জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) পীরগঞ্জ উপজেলা সমন্বয় কমিটি থেকে ৩ সদস্য পদত্যাগ করেছেন। বুধবার বিকেলে পীরগঞ্জ প্রেস ক্লাব হলরুমে সংবাদ সম্মেলন করে পদত্যাগের ঘোষণা দেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জিসান, বিশাল, লেলিন, মেহেদি, শাওন, শুভ, মাহিদ ও আপন উপস্থিত ছিলেন।
পদত্যাগকারীরা হলেন– তৌফিক হোসেন, মোক্তাদির কেমি ও জাহাঙ্গীর আলম জাকির।
লিখিত বক্তব্যে তৌফিক হাসান বলেন, ‘কমিটিতে এমন ব্যক্তিদের রাখা হয়েছে যাদের অতীত কর্মকাণ্ড বিতর্কিত। দলের জন্য কাজ করা, ত্যাগী ও পরীক্ষিত কর্মীদের উপেক্ষা করা হয়েছে। জুলাই আন্দোলনে সাহসিকতার সঙ্গে অংশ নেওয়া নারী সংগঠকদের স্থান দেওয়া হয়নি। কমিটি করার আগে কেন্দ্রীয় কমিটি জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের সঙ্গে আলোচনা করেনি। কিছু নেতার একক সিদ্ধান্তে কমিটি হয়েছে; যারা দলের শৃঙ্খলা ও আদর্শ রক্ষা করেননি তাদেরই সমন্বয়ক পদ দেওয়া হয়েছে। দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি, এ কমিটির গঠন প্রক্রিয়া আমাদের মূল্যবোধ, নৈতিকতার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। তাই আমরা পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
গত ৫ জুন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সচিব আকতার হোসেন ও উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম স্বাক্ষরিত ২৫ সদস্যের উপজেলা কমিটি করা হয়। এতে এ এস মজনুকে আহ্বায়ক এবং রাকিব মিয়া, রাকিবুল ইসলাম রিজু ও মোদাব্বেরুল ইসলামকে যুগ্ম-আহ্বায়ক করা হয়। কমিটি প্রকাশের ২০ দিনের মাথায় তিনজন সদস্য পদত্যাগ করলেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: এনস প পদত য গ পদত য গ সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
চায়ের দোকান থেকে নিউইয়র্ক, পুরস্কার ঘোষণার দিনেই মৃত্যু
কোনো তরুণ চলচ্চিত্র নির্মাতা তাঁর প্রথম ছবি দিয়ে ভারতীয় সিনেমার মানচিত্রে আলোড়ন তুললেন; ছবিটি পেল জাতীয় পুরস্কার। আর পুরস্কার ঘোষণার একই দিনে সেই তরুণ চিরতরে চলে গেলেন। এই অবিশ্বাস্য ঘটনাই ঘটেছিল অবতার কৃষ্ণ কৌলের জীবনে।
১৯৩৯ সালে কাশ্মীরের শ্রীনগরে জন্ম নেওয়া কৌলের শৈশবই ছিল বেদনার। বাবার হাতে নির্যাতনের শিকার হয়ে একদিন তিনি ঘর ছেড়ে পালালেন। রেলস্টেশনের প্ল্যাটফর্মে দিন কাটত, চায়ের দোকানে কিংবা ছোট হোটেলে কাজ করতেন। অভুক্ত থেকেও বই আর শব্দের সঙ্গে তাঁর বন্ধুত্ব গড়ে উঠল। এই অপূর্ণ শৈশবই হয়তো পরে তাঁকে সিনেমার ভেতর মানুষ আর সমাজকে ভিন্ন চোখে দেখার শক্তি দিয়েছিল।
নিউইয়র্কে নতুন জীবন
পরবর্তী সময় ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চাকরি পেয়ে পৌঁছে গেলেন নিউইয়র্কে। দিনের চাকরির ফাঁকে রাতগুলো কাটত সিনেমা ও সাহিত্য নিয়ে। অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস আর পরে ব্রিটিশ ইনফরমেশন সার্ভিসে কাজ করলেও তাঁর আসল পৃথিবী ছিল অন্যত্র। সহকর্মীরা প্রায়ই দেখতেন, হাতে উপন্যাস বা নোটবুক নিয়ে বসে আছেন কৌল। তাঁর চোখে তখন এক স্বপ্ন—চলচ্চিত্র নির্মাণ।