যশোরের বেনাপোল কাস্টম হাউসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আবারও কলমবিরতি কর্মসূচি পালন করেছেন। তাঁরা আজ সোমবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টা আমদানি-রপ্তানিসংক্রান্ত কোনো ফাইলে স্বাক্ষর করেননি কর্মকর্তারা। এতে বিপাকে পড়েন বন্দর ব্যবহারকারীরা।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) যৌক্তিক সংস্কার ও সংস্থাটির চেয়ারম্যান মো.

আবদুর রহমান খানকে অপসারণের দাবিতে কলমবিরতি কর্মসূচি পালন করা হয়। এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটি কর্মসূচিটির ডাক দেয়।

আজ সোমবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বেনাপোল কাস্টম হাউসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা চেয়ারে বসেননি। ফলে এ সময়ে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যকার আমদানি-রপ্তানিসংক্রান্ত কার্যক্রম বন্ধ থাকে। শুল্কায়ন–সংক্রান্ত কোনো কাগজপত্রে কোনো কর্মকর্তা স্বাক্ষর করেননি। এ সময়ে কোনো পণ্যের শুল্কায়নও হয়নি। এতে ব্যবসায়ী ও পণ্য ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরোয়ার্ডিং এজেন্টরা বিপাকে পড়েন বলে অভিযোগ করেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বন্দর ব্যবহারকারী মতিয়ার রহমান বলেন, ‘কাস্টমস কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কলমবিরতি কর্মসূচিতে আমাদের সমস্যা হয়। যদিও দুপুরের পরে আমদানি-রপ্তানিসংক্রান্ত সব ফাইলে কর্মকর্তারা সই করে দেন। কিন্তু ব্যাংক তো বিকেল চারটার পর আর টাকা জমা নেয় না। এতে পণ্যের শুল্কায়ন ও খালাস কার্যক্রম নেওয়া ধীর হয়ে যায়। ফলে ব্যবসা-বাণিজ্যে গতি কমেছে।’

বেনাপোল কাস্টম হাউসের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আমাদেরও কলমবিরতি করতে হচ্ছে। না হলে আমরা দলছুট হয়ে যাব। তবে আমদানি-রপ্তানিতে এর কোনো প্রভাব পড়ছে না। আমরা দিনের সব ফাইলে বিকেলে স্বাক্ষর করে দিচ্ছি। কোনো ফাইল পেন্ডিং থাকবে না।’

সরকার গত ১২ মে এনবিআরকে দুই ভাগ করার অধ্যাদেশ জারি করে। এর বিরোধিতা করে এনবিআরের অধীন কাস্টমস, ভ্যাট ও আয়কর বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটি ব্যানারে ২৬ মে পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি ও কলমবিরতি কর্মসূচি পালন করেন।

২৫ মে রাতে অর্থ মন্ত্রণালয় এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, এনবিআর বিলুপ্ত নয়; বরং এ প্রতিষ্ঠানকে ‘স্বাধীন ও বিশেষায়িত’ বিভাগের মর্যাদায় উন্নীত করা হবে। এর ফলে ২৬ মে কলমবিরতির কর্মসূচি প্রত্যাহার করে এনবিআর। এখন আবার সেই কলমবিরতি কর্মসূচি নিয়ে আন্দোলনে নেমেছে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: কর মকর ত আমদ ন

এছাড়াও পড়ুন:

একে একে সবাই উঠে দাঁড়ালেন, করতালির মাধ্যমে অভিবাদন জানালেন: আয়রনম‍্যান আরাফাত

সেই অষ্টম শ্রেণি থেকে প্রথম আলোর নিয়মিত পাঠক আমি। বাসার কাছেই ছিল একটি ওষুধের দোকান। সেখানে পত্রিকা রাখা হতো। স্কুলে যাওয়া–আসার পথে সেই দোকানে বসে পত্রিকা পড়তাম।

কলেজে ওঠার পর প্রথম আলোতে একদিন বাংলা চ‍্যানেল পাড়ি দেওয়ার খবর পড়ি। পড়ে রোমাঞ্চিত হই। চিন্তা করি, কীভাবে সম্ভব সাগরে সাঁতার কাটা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পরও সেটি মাথায় ছিল। ২০১৩ সালে সাঁতারু লিপটন সরকার ভাইয়ের সঙ্গে দেখা হলো। বাংলা চ‍্যানেল সাঁতরে পার হওয়ার ইচ্ছার কথা তাঁকে জানালাম। তিনি উৎসাহ দিলেন। শুরু হলো অনুশীলন। ২০১৫ সালে সাঁতরে পাড়ি দিলাম ওই চ্যানেল। সেই খবর ছাপল প্রথম আলো। কাছের-দূরের, কম পরিচিত-বেশি পরিচিত—সবাই খবরটা জেনে শুভেচ্ছা জানালেন। অনেক উৎসাহ পেলাম।

আমার রোমাঞ্চকর যাত্রা অব্যাহত থাকল। ২০১৭ সালে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া এক হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দেওয়ার মিশনে নামলাম। উদ্দেশ্য ছিল ‘দৌড়ের মাধ্যমে সুস্থতা’র বার্তা ছড়ানো। ২০ দিনের সেই যাত্রার গল্প ছাপা হলো ‘ছুটির দিনে’তে। শিরোনাম আজও মনে আছে, ‘দৌড়ে দৌড়ে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া’। খবরটি দেখে সেই দিন এতটা নার্ভাস লাগছিল যে সারা দিন আর কোনো কাজ করতে পারিনি।

‘চ্যালেঞ্জ রথ’ ট্রায়াথলনে বাংলাদেশের মোহাম্মদ সামছুজ্জামান আরাফাত

সম্পর্কিত নিবন্ধ