জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) একটি দীর্ঘ লড়াইয়ে নেমেছে বলে মন্তব্য করেছেন দলের মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম। তিনি বলেছেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, একটা দেশের সংস্কার, সিস্টেমগুলোর পরিবর্তন কয়েক মাসে সম্ভব নয়। দু-চার বছরেও সম্ভব নয়, এটা একটা দীর্ঘ লড়াই। কিন্তু এই নির্বাচনের পূর্বে এই লড়াইয়ের জন্য, একটা স্বচ্ছ নির্বাচনের জন্য যে মৌলিক সংস্কারগুলো প্রয়োজন, সেগুলোর বিষয়েও আমাদের বিন্দুমাত্র ছাড় থাকবে না।’

আজ সোমবার সন্ধ্যায় পঞ্চগড় চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সম্মেলনকক্ষে জাতীয় যুব শক্তি পঞ্চগড় জেলা শাখার আয়োজনে জেলা সমন্বয় সভায় সারজিস এ কথা বলেন।

সারজিস আলম বলেন, ‘এই নির্বাচনের পূর্বে আমাদের যে ভাইয়েরা জীবন দিয়ে, রক্ত দিয়ে নতুন বাংলাদেশ দিয়ে গিয়েছে; তাদের যারা হত্যা করেছে, খুন করেছে, রক্ত ঝরিয়েছে, ওই সব খুনির বিচারের প্রশ্নেও আমাদের বিন্দুমাত্র আপস থাকবে না।’

নির্বাচনের আগে জুলাই ঘোষণাপত্রের দাবি জানিয়ে এনসিপি নেতা সারজিস আলম বলেছেন, ‘দেশের প্রথম সারির বড় সাতটি দলের মধ্যে ছয়টি দল একটি গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারের প্রশ্নে যখন একমত হয়, তখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কিংবা ঐকমত্য কমিশনের কাছে যদি একটি দল বড় হয়ে যায়, তাহলে এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যে গ্রহণযোগ্যতা গণমানুষের কাছে, সেটি হারিয়ে ফেলবে। আমরা প্রত্যাশা করি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তাদের দায়বদ্ধতা ভুলে যাবে না। আমরা প্রত্যাশা করি, একটি সুষ্ঠু এবং স্বচ্ছ নির্বাচনের পূর্বে আমরা এই বাংলাদেশে জুলাই সনদ দেখতে পাব, জুলাই ঘোষণাপত্র পাব, মৌলিক সংস্কার পাব, নির্বাচনকালীন সংস্কার পাব এবং দৃশ্যমান বিচার আমরা দেখে যেতে পারব।’

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে জাতীয় যুব শক্তির আহ্বায়ক তারিকুল ইসলাম, যুগ্ম আহ্বায়ক নেছার উদ্দীন, কেন্দ্রীয় সংগঠক ওয়াসিস আলম প্রমুখ বক্তব্য দেন। এ সময় পঞ্চগড়ের বিভিন্ন স্তরের এনসিপি ও যুব শক্তির নেতা–কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

অভিনন্দন বিশ্ব, এখন শান্তির সময়: ট্রাম্প

কাতার ও ইরাকে মার্কিন ঘাঁটিতে ইরানের হামলার পর নিজের ট্রুথ সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিক পোস্ট দিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। লিখেছেন, ‌‌‘অভিনন্দন বিশ্ব, এখন শান্তির সময়।’

ইরানের হামলার বিষয়ে তিনি লিখেছেন, ইরানের প্রতিক্রিয়া ‘খুবই দুর্বল’। ‘আমাদের আগেই নোটিশ দেওয়ার জন্য’ তাদের ধন্যবাদ।

ট্রুথ সোশ্যালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ‘ইরান তাদের পারমাণবিক স্থাপনা ধ্বংসের প্রতিক্রিয়া খুবই দুর্বলভাবে দিয়েছে, যা আমরা আশা করেছিলাম এবং খুবই কার্যকরভাবে প্রতিহত করা হয়েছে।’ ওই অঞ্চলের শান্তির জন্য কাতারের আমির যা করেছেন, সেজন্য তাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ট্রাম্প।

তিনি বলেছেন, ইরান ১৪টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে যার ১৩টি ‘ধ্বংস’ করা হয়েছে। আরেকটি অন্যদিকে চলে গেছে। ওই হামলায় কোনা আমেরিকানের ক্ষতি হয়নি। ‘তেমন কোনো সম্পদের ক্ষয়-ক্ষতিও হয়নি।’ এমনকি কাতারের কোনো বাসিন্দাও নিহত বা আহত হয়নি।’

 ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, তারা তাদের ‘সিস্টেম’ থেকে সবকিছু বের করে এনেছে। আশা করি, আর কোনো ঘৃণা থাকবে না। আমাদের আগেই নোটিশ দেওয়ায় আমি ইরানকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। সম্ভবত ইরান এখন এই অঞ্চলের শান্তি ও সম্প্রীতির দিকে এগোতে পারে। আমি উৎসাহের সঙ্গে ইসরায়েলকেও একই কাজ করতে বলবো।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ