আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও: শরীয়তপুরের সেই জেলা প্রশাসক ওএসডি
Published: 21st, June 2025 GMT
এক নারীর সঙ্গে আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও ছড়ানোর পর শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশরাফ উদ্দিনকে ওএসডি (বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) করা হয়েছে।
শনিবার (২১ জুন) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ আদেশ দেওয়া হয়। সন্ধ্যায় আদেশের চিঠি শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পৌঁছায়। শরীয়তপুরের একজন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এ তথ্য জানিয়েছেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাত থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে জেলা প্রশাসক আশরাফ উদ্দিনের সঙ্গে এক নারীর আপত্তিকর ভিডিও ও ছবি ছড়িয়ে পড়ে। এরপর জেলাজুড়ে নানা আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। এ ঘটনার পর বৃহস্পতিবার রাতে একটি ভাড়া করা গাড়িতে শরীয়তপুর থেকে চলে যান আশরাফ উদ্দিন।
শনিবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন নিয়োগ শাখা থেকে তাকে (জেলা প্রশাসক) ওএসডি করার প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/আকাশ/সাইফ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
দুই স্বাচিপ নেতাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছে সরকার
আওয়ামী লীগ আমলের প্রভাবশালী দুজন চিকিৎসক কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। তাঁদের একজন আওয়ামী লীগ–সমর্থিত চিকিৎসকদের সংগঠন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) মহাসচিব অধ্যাপক মো. কামরুল হাসান। অন্যজন স্বাচিপের সাবেক সহসভাপতি অধ্যাপক মো. শামিউল ইসলাম। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, দুজনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আছে।
গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের সময় মো. শামিউল ইসলাম জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসাপ্রতিষ্ঠানের (নিপসম) পরিচালক ছিলেন। সরকার পরিবর্তনের কিছুদিন পর তাঁকে ওএসডি করা হয়। আজ রোববার ১০ আগস্ট তাঁকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠাল সরকার। সরকারি প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, মো. শামিউল ইসলামের সরকারি চাকরিকাল ২৫ বছর পূর্ণ হয়েছে। তাঁকে জনস্বার্থে সরকারি চাকরি থেকে অবসর দেওয়া হলো।
মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, অধ্যাপক মো. শামিউল ইসলামের বিষয়ে তদন্ত হচ্ছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) থাকার সময় তাঁর বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছিল।
এর আগে ৬ আগস্ট বাধ্যতামূলকভাবে অবসরে পাঠানো হয় অধ্যাপক মো. কামরুল হাসানকে। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের সময় অধ্যাপক মো. কামরুল হাসান স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ছিলেন। যোগ্যতা না থাকার পরও তাঁকে ওই পদে বসানো হয়েছিল। অভিযোগ আছে, স্বাচিপের মহাসচিব হওয়ার পর প্রভাব খাটিয়ে তিনি ওই পদে বসেন।
সরকার পতনের পর মন্ত্রণালয় তাঁকে ওএসডি করে। তাঁরও চাকরিও ২৫ বছর হয়েছে। তাঁকেও ‘জনস্বার্থে অবসরে’ পাঠিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।