রোজার সঙ্গে সুইমিংপুলে তাহসান, কী বলছেন ভক্তরা
Published: 24th, June 2025 GMT
চলতি বছরের শুরুতে সংগীতশিল্পী তাহসান খান ও মেকওভার আর্টিস্ট রোজা আহমেদ দাম্পত্য জীবন শুরু করেন। এর পর থেকে অপরিচিত রোজা আহমেদ চলে আসেন আলোচনায়। তিনি এখন নিয়মিত চর্চার বিষয়। ইনস্টাগ্রাম ও ফেসবুকে বেড়েছে তাঁর অনুসারীর সংখ্যা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যা পোস্ট করেন, তা মুহূর্তেই ছড়িয়ে যায়। এবার তাহসানের সঙ্গে সুইমিংপুলের স্থিরচিত্র ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছেন রোজা। তা নিয়ে মেতে উঠেছেন ভক্তরা। কেউ বলেছেন, তাহসান ভাই একজন পরী পেয়েছেন। আবার কেউ বলছেন, তাহসান ভাইয়ের জীবনটা পূর্ণতা পেয়েছে।
ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করা স্থিরচিত্রে বোঝা গেছে, তাহসান ও রোজা ঘোরাঘুরি করছেন। কিছু মুহূর্তের স্থিরচিত্র শেয়ার করেছেন রোজা আহমেদ। তাতে দেখা যায়, সবুজে ঘেরা প্রাকৃতিক পরিবেশ, গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি—আর এমন সময় সুইমিংপুলে তাঁদের আদুরে এক মুহূর্ত! তাহসানের বাহুতে স্ত্রী রোজা, তাকিয়ে আছেন ভালোবাসার দৃষ্টিতে। সুইমিংপুলের একান্ত মুহূর্ত ছাড়াও আরও কয়েকটি স্থিরচিত্র পোস্ট করেছেন রোজা। রিসোর্টের একটি কক্ষ দারুণ আবহে সজ্জিত। এ ছাড়া বই হাতে একটুখানি প্রশান্তির মুহূর্তও ভাগ করে নেন রোজা।
চলতি বছরের শুরুতে তাহসান খান ও রোজা আহমেদ দাম্পত্য জীবন শুরু করেন.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
‘চোখের সামনে বসতবাড়ি ভাইঙ্গা নিল, পোলাপান লইয়া কই যামু’
চার সন্তানকে বুকে জড়িয়ে এক রাতে ঘর ছাড়তে বাধ্য হন শেরপুর সদর উপজেলার গৃহিণী নাজমা বেগম (৪৬)। চোখের সামনে নিজেদের শেষ আশ্রয়স্থলটি নদীতে বিলীন হতে দেখেন। এই অবস্থায় কোথায় যাবেন, কী করবেন—কিছুই বুঝতে পারছেন না। এমন অসহায়ত্ব প্রকাশ করে কান্নাজড়িত কণ্ঠে ভাগলঘর গ্রামের এই বাসিন্দা বলেন, ‘চোখের সামনে বসতবাড়ি ভাইঙ্গা নিল (ব্রহ্মপুত্র নদ), পোলাপান লইয়া কই যামু?’
আপাতত দিনমজুর স্বামী আবদুল্লাহ ও সন্তানদের নিয়ে অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন নাজমা। তবে ভবিষ্যতে কোথায় যাবেন, এই ভেবে চোখেমুখে অন্ধকার দেখছেন। ব্রহ্মপুত্র নদে বসতভিটা হারানোর এই কষ্ট কিংবা অসহায়ত্ব শুধু নাজমা বেগমের একার নয়, চরপক্ষীমারি ইউনিয়নের দক্ষিণ ভাগলঘর গ্রামের প্রায় শতাধিক পরিবারের একই দুর্দশা। পরিবারগুলোর অভিযোগ, সরকারি উদ্যোগে ভাঙন রোধে কার্যকর ব্যবস্থা না থাকায় নিঃস্ব হয়ে পড়েছে তারা।
গতকাল মঙ্গলবার সরেজমিন দেখা যায়, চরপক্ষীমারি ইউনিয়নের ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ে দক্ষিণ ভাগলঘর গ্রামের একাংশে ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে। গ্রামটির প্রায় ৫০০ মিটার এলাকায় সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যেই অনেকের বসতভিটা নদে পুরোপুরিভাবে বিলীন হয়ে গেছে। আবার কোথাও নদের পাড় ঘেঁষে থাকা শূন্য ভিটায় উঁকি দিচ্ছে বাঁশের খুঁটি। এগুলো এখন সেই দুঃসহ বাস্তবতার সাক্ষী যেন। অনেকে তড়িঘড়ি নিজেদের ঘর থেকে আসবাব সরিয়ে কোনোরকমে এখানে-সেখানে ছড়িয়ে রেখেছেন।
ব্রহ্মপুত্রের তীর থেকে মাত্র ২০ মিটার দূরে আছে ভাগলঘর দক্ষিণপাড়া জামে মসজিদ ও সামাজিক কবরস্থান। ভাঙন রোধ করা না গেলে যেকোনো সময় এগুলো নদে বিলীন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন গ্রামবাসী। এর মধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উদ্যোগে ভাঙনকবলিত এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলার জন্য বালু ভরার কাজ চলতে দেখা যায়।
নদের ভাঙনকবলিত স্থানে জিও ব্যাগ ফেলার কাজ শুরু হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ভাগলঘর গ্রামে