নির্বাচনের আগে মৌলিক সংস্কারে ছাড় নয়: সারজিস আলম
Published: 23rd, June 2025 GMT
জাতীয় নাগরিক পার্টির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, নির্বাচনের আগে মৌলিক সংস্কারে কোনো ছাড় থাকবে না। খুনিদের বিচারের বিষয়ে আপোষ থাকবে না। অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র জুলাই মাসে দেওয়ার ক্ষেত্রে আপোষ থাকবে না। অন্তর্বর্তী সরকারকে আমরা দুর্বল হিসেবে দেখতে চাই না। তারা যদি দুর্বল হিসেবে প্রকাশ করে, তবে তা হবে অভ্যুত্থানের রক্তের সঙ্গে সবচেয়ে বড় প্রতারণা।
সোমবার সন্ধায় পঞ্চগড় চেম্বার ভবনে জাতীয় যুব শক্তি জেলা সমন্বয় সভায় এসব কথা বলেন সারজিস আলম। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে জাতীয় যুব শক্তির আহ্বায়ক এড.
সারজিস আলম বলেন, প্রথম সারির ৭টি দলের মধ্যে ৬টি দল সংস্কারের একটি প্রশ্নে একমত। যদি সরকার বা ঐক্যমত কমিশনের কাছে একটি দল বড় হয়, তবে অন্তর্বর্তী সরকার গ্রহণযোগ্যতা হারাবে। আমরা প্রত্যাশা করি, অন্তর্বর্তী সরকার তার দায়বদ্ধতা ভুলে যাবে না। একটি স্বচ্ছ নির্বাচনের আগে এই বাংলাদেশে জুলাই সনদ দেখতে পাবো। জুলাই ঘোষণাপত্র পাবো। মৌলিক ও নির্বাচনকালীন সংস্কার পাবো এবং দৃশ্যমান বিচার দেখতে পাবো।
তিনি বলেন, বিগত দিনে ছাত্রলীগ ও যুবলীগকে চাঁদাবাজির জন্য ব্যবহার করেছে আওয়ামী লীগ। ক্ষমতার অপব্যবহারের জন্য ব্যবহার করেছে। মাদকের সিন্ডিকেটের জন্য ব্যবহার করেছে। নিরাপরাধ মানুষকে নির্যাতন করার জন্য ব্যবহার করেছে। অন্য রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের হয়রানির জন্য ব্যবহার করেছে। নতুন বাংলাদেশে কিছু সংগঠন একই কাজ করার চেষ্টা করছে। আমরা মনে করি, নতুন বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ ছাড়া কেউ আমাদের শত্রু নয়। আমরা তাদের প্রতিযোগী মনে করি। তবে কেউ যদি অপকর্ম করে, তার বিরুদ্ধে আমাদের দাঁড়াতে হবে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
সিচুয়েশন রুমে ট্রাম্প, যুক্তরাষ্ট্র এখন কী করে সবার নজর সেদিকে
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সঙ্গে হোয়াইট হাউসের ‘সিচুয়েশন রুম’-এ অবস্থান করেন পূর্বনির্ধারিত জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে। হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, সেখান থেকেই তাঁরা কাতারের আল-উদেইদ বিমানঘাঁটিতে ইরানের হামলার ঘটনা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন। এই হামলা পুরোপুরি অপ্রত্যাশিত ছিল না।
গত সপ্তাহান্তে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর যে হামলা করে, তারপর থেকেই এমন পাল্টা প্রতিক্রিয়ার আশঙ্কা ছিল। মধ্যপ্রাচ্যে অবস্থানরত সব মার্কিন বাহিনী উচ্চ সতর্কতায় ছিল, প্রস্তুত ছিল এমন একটি হামলার জন্য।
তবে ইরানের এই হামলার প্রকৃত মাত্রা ও পরিসর সম্পর্কে এখনই নিশ্চিত হওয়া সম্ভব নয়। যখন সেই তথ্য পাওয়া যাবে, তখন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও তাঁর নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের সামনে দাঁড়াবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন- এখন কীভাবে জবাব দেওয়া হবে?
এই মুহূর্তটি এক জটিল সন্ধিক্ষণ। এখানেই নির্ধারিত হবে—এই সংঘাত কি আরও বিস্তৃত, জটিল ও অনাকাঙ্ক্ষিত এক যুদ্ধের দিকে গড়াবে, নাকি এখনো তা নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখা সম্ভব?
যুক্তরাষ্ট্রের কৌশল ছিল—একটি নিখুঁত, লক্ষ্যভিত্তিক হামলা চালিয়ে ইরানের পারমাণবিক সক্ষমতা দুর্বল করা এবং সেখানেই থেমে যাওয়া। কিন্তু ইরানের পাল্টা জবাব ছিল অবশ্যম্ভাবী।
এখন গোটা বিশ্ব অপেক্ষা করছে—এই প্রতিক্রিয়া শেষ পর্যন্ত কী পরিণতি ডেকে আনবে, সেটা দেখার জন্য।