সিলেট ও সুনামগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে ৭০ জনকে ‘পুশইন’ বিএসএফের
Published: 12th, June 2025 GMT
সিলেট ও সুনামগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে ৭০ জনকে পুশইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। এর মধ্যে সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার মোকামপুঞ্জি ও মিনাটিলা এবং কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার কালাইরাগ সীমান্ত দিয়ে ৫৩ জন এবং সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার নোয়াকোট সীমান্ত দিয়ে ১৭ জনকে পুশইন করা হয়। বুধবার গভীর রাত থেকে আজ বৃহস্পতিবার ভোর পর্যন্ত তাদের পুশইন করা হয়।
জানা গেছে, জৈন্তাপুরের শ্রীপুর বিওপি দুই পরিবারে ১৭ জনকে আটক করেছে। তাদের মধ্যে ৪ জন পুরুষ, ৪ জন নারী ও ৯ জন শিশু রয়েছে। তারা ৭ জন কুড়িগ্রাম জেলার এবং ১০ জন লালমনিরহাট জেলার বাসিন্দা। মিনাটিলা বিওপি ৪টি পরিবারের ২৩ জনকে আটক করে। তাদের মধ্যে ৯ জন পুরুষ, ৭ জন নারী ও ৭ জন শিশু রয়েছে। সবাই কুড়িগ্রাম জেলার বাসিন্দা। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার কালাইরাগ বিওপি ২টি পরিবারের ১৩ জনকে আটক করেছে, যাদের মধ্যে ৪ জন পুরুষ, ৩ জন নারী ও ৬ জন শিশু রয়েছে। তারা সবাই কুড়িগ্রাম জেলার বাসিন্দা।
বিজিবির ৪৮ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো.
এদিকে সুনামগঞ্জের ছাতক সীমান্তের নোয়াকুট এলাকা দিয়ে ১৭ জনকে পুশইন করেছে বিএসএফ। তাদের মধ্যে ৫ জন পুরুষ, ৪ জন নারী ও ৮ জন শিশু রয়েছে। তারা লালমনিরহাটের বাসিন্দা।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সুনামগঞ্জ ২৮ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল জাকারিয়া কাদির। তিনি জানান, বুধবার রাত ১২টা থেকে বৃহস্পতিবার ভোর পর্যন্ত এ ১৭ জনকে পুশইন করা হয়।
সূত্র আরও জানায়, পুশইন হওয়া এসব ব্যক্তি অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করে সেখানে দীর্ঘদিন বসবাস করছিলেন। বিজিবি তাদের আটক করে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
এর আগে ২৮ মে একই সীমান্ত দিয়ে ১৬ জনকে পুশইন করেছিল বিএসএফ।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স ন মগঞ জ প শইন ব এসএফ স ন মগঞ জ জন প র ষ উপজ ল র ব এসএফ ১৭ জনক জন শ শ জন ন র
এছাড়াও পড়ুন:
১২ হাজার তরুণ–তরণীকে বিনা মূল্যে প্রশিক্ষণ দেবে পিকেএসএফ
পেশাগত দক্ষতা বাড়াতে দেশের ১২ হাজার তরুণ-তরুণীকে বিনা মূল্যে প্রশিক্ষণ দেবে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)। কারিগরি ও পেশাগত শিক্ষানির্ভর তিন বছর মেয়াদি এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হবে স্কিলস ফর ইন্ডাস্ট্রিজ কম্পিটিটিভনেস অ্যান্ড ইনোভেশন প্রোগ্রামের (এসআইসিআইপি) আওতায়। এ প্রকল্পে সহায়তা করছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)।
আজ সোমবার রাজধানীর পিকেএসএফ ভবনে এসআইসিআইপি ও পিকেএসএফের প্রকল্পের উদ্বোধন ও প্রশিক্ষণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানানো হয়।
প্রকল্পের আওতায় প্রশিক্ষণার্থী তরুণেরা ১২টি খাতের প্রশিক্ষণ পাবেন। প্রশিক্ষণ চলাকালে থাকা-খাওয়ার সব খরচ প্রকল্প থেকে বহন করা হবে। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৩০ শতাংশ আসন নারীদের জন্য সংরক্ষিত। বাকি ৭০ শতাংশের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন নিম্ন আয়ের ও প্রান্তিক অঞ্চলের তরুণেরা। প্রশিক্ষণ শেষ হওয়ার পর অংশগ্রহণকারীদের আত্মকর্মসংস্থান বা মজুরিভিত্তিক চাকরির ক্ষেত্রেও সহায়তা করা হবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থসচিব খায়েরুজ্জামান মজুমদার বলেন, দেশে দক্ষ জনশক্তির চাহিদা রয়েছে, বিশেষ করে বিদেশে। এই প্রকল্পের সফল বাস্তবায়নের মাধ্যমে পিকেএসএফ ও এর সহযোগী সংস্থাগুলো সেই চাহিদা পূরণে ভূমিকা রাখতে পারবে।
পিকেএসএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফজলুল কাদের বলেন, ‘প্রতিবছর ২০ লাখের বেশি তরুণ শ্রমবাজারে প্রবেশ করছেন। এটি একই সঙ্গে আমাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা। প্রকল্পের আওতায় জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের স্বীকৃত কোর্স অনুযায়ী প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে, যাতে প্রশিক্ষণ শেষে তাঁরা সহজেই কর্মসংস্থানে যুক্ত হতে পারেন।’
অনুষ্ঠানে পিকেএসএফের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. জসীম উদ্দিন বলেন, বর্তমানে ১২ হাজার ছাড়াও আরও ৮ হাজার ৫০০ তরুণকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার প্রস্তাব সরকারের কাছে দেওয়া হয়েছে। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও তৃতীয় লিঙ্গের তরুণদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। পাশাপাশি ২ হাজার এতিম ও দুস্থ তরুণকেও প্রশিক্ষণের আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে।
এ সময় অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ ওয়ালিদ হোসেন ও পিকেএসএফের চেয়ারম্যান জাকির আহমেদ খান বক্তব্য দেন।