সিলেট ও সুনামগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে ৭০ জনকে পুশইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। এর মধ্যে সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার মোকামপুঞ্জি ও মিনাটিলা এবং কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার কালাইরাগ সীমান্ত দিয়ে ৫৩ জন এবং সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার নোয়াকোট সীমান্ত দিয়ে ১৭ জনকে পুশইন করা হয়। বুধবার গভীর রাত থেকে আজ বৃহস্পতিবার ভোর পর্যন্ত তাদের পুশইন করা হয়।

জানা গেছে, জৈন্তাপুরের শ্রীপুর বিওপি দুই পরিবারে ১৭ জনকে আটক করেছে। তাদের মধ্যে ৪ জন পুরুষ, ৪ জন নারী ও ৯ জন শিশু রয়েছে। তারা ৭ জন কুড়িগ্রাম জেলার এবং ১০ জন লালমনিরহাট জেলার বাসিন্দা। মিনাটিলা বিওপি ৪টি পরিবারের ২৩ জনকে আটক করে। তাদের মধ্যে ৯ জন পুরুষ, ৭ জন নারী ও ৭ জন শিশু রয়েছে। সবাই কুড়িগ্রাম জেলার বাসিন্দা। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার কালাইরাগ বিওপি ২টি পরিবারের ১৩ জনকে আটক করেছে, যাদের মধ্যে ৪ জন পুরুষ, ৩ জন নারী ও ৬ জন শিশু রয়েছে। তারা সবাই কুড়িগ্রাম জেলার বাসিন্দা।

বিজিবির ৪৮ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো.

নাজমুল হক বলেন, আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।

এদিকে সুনামগঞ্জের ছাতক সীমান্তের নোয়াকুট এলাকা দিয়ে ১৭ জনকে পুশইন করেছে বিএসএফ। তাদের মধ্যে ৫ জন পুরুষ, ৪ জন নারী ও ৮ জন শিশু রয়েছে। তারা লালমনিরহাটের বাসিন্দা।

এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সুনামগঞ্জ ২৮ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল জাকারিয়া কাদির। তিনি জানান, বুধবার রাত ১২টা থেকে বৃহস্পতিবার ভোর পর্যন্ত এ ১৭ জনকে পুশইন করা হয়। 

সূত্র আরও জানায়, পুশইন হওয়া এসব ব্যক্তি অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করে সেখানে দীর্ঘদিন বসবাস করছিলেন। বিজিবি তাদের আটক করে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করছে।

এর আগে ২৮ মে একই সীমান্ত দিয়ে ১৬ জনকে পুশইন করেছিল বিএসএফ।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স ন মগঞ জ প শইন ব এসএফ স ন মগঞ জ জন প র ষ উপজ ল র ব এসএফ ১৭ জনক জন শ শ জন ন র

এছাড়াও পড়ুন:

তিন সীমান্ত দিয়ে ৩২ জনকে ঠেলে দিল বিএসএফ

তিন জেলার সীমান্ত দিয়ে আরও ৩২ জনকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঠেলে দিয়েছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। সোমবার গভীর রাতে এবং মঙ্গলবার ভোরে তাদের ঠেলে দেওয়া হয়। বিজিবি তাদের সবাইকে আটক করে নাগরিকত্ব যাচাই-বাছাই করছে। এ নিয়ে গত ৪ মে থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত সহস্রাধিক মানুষকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঠেলে দিল বিএসএফ। 

বিজিবি জানায়, সোমবার গভীর রাতে দিনাজপুরের বিরল উপজেলার এনায়েতপুর সীমান্ত দিয়ে ১৩ জনকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঠেলে দেয় বিএসএফ। টহলরত বিজিবি সদস্যরা তাদের আটক করে। তাদের মধ্যে দু’জন পুরুষ, দু’জন নারী ও ৯ শিশু। একই রাতে ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার চান্দুরিয়া সীমান্ত দিয়ে দু’জন পুরুষ, দু’জন নারী ও তিন শিশুকে ঠেলে পাঠানো হয়। তাদের নাগরিকত্বের তথ্য যাচাই-বাছাই কার্যক্রম চলছে। এর পর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। 

এদিকে মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার আনন্দবাস গ্রামের সীমান্ত দিয়ে মঙ্গলবার ভোরে চার শিশুসহ ১২ জনকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঠেলে দেওয়া হয়। 

বিজিবি জানায়, আনন্দবাস সীমান্তে ভোরের দিকে টহলের সময় সন্দেহজনক কয়েকজনকে ঘোরাঘুরি করতে দেখে বিজিবি সদস্যরা। পরে আটক ১২ জনকে মুজিবনগর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। 

মুজিবনগর থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, তারা বাংলাদেশের নাগরিক। তাদের বাড়ি কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়িয়া থানায়। বিভিন্ন সময় কাজের সন্ধানে তারা অবৈধভাবে ভারতে গিয়েছিল। তাদের আত্মীয়স্বজনকে খবর দেওয়া হয়েছে। জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে তাদের শনাক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পঞ্চগড় সীমান্ত দিয়ে ৭ জনকে ঠেলে দিয়েছে বিএসএফ 
  • বিরামপুর সীমান্ত দিয়ে ১৫ জনকে ঠেলে দিলো বিএসএফ 
  • দিনাজপুর সীমান্তে গভীর রাতে আলো নিভিয়ে ১৫ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ
  • পাটগ্রাম সীমান্তে নারী-শিশুসহ সাতজনকে পুশইন
  • সুনামগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে ১৭ জনকে ঠেলে দিল বিএসএফ
  • সিলেট সীমান্তে আরও ৫৩ জনকে ঠেলে পা‌ঠিয়েছে বিএসএফ
  • ছাতক সীমান্ত দিয়ে আরও ১৭ জনকে ‘পুশইন’ বিএসএফের
  • চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের পতাকা বৈঠক, ২৬ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর
  • তিন সীমান্ত দিয়ে ৩২ জনকে ঠেলে দিল বিএসএফ