Samakal:
2025-08-10@22:11:09 GMT

শরীয়তপুরের ডিসি ওএসডি

Published: 21st, June 2025 GMT

শরীয়তপুরের ডিসি ওএসডি

শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ আশরাফ উদ্দিনকে ওএসডি (বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) করেছে সরকার। শনিবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। 

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আশরাফ উদ্দিনকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (উপসচিব) হিসেবে বদলি পূর্বক পদায়ন করা হলো।

এর আগে নারী কেলেঙ্কারির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর কর্মক্ষেত্র ছেড়ে পালিয়ে যান শরীয়তপুরের ডিসি। গত শুক্রবার থেকে তিনি শরীয়তপুর জেলায় নেই। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো.

মাসুদুল আলম সমকালকে বলেন, শুক্রবার বিকেল থেকে ডিসি স্যার শরীয়তপুর জেলায় নেই। কোথায় গেছেন জানি না। 

ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসকের দায়িত্ব কাকে দেওয়া হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ বিষয়ে এডিসি সার্বিক বলতে পারবেন। তাকে জিজ্ঞাসা করেন।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. আসলাম হোসাইন বলেন, শুক্রবার বিকেলে স্যার অফিস শেষে বাসায় ফিরেছেন। তবে এখন তিনি শরীয়তপুরে নেই। তার বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে আমার কাছে কোনো তথ্য নেই।

এ বিষয়ে জানতে শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ আশরাফ উদ্দিনের সরকারি মুঠোফোন নম্বরে ও হোয়াটসঅ্যাপে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কোনো সাড়া মেলেনি।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ওএসড

এছাড়াও পড়ুন:

দুই স্বাচিপ নেতাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছে সরকার

আওয়ামী লীগ আমলের প্রভাবশালী দুজন চিকিৎসক কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। তাঁদের একজন আওয়ামী লীগ–সমর্থিত চিকিৎসকদের সংগঠন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) মহাসচিব অধ্যাপক মো. কামরুল হাসান। অন্যজন স্বাচিপের সাবেক সহসভাপতি অধ্যাপক মো. শামিউল ইসলাম। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, দুজনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আছে।

গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের সময় মো. শামিউল ইসলাম জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসাপ্রতিষ্ঠানের (নিপসম) পরিচালক ছিলেন। সরকার পরিবর্তনের কিছুদিন পর তাঁকে ওএসডি করা হয়। আজ রোববার ১০ আগস্ট তাঁকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠাল সরকার। সরকারি প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, মো. শামিউল ইসলামের সরকারি চাকরিকাল ২৫ বছর পূর্ণ হয়েছে। তাঁকে জনস্বার্থে সরকারি চাকরি থেকে অবসর দেওয়া হলো।

মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, অধ্যাপক মো. শামিউল ইসলামের বিষয়ে তদন্ত হচ্ছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) থাকার সময় তাঁর বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছিল।

এর আগে ৬ আগস্ট বাধ্যতামূলকভাবে অবসরে পাঠানো হয় অধ্যাপক মো. কামরুল হাসানকে। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের সময় অধ্যাপক মো. কামরুল হাসান স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ছিলেন। যোগ্যতা না থাকার পরও তাঁকে ওই পদে বসানো হয়েছিল। অভিযোগ আছে, স্বাচিপের মহাসচিব হওয়ার পর প্রভাব খাটিয়ে তিনি ওই পদে বসেন।

সরকার পতনের পর মন্ত্রণালয় তাঁকে ওএসডি করে। তাঁরও চাকরিও ২৫ বছর হয়েছে। তাঁকেও ‘জনস্বার্থে অবসরে’ পাঠিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • দুই স্বাচিপ নেতাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছে সরকার