বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আবারও স্থলমাইন বিস্ফোরণে ওমর মিয়া (২৫) নামের এক তরুণের পা উড়ে গেছে। মিয়ানমার সীমান্তের প্রায় আধা কিলোমিটার ভেতরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে নাইক্ষ্যংছড়ি থানা–পুলিশ জানিয়েছে।

এর আগে গত রোববার জারুলিয়াছড়ির পাশের জামছড়ি সীমান্তে এক কিশোরের পা উড়ে যায়। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এই পর্যন্ত ছয় মাসে নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের চাকঢালা, আশারতলী, ফুলতলী ও জামছড়ি সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে আট সীমান্তবাসী পা হারালেন। মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির (এএ) পেতে রাখা মাইনের বিস্ফোরণে এসব ঘটনা ঘটছে বলে পুলিশ ও সীমান্তবাসী বারবার বলে আসছেন।

জারুলিয়াছড়ি সীমান্তের লোকজন জানিয়েছেন, সীমান্তের ৪৬ ও ৪৭ পিলারের মধ্যবর্তী স্থানের শূন্যরেখা পার হয়ে প্রায় ৪০০ মিটার মিয়ানমারের ভেতরে যাওয়ার পর স্থলমাইন বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য ফয়েজ আহমেদ জানিয়েছেন, মাইন বিস্ফোরণের ঘটনায় রামু কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের মৌলভিকাটা ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত আবদুল হাফেজের ছেলে ওমর মিয়ার ডান পা উড়ে গেছে। তাঁকে সেখান থেকে দ্রুত উদ্ধার করে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসরুরুল হক জানিয়েছেন, মাইন বিস্ফোরণে আহত ওমর মিয়া সীমান্তে চোরাচালানির সঙ্গে জড়িত বলে স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন। মিয়ানমারের প্রায় ৪০০ মিটার অভ্যন্তরে তিনি মাইন বিস্ফোরণের শিকার হয়েছেন। সীমান্তের ওই এলাকায় মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির ক্যাম্প রয়েছে। তারাই সীমান্তের কাছাকাছি মাইন স্থাপন করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। গত বছর থেকে আরাকান আর্মি তাদের দেশের সীমান্ত এলাকা দখলে নিয়ে রেখেছে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

বেহাল সড়ক

২ / ৭হাটহাজারী সড়কের মুরাদপুর এলাকায় একটু অসতর্কতায় ঘটতে পারে বড় দুর্ঘটনা

সম্পর্কিত নিবন্ধ