পাকিস্তানকে কাছে টানছেন ট্রাম্প, কৌশলগত উষ্ণতা নাকি নতুন ঘনিষ্ঠ সহযোগী
Published: 19th, June 2025 GMT
দ্বিতীয়বারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর এ বছরের ৪ মার্চ কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে প্রথমবারের মতো ভাষণ দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ওই ভাষণে তিনি একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করেন।
ভাষণে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ২০২১ সালের আগস্টে কাবুল বিমানবন্দরে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ ‘অ্যাবে গেট বোমা হামলার’ কথা উল্লেখ করে বলেন, ওই ঘটনার হোতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তালেবানের ক্ষমতা দখলের পর যখন হাজার হাজার আফগান পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন, তখন বিমানবন্দরের অ্যাবে গেটে ওই হামলা চালানো হয়।
এই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারে পাকিস্তানকে কৃতিত্ব দিয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘এই দানবকে গ্রেপ্তার করতে সাহায্য করায় আমি বিশেষ করে পাকিস্তান সরকারকে ধন্যবাদ জানাতে চাই।’
এর প্রায় সাড়ে তিন মাস পরে বুধবার পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনিরকে হোয়াইট হাউসে মধ্যাহ্নভোজে আপ্যায়ন করলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এই প্রথম একজন মার্কিন প্রেসিডেন্ট পাকিস্তানের কোনো সেনাপ্রধানকে আতিথ্য দিলেন, যিনি দেশটির রাষ্ট্রপ্রধান নন। আসিম মুনির পাঁচ দিনের সফরে যুক্তরাষ্ট্রে গেছেন।
এই দেশটি যুক্তরাষ্ট্রকে ‘মিথ্যা আর প্রতারণা ছাড়া কিছুই দেয়নি’ এবং এটি সন্ত্রাসীদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল হিসেবে সাত বছর আগে অভিযোগ করেছিলেন ট্রাম্প। আর তাঁর পূর্বসূরি জো বাইডেন এই দেশটিকে ‘সবচেয়ে বিপজ্জনক দেশগুলোর একটি’ বলে মন্তব্য করেছিলেন। সেই দেশের প্রতি ট্রাম্পের এই মনোভাব একটি নাটকীয় পরিবর্তন।
ইরানের একটি তেল পরিশোধনাগারে ইসরায়েলের বিমান হামলার পর ধোঁয়া উঠছে। তেহরানের দক্ষিণে, ১৫ জুন ২০২৫.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
গ্রীক পুরাণের যুদ্ধের দেবী এথেনা সম্পর্কে কিছু চমকপ্রদ তথ্য
গ্রীক পুরাণের যুদ্ধের দেবী এথেনা। তিনি জ্ঞান, কৌশলগত যুদ্ধ, সভ্যতা, আইন ও ন্যায়বিচার, শক্তি, শিল্প ও কারুশিল্পের দেবী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। এথেনা শুধুমাত্র যুদ্ধের দেবী ছিলেন না, তিনি যুদ্ধের বুদ্ধিবৃত্তিক ও কৌশলগত দিকটি উপস্থাপন করতেন। তিনি সাধারণত বীরদের অনুপ্রাণিত করতেন এবং ন্যায়সঙ্গত লড়াইয়ে সহায়তা করতেন।তিনি বয়ন, সেলাই এবং অন্যান্য কারুশিল্পের পৃষ্ঠপোষক ছিলেন।
এথেনা গ্রিসের বিভিন্ন শহর, বিশেষ করে এথেন্স শহরের রক্ষাকর্ত্রী ও পৃষ্ঠপোষক দেবী হিসেবে পূজিত হতেন। তিনি পার্সিয়াস, হেরাক্লিস, ওডিসিউস এবং জেসনের মতো বিখ্যাত গ্রিক বীরদেরকে তাদের অভিযান পরিচালনায় সহায়তা করেছিলেন।তিনি একজন কুমারী দেবী ছিলেন এবং তাঁর কোনো সন্তান ছিল না।
আরো পড়ুন:
পশ্চিমা সভ্যতার ‘দোলনা’ বলা হয় যে শহরকে
শীতে চুল ‘ডিপ কন্ডিশনিং’ করার উপায়
জন্ম ও পৌরাণিক কাহিনী
এথেনার জন্মকাহিনী বেশ চমকপ্রদ। প্রচলিত পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে, তিনি দেবরাজ জিউস এবং জ্ঞান ও কৌশলের টাইটানিস মেটিসের কন্যা। জিউস ভবিষ্যদ্বাণী জানতে পারেন যে, মেটিসের সন্তান তাকে সিংহাসনচ্যুত করবে, তাই তিনি মেটিসকে গিলে ফেলেন। এর কিছুদিন পর জিউসের প্রচণ্ড মাথাব্যথা শুরু হয় এবং তিনি হেফেস্টাসকে (অগ্নি ও কর্মকার শিল্পের দেবতা) তার মাথা কুড়াল দিয়ে কেটে দিতে বলেন। মাথা কাটার পর, এথেনা সম্পূর্ণ প্রাপ্তবয়স্ক এবং বর্ম পরিহিত অবস্থায় জিউসের মাথা থেকে বেরিয়ে আসেন।
এথেন্স শহরের নামকরণ এথেনার নামানুসারে করা হয়েছিল। শহরটির পৃষ্ঠপোষকতা নিয়ে এথেনা এবং সমুদ্রের দেবতা পসেইডনের মধ্যে একটি প্রতিযোগিতা হয়েছিল। পসেইডন তার ত্রিশূল দিয়ে মাটিতে আঘাত করে একটি নোনা জলের ঝর্ণা তৈরি করেন। অন্যদিকে, এথেনা একটি জলপাই গাছ তৈরি করেন, যা খাদ্য, তেল, কাঠ এবং ছায়া প্রদান করত। শহরের লোকেরা এথেনার উপহারকে বেশি উপযোগী মনে করে এবং এথেনাকে তাদের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে বেছে নেয়। এথেন্সের অ্যাক্রোপলিসে অবস্থিত বিখ্যাত পার্থেনন মন্দিরটি তার সম্মানে নির্মিত হয়েছিল।
এথেনার প্রধান প্রতীকগুলির মধ্যে রয়েছে পেঁচা। যা জ্ঞানের প্রতীক। জলপাই গাছ হলো শান্তি ও সমৃদ্ধির প্রতীক।ঢাল তার যোদ্ধার পরিচয় বহন করে।
ঢাকা/লিপি