বিয়ে মানেই জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ের সূচনা। বিয়ের পর শুধু জীবনের পরিবর্তন হয় না, সঙ্গে যোগ হয় নানারকম দায়িত্ব। বিয়ের দিনটা নিয়েই সবার মাতামাতি থাকে। তার পরের জীবনে মানিয়ে নিতে হয় পাত্র-পাত্রীকেই। এ কারণে বিয়ের আগের মুহূর্ত পর্যন্ত পাত্র এবং পাত্রী উভয়েরই বিয়ে মানে নতুন জীবন নিয়ে থাকে চাপা উত্তেজনা। তাদের কাছে শুধু বিয়ের দিনটাই নয়, তার পরের জীবনটা নিয়েও থাকে অনেক ধরনের চিন্তা, উদ্বেগ। বারবার মনে হতে থাকে বিয়ে নিয়ে তারা যে স্বপ্ন দেখছেন তা বাস্তবায়িত হবে কিনা। উভয়ের ক্ষেত্রে নতুন পরিবার এবং নতুন পরিবেশে মানিয়ে নেওয়া নিয়েও থাকে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। বিয়ের আগে থেকে যদি নিজেকে উপযুক্তভাবে গড়ে তোলা যায়, তাহলে টেনশন অনেকটা কমে যাবে।
যারা বিয়ে নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তা করছেন তারা নিজেদের মানসিকভাবে প্রস্তুত করতে প্রাক্-বিবাহ কাউন্সেলিং করতে পারেন। চাইলে কিছু ঘরোয়া উপায়ও বেছে নিতে পারেন নিজেকে চাপমুক্ত রাখতে।
শারীরিক সুস্থতার চাবিকাঠি হলো মানসিক প্রফুল্লতা। তাই সবসময় মন ভালো রাখার চেষ্টা করতে হবে। মুখে হাসি, পর্যাপ্ত ঘুম আর অযথা নেতিবাচক চিন্তা না করা– এ তিনটিই আপনাকে মানসিক চাপ থেকে মুক্ত রাখবে।
মন ভালো রাখতে যা করবেন
সংগীত: সংগীত হলো সবচেয়ে ভালো ওষুধ। যখনই আপনি অতিরিক্ত মানসিক চাপ বোধ করবেন, তখন হালকা কোনো সংগীত বা গান শোনার চেষ্টা করুন। রাতে ঘুমানোর আগে কিংবা কর্মক্ষেত্রে যাওয়া-আসার পথে হালকা গান শুনতে পারেন। মনে রাখবেন, ধীর মধুর সংগীত মনের চঞ্চলতা কমিয়ে তাকে শান্ত করে। শরীরের মধ্যে জমে থাকা টেনশন কম করে।
শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম: যে কোনো পরিস্থিতিতে টেনশন কমাতে শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম সবসময় কার্যকর। শরীরের পেশিগুলোকে উত্তেজনামুক্ত করতে সারাদিনে যে কোনো সময়েই এ ব্যায়াম করা যায়।
মেডিটেশন: মনের মধ্যে আসতে থাকা সব ধরনের বাজে চিন্তাধারাকে নিয়ন্ত্রণ করার পদ্ধতি হচ্ছে মেডিটেশন করা। এ কৌশল মনকে শান্ত রাখতে সাহায্য করে। সারাদিন ১৫ থেকে ২০ মিনিট মেডিটেশন করতে পারলে উপকার পাবেন।
শরীরচর্চা: শারীরিক শ্রম মানসিক চাপ কমাতে অনেক সাহায্য করে। শ্রমের কারণে শরীরে এনডরফিনের মাত্রা বেড়ে যায়, যেটি শরীরকে রিলাক্স রাখতে সাহায্য করে।
জীবন উপভোগ করুন: বর্তমানকে উপভোগ করার নামই রিলাক্স করা। ভবিষ্যতে কী হবে এবং অতীতে কী হয়ে গেছে, সেসব চিন্তা করে বর্তমানের মুহূর্তকে নষ্ট করবেন না। যাদের সঙ্গে বেড়ে ওঠা, যাদের ঘিরে জীবনের এতদিনের স্মৃতি তাদের সঙ্গে সময় কাটান। পরিবারের সবাই মিলে বাইরে খেতে যান, বসার ঘরে একসঙ্গে চায়ের আড্ডা দিন। একসঙ্গে বসে বিয়ের পরিকল্পনা করুন, দায়িত্ব ভাগ করে নিন সবাই মিলে। দেখবেন দুশ্চিন্তা অনেকটা কমে যাবে।
নিজের জন্য সময়: পরিবারে কিংবা কর্মক্ষেত্রে অনেক সময় কাজের চাপ বাড়ে। তাই বলে নিজের জন্য সময় বের করতে ভুলবেন না। নিজের শখের কোনো কাজ যেমন– বই পড়া, লেখালেখি, ছবি আঁকা ইত্যাদি করতে পারেন। মানসিক চাপমুক্ত থাকতে প্রকৃতির সান্নিধ্যে সময় কাটান।
মেলামেশা বাড়ান: অফিসে হোক বা অফিসের বাইরে কাজের ফাঁকে একটু-আধটু আড্ডা দিন, গল্প করুন। এটি মুড বুস্টার হিসেবে দারুণ কার্যকর। এর বাইরেও সামাজিক মেলামেশার ক্ষেত্রটা বাড়ান।
ইতিবাচক মনোভাব জরুরি
আপনার চিন্তাভাবনার মধ্যে নেতিবাচক মানসিকতাকে স্থান দেবেন না। ইতিবাচক মনোভাব রাখুন। চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করুন। শুরুতে নেতিবাচক ভাবনা এলেও, মনকে নিজের নিয়ন্ত্রণে আনুন। দেখবেন সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সব ঠিক হয়ে যাবে।
পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমান
ক্লান্তি কাটাতে পর্যাপ্ত ঘুমের বিকল্প নেই। এতে শরীর-মন দুই ভালো থাকবে। বেশি রাত জেগে সোশ্যাল মিডিয়ায় চ্যাটিং করা বা উত্তেজনাপূর্ণ কোনো ভিডিও দেখে ঘুম নষ্ট করবেন না। বিয়ের পর জীবনসঙ্গীর সঙ্গে স্বপ্ন সফল করতে হলে বিয়ের আগে পর্যাপ্ত ঘুমের মাধ্যমে নিজেকে স্ট্রেস-ফ্রি রাখুন। v
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ডিএসইর পিই রেশিও বেড়েছে ১.৯৪ শতাংশ
দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে (২৭ থেকে ৩১ জুলাই) পর্যন্ত সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) বেড়েছে। আলোচ্য এ সময়ে ডিএসইর পিই রেশিও বেড়েছে ১.৯৪ শতাংশ।
শনিবার (২ আগস্ট) ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্য মতে, বিদায়ী সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর পিই রেশিও ছিল ১০.৩১ পয়েন্টে। আর সপ্তাহ শেষে তা অবস্থান করছে ১০.৫১ পয়েন্টে। ফলে সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর পিই রেশিও বেড়েছে ০.২০ পয়েন্ট বা ১.৯৪ শতাংশ।
এর আগের সপ্তাহের (২৪ থেকে ২৮ জুলাই) শুরুতে ডিএসইর পিই রেশিও ছিল ৯.৭১ পয়েন্টে। আর সপ্তাহ শেষে তা অবস্থান করছে ১০.৩১ পয়েন্টে। ফলে সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর পিই রেশিও বেড়েছে ০.৬০ পয়েন্ট বা ৬.১৮ শতাংশ।
খাতভিত্তিক পিই রেশিওগুলোর মধ্যে- জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে ৬.১০ পয়েন্টে, ব্যাংক খাতে ৭.১৯ পয়েন্টে, সেবা ও আবাসন খাতে ৯.৮৯ পয়েন্ট, টেক্সটাইল খাতে ১০.৭০ পয়েন্টে, ওষুধ ও রসায়ন খাতে ১১.০৮ পয়েন্টে, প্রকৌশল খাতে ১১.৩৫ পয়েন্টে, আর্থিক খাতে ১২.৬০ পয়েন্টে, সাধারণ বিমা খাতে ১২.৭৭ পয়েন্টে, সিমেন্ট খাতে ১৪.১০ পয়েন্টে, টেলিযোগাযোগ খাতে ১৪.৯৪ পয়েন্টে, আইটি খাতে ১৬.৩১ পয়েন্টে, বিবিধ খাতে ১৬.৬৫ পয়েন্টে, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতে ১৭.৯৬ পয়েন্ট, মিউচুয়াল ফান্ড খাতে ১৮.৪৩ পয়েন্টে, পেপার ও প্রিন্টিং খাতে ২১.৮১ পয়েন্টে, খাদ্য ও আনুসঙ্গিক খাতে ২১.৯৩ পয়েন্টে, পাট খাতে ২৬.১৯ পয়েন্টে, ট্যানারি খাতে ২৬.৭৭ পয়েন্টে, এবং সিরামিক খাতে ৫৭.৪৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
ঢাকা/এনটি/ইভা