়ে সংবেদনশীল হওয়ায় এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি উপেক্ষিত থেকে যাচ্ছে।’

বাপার সভাপতি অধ্যাপক নুর মোহাম্মদ তালুকদারের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবিরের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, পরিবেশবিদ, গবেষক ও তিস্তাপাড়ের বাসিন্দারা অংশ নেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ